সরকার এ ব্যাপারে তল্লাশি নেওয়ার জন্যে গুপ্তভাবে আটজন হুঁশিয়ার সেনাবাহিনী নিয়োগ দেন। কিন্তু পরদিন সেই জঙ্গলে সাতজন সেনাবাহিনীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। আর একজনের লাশ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি। সেনাবাহিনী গুলোর লাশ দেখে মনে হলো, ওদের উপর যেনো খুবই ভয়ঙ্কর কোনো জানোয়ার আক্রমণ করেছে। শরীরের সমস্ত রক্ত খেয়ে শুধু নিথর দেহটা ফেলে রেখে গেছে। তখন থেকে সেই জায়গা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়। খুব তাড়াতাড়ি সেই জঙ্গলের চারপাশে তাঁরকাটার বেড়া, আর সাবধান সাইনবোর্ড লাগানো হবে বলে জানান সরকার।
ঘটনাটা শুনে সবাই হতভম্ব হয়ে গেল। দূর্জয় জিজ্ঞেস করলো সত্যিই কি এমন নাকি? আরে না এইসব বানোয়াট কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না বলে রবিন। তখন মাসুম বলল, আরে আমি তো সেটাই বলতেছি। দেখ আমরা এটাকে বিশ্বাস করিনা কিন্তু লাখো মানুষ এখনো এইসব বিশ্বাস করে। মানুষের এই বিশ্বাসটাকে পরিবর্তন করাই আমার ব্লগের কাজ। আমরা অনেক গুলো ভুতুড়ে বাড়িতে রাত কাটিয়েছি এবং প্রমাণ করেছি যে সেখানে actually কিছুই নেই। তো আমরা সবাই সেই জঙ্গল মহলটাতে একটা রাত কাটিয়ে প্রমাণ করবো, যা কিছু ঐ জায়গা টার ব্যাপারে লেখা আছে সে সবকিছু মিথ্যে। আর যদি সত্যি হয় তো কি করবি, বলল সুলতান। তুই কবে থেকে এত ভীতু হয়ে গেলি রে সুলতান, হেসে কথাটা বলল নয়ন। হ্যাঁ আমি ভীতু হয়ে গেছি, এখন খুশি? যে সাহস দেখায় সেই সবার আগে মরে। কিন্তু আমার এখনো মরার ইচ্ছে জাগে নাই। তোরা যা সেখানে আমি যাচ্ছি না, রাগের সাথে কথা গুলো বলে চায়ের দোকান থেকে উঠে চলে যায় সুলতান। এর আবার কি হলো আমি তো মজা করে কথাটা বললাম, বলে নয়ন। সমস্যা নাই ও আবার ঠিক হয়ে যাবে, সুলতান একটু অন্য রকম টাইপের এটা তো তোরা জানিসই। ছোট ছোট ব্যাপারেই রাগ করে বসে, কথা গুলো বলে রবিন। বড়ো লোকের ছেলে তো তাই অহংকারটা একটু বেশিই সাহেবের। (wait for next part)
YOU ARE READING
রক্ত পিপাসা
Werewolfচারিদিকে প্রচণ্ড অন্ধকার। খোলা তরবারি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রবিন। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে রবিনের। মানুষ দুটো সময়ে কাঁপে, প্রথমত ভয় পেলে আর দ্বিতীয়ত রাগে। রবিনের মধ্যে বর্তমানে দুটোই বিদ্যমান আছে। হঠাৎ পেছন দিক থেকে আওয়াজ এলো। রবিন পেছনে ফিরে তাকাল...