_নয়ন রবিনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। নয়ন মনের দিক দিয়ে সবার থেকে একটু আলাদা। নয়নের বাবা মা নেই। আছে শুধু ওর বড় ভাই আর ভাবি। ভাইয়ের বিয়ের আগে ওর আর ওর ভাইয়ের সম্পর্কটা ছিল একদমই আলাদা। যেন দুজন ভাই নয় বন্ধু। কিন্তু বিয়ের পর ভাই পুরো বউয়ের গোলাম হয়ে গেছে। আর ভাবি ওকে একদমই পছন্দ করে না। সারাক্ষণ নয়নের নামে ওর ভাইয়ের কান ভারি করতে থাকে।
বিকেল বেলায় ওরা ছয় বন্ধু চায়ের দোকানে বসে গল্প করছে। নানান রকমের কথা চলছিল ওদের মধ্যে। কথা বার্তার মধ্যে হঠাৎ করেই মাসুম বলল, দোস্ত নতুন একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছি ব্লগের জন্য। রবিন জিজ্ঞেস করলো, কোথায় ঐ জায়গা? ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার রাস্তায় জঙ্গলের ভেতরে একটা চারশো বছর পুরোনো রাজমহল আছে, বলল মাসুম। ওখানের কাহিনীটা পুরোই অদ্ভুত, শুনলে তোদের অবশ্যই সেখানে যেতে ইচ্ছে করবে। তো ঠিকআছে শোনা কাহিনী আমরাও দেখি কেমন অদ্ভুত বলল দূর্জয়। তো শোন বলে, বলতে শুরু করে মাসুম। _ঘটনার শুরু হয় চারশো বছর আগে। তখন সে জায়গাটা ছিল হাসি খুশিতে ভরা একটি সুন্দর রাজ্য। সেখানের রাজা ছিলেন রাজা বীর, সে ছিল অনেক বলবান। রাজার অদ্ভুত কিছু শখ ছিল। তার মধ্যে একটি হলো, শক্তিশালী জন্তু শিকার করে সেগুলোর মাংস খাওয়া। রাজা এটা বিশ্বাস করতেন যে, শক্তিশালী জন্তুর মাংস খেলে রাজা আরো শক্তিশালী হয়ে যাবেন। তারপর কি হলো জিজ্ঞেস করলো নয়ন। মাসুম আবার বলতে লাগল, তারপর হঠাৎ একদিন রাতে ঐ রাজ্যে এক ভয়ঙ্কর নেকড়ে ডুকে পড়ে। নেকড়েটা সেই রাতে ১৭জন মানুষের রক্ত খেয়ে তাদের মেরে ফেলে। অনেক কষ্টের পরে সেই নেকড়েটাকে রাজার সৈন্যরা মারতে সক্ষম হয়।
YOU ARE READING
রক্ত পিপাসা
Werewolfচারিদিকে প্রচণ্ড অন্ধকার। খোলা তরবারি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রবিন। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে রবিনের। মানুষ দুটো সময়ে কাঁপে, প্রথমত ভয় পেলে আর দ্বিতীয়ত রাগে। রবিনের মধ্যে বর্তমানে দুটোই বিদ্যমান আছে। হঠাৎ পেছন দিক থেকে আওয়াজ এলো। রবিন পেছনে ফিরে তাকাল...