2
_দূর্জয় খুবই অলস প্রকৃতির। ওদের ছয় বন্ধুর মধ্যে কেবল দূর্জয়ই বিবাহিত। ওর পরিবার বলতে ওর বউ আর তিন বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে। দূর্জয়ের বউ একটা গার্মেনটসে চাকরি করে। তার বেতন দিয়েই ওদের ছোট্ট সংসারটা কোন রকমে চলে। দূর্জয়ের এই বেকার থাকার কারণে প্রায় সময়ই ওর বউয়ের সাথে ওর ঝগড়া হয়।
_হিরো গরিব দিন মজুর বাপের একমাত্র ছেলে। ছোট বেলায় ওর মা মারা যায়। তো ওর দেখা শোনার জন্য ওর বাবা ঘরে সৎ মা নিয়ে আসেন। হিরো ওর সৎ মাকে একদম পছন্দ করে না। ছোট বেলা থেকেই ওকে অনেক মারতো। কিন্তু বাপের পুরো আদর পেয়েছে হিরো। ওর সপ্ন একদিন অনেক বড় হিরো হবে। তাইতো নামটাও পাল্টে হীরোন থেকে হিরো রেখেছ। ওর বাবা ওকে অনেক বুঝিয়েছে যে, বাবা সপ্ন দেখলেই হয় না তার জন্য অর্থও লাগে। এইসব কিছু বাদ দিয়ে কোন একটা চাকরি খোঁজো। আমি আর কতদিন এইভাবে একা সংসারটাকে সামলাবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
_মাসুম বয়সের দিক দিয়ে বাকি বন্ধুদের থেকে ছোট। অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্র। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সে। ওর বাবা মা দুজনই টিচার। মা হাই স্কুলের টিচার আর বাবা কলেজের প্রফেসার। মাসুম পড়ালেখায় খুবই হুঁশিয়ার। তাকে নিয়ে তার বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু মাসুমের সপ্ন অনেক বড় ইউ টিউবার হবে। সে একটি ব্লগ চ্যানেলও খুলেছে। আর তার নাম দিয়েছে ‘নিশি রাতের ভুত শিকারী’। ও বিভিন্ন ভয়ানক জায়গাগুলো খুঁজে বের করে, এবং বন্ধুদের সাথে নিয়ে সেখানে রাত কাটায়। আর ঐ পুরো রাতটা ক্যামেরায় ধারণ করে, সেটা ওর ব্লগে দিয়ে দেয়। আর এটা প্রমান করে যে, ভুত বলতে আসলে কিছুই নেই।
YOU ARE READING
রক্ত পিপাসা
Werewolfচারিদিকে প্রচণ্ড অন্ধকার। খোলা তরবারি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রবিন। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে রবিনের। মানুষ দুটো সময়ে কাঁপে, প্রথমত ভয় পেলে আর দ্বিতীয়ত রাগে। রবিনের মধ্যে বর্তমানে দুটোই বিদ্যমান আছে। হঠাৎ পেছন দিক থেকে আওয়াজ এলো। রবিন পেছনে ফিরে তাকাল...