_তিনমাস আগে''- খুব ভালো যাচ্ছিল রবিনের সময়। রবিন একজন লেখক, সে কাহিনী লেখে। এ পর্যন্ত ৭টি বই লিখেছে সে। ওর লেখা বইগুলো খুব মার্কেটও পেয়েছে। তবে হ্যাঁ, রবিনের লেখা কোন বই ওর নিজের নামে প্রকাশ হয় নি। প্রকাশ হয়েছে লেখক মো: আমির হোসেন এর নামে। আমির হোসেন এ সময়ের একজন বড় লেখক। রবিন অনেক বিপদে ছিল তখন, যখন আমির হোসেন ওর কাছে এই কাজের প্রস্তাব রাখে। তাই এক কথায় বাধ্য হয়েই ওকে এই কাজ করতে হয়। আমির হোসেন রবিনকে শুধু আইডিয়া দেয় যে, এই বিষয়ের উপর কাহিনী লেখো। আর তারপর রবিন সে বিষয়ের খোঁজ নেয়, এবং স্টাডি করে সেই বিষয়টার উপর। তারপর কাহিনীটি সম্পূর্ণ করে আমির হোসেনকে দিয়ে দেয়। আর আমির হোসেন কাহিনীটাকে নিজের নামে প্রকাশ করেন। মাস শেষে রবিনকে ৩০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে দেন। এই টাকা দিয়েই রবিনের সংসার চলে। রবিনের আপন বলতে আছে শুধু ওর মা আর ওর ছোট ভাই রাহিম। রাহিম ক্লাস টেন এ পড়ে। রাহিম খুবই চালাক প্রকৃতির ছেলে, নিজের কাজ খুব ভালো করে আদায় করতে জানে। রবিনের বাবা আট বছর আগেই মারা যান। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন। একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় তিনি শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর রবিনই সংসারের হাল ধরে। রবিনের জীবনে ওর মা ছাড়া আর অন্য কোন মেয়ে নেই। প্রেম ভালোবাসার কথা ও কখনো চিন্তাও করে নি। রবিনের দিনের আধা সময় যায় কাহিনী লিখতে, আর বাকি সময় যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। রবিনের পাঁচ বন্ধু,, সুলতান, দূর্জয়, হিরো, মাসুম, আর নয়ন।
_সুলতান নামে যেমন, টাকা-পয়সার দিক থেকেও তেমন। রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো যাকে বলে আর কি। পড়ালেখা শেষ করে এখন শুধু ঘুরে বেড়ায় আর বাপের কামানো টাকা উড়ায়। ওর বাবা অনেক বলে যে, পড়ালেখা শেষ করেছো এবার ব্যবসা সামলাও, কিন্তু সেদিকে ওর কোন ধ্যান নেই।
BINABASA MO ANG
রক্ত পিপাসা
Werewolfচারিদিকে প্রচণ্ড অন্ধকার। খোলা তরবারি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রবিন। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে রবিনের। মানুষ দুটো সময়ে কাঁপে, প্রথমত ভয় পেলে আর দ্বিতীয়ত রাগে। রবিনের মধ্যে বর্তমানে দুটোই বিদ্যমান আছে। হঠাৎ পেছন দিক থেকে আওয়াজ এলো। রবিন পেছনে ফিরে তাকাল...