রক্ত পিপাসা Part-6

21 0 0
                                    

খেয়ে খেয়ে দিন দিন শুধু মোটা হচ্ছে, কিন্তু দেমাগ এখনো আট বছরের বাচ্চার মতোই রয়ে গেছে। মোটা  ব্যাস একটাই কাজে আসে  আমাদের চায়ের বিল দেওয়ার, বলেই হাসতে থাকে হিরো। হিরোর সাথে বাকি সবাইও হাসে। এইসব আবার সুলতানের সামনে বলিস না যেনো, ও মনে কষ্ট পাবে বলে রবিন। Ok তো তোরা গল্প কর আমি উঠলাম কাজ আছে একটু, বলে রবিন সেখান থেকে চলে গেল। বাকি চার বন্ধু আবার হাসি তামাশায় মেতে উঠলো। কিন্তু ওরা জানে না কেউ একজন পেছন থেকে ওদের কথাগুলো শুনছে, আর সে হলো সুলতান। সুলতান নিজের মনেই বলতে থাকে বাহ রে বন্ধু, তোদের চেনা হয়ে গেছে আমার। আমার পেছনে তোরা আমাকে কি ভাবিস সেটা আমার খুব  ভালো ভাবে বোঝা হয়ে গেছে। তোদের একজনকেও আমি ছাড়ব না, দেখে নেব তোদের সবাইকে। কাউকে কোন কিছু বুঝতে না দিয়ে চুপচাপ সেখান থেকে সরে পরে সুলতান। তো কবে যাচ্ছিস রক্ত চোষা মহলে? জিজ্ঞেস করে নয়ন। দশ পনেরো দিন পরে যাবো, আমার Exam আছে কলেজে, বলল মাসুম। Exam এর আগে কোনো রকমের চাপ নিতে চাই না। চল ঠিক আছে তোর ইচ্ছা, বলল হিরো।
রাত প্রায় আট টা বাজে। আমির হোসেন একটা কাঠের চেয়ারে বসে আছেন। আর তার সামনেই একটা মোড়ায় হাতে লেখা কাহিনী নিয়ে বসে আছে রবিন। আমির সাহেবকে জিজ্ঞেসা করে রবিন, কাহিনীটা যে শোনালাম কেমন হলো? আমির হোসেন একটু নড়েচড়ে বসলেন, তার পর বললেন চা নিয়ে আসুক পরে বলতেছি। রবিন আর কিছু বললো না' চুপচাপ মাথাটা নিচু করে কাহিনীটা মনে মনে আরেক বার চেক দিতে লাগলো। কই গো আর কতক্ষণ চায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, একটু চিত্কার করেই কথাটা বললেন আমির সাহেব। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা অল্প বয়সী মেয়ে একটি ট্রেতে দুটো চায়ের কাপ নিয়ে হাজির হলো। মেয়েটি ট্রে টি টেবিলের উপর রেখে কোন কথা না বলে দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। বোঝাই গেল মেয়েটি আমির সাহেবের মেয়ে।

রক্ত পিপাসা Where stories live. Discover now