ক্বওমাسَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَه
আল্লাহ্ সেই ব্যক্তির কথা শুনেন যে তাঁর প্রশংসাকীর্তন করে।
رَ بَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
আমাদের প্রভু, আপনার জন্য সকল প্রশংসা।
[বুখারি: ৭৮৯, মুসলিম: ৩৯২, বুখারি: ৭৮৯, বুখারি: ৭৯৬, মুসলিম: ৪০৯]
যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু' থেকে মাথা উঠাতেন তখন রফ'উল ইয়াদাইন করতেন বা দু' হাত উঠাতেন এবং
বলতেন-উচ্চারণঃ সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু।
[আল বুখারিঃ ৭৩৫, ৭৩৬। ইমাম, মুক্তাদি ও মুনফারিদ (যে একাকি নামায পড়ে) সকলেই (সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু) পড়বে – এটিই অগ্রগণ্য। ]
(রব্বানা লাকাল হামদু) বলাও সহীহ ও প্রমাণিত
[আল বুখারিঃ ৭৮৯ ]
এছাড়াও কিছু দু'আ প্রমাণিত
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদু
[আল বুখারিঃ ৭৯৬]
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদু মিলয়ুস সামাওয়াতি ওয়া মিলয়ুল আরদ্বি ওয়া মিলয়ু মা শি'তা মিং সাইয়িম বা'দু
[মুসলিমঃ ৪৭৬ ]
উচ্চারনঃ আহলাস সানাঈ ওয়াল মাজদি লা মানে'আ লিমা আ'ত্বয়তা ওয়ালা মু'ত্বিয়া লিমা মানা'তা ওয়া লা ইয়াংফায়ু জাল যাদ্দি মিং কাল যাদু
[মুসলিমঃ ৪৭৮ ]
উচ্চারনঃ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু হামদাং কাসিরং ত্বয়্যিবাম মুবারকাং ফিহি
[আল বুখারিঃ ৭৯৯ ]
কখনো কখনো জোরে পড়াও জায়েয। আব্দুর রহমান বিন হুরমুজ আল আ'রাজ থেকে বর্ণিত আছে যে " অর্থাৎ আমি আবু হুরাইরাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু কে
"আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদু"
উঁচু আওয়াজে পড়তে শুনেছি।(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ
১/২৪৮ হা/২৫৫৬; সানাদ সহীহ)রুকু'-র পর কিয়ামে অর্থাৎ দাঁড়িয়ে পুনরায় হাত বাঁধা উচিত কি না- এই মাসআলা-য় স্পষ্টভাবে কিছুই প্রমাণিত নয়। অতএব উভয় পদ্ধতিতে আমল করাই জায়েয। তবে ভালো ও উত্তম এটাই যে যেনো হাত না বাঁধা হয় ।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহিমাহুল্লাহ কে প্রশ্ন করা হলো যে রুকু থেকে উঠে হাত বাঁধতে হবে না ছেড়ে দিতে হবে, তখন তিনি বললেন,
" আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইনশাল্লাহ এ বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই "
(মাসাঈলে আহমাদঃ রেওয়ায়েতে সালিহ বিন আহমাদ বিন হাম্বলঃ ৬১৫)
#সতর্কীকরণঃ আরবি দু'আ বা যেকোনো পাঠের বাংলা উচ্চারণ কখনোই উচ্চারণের সঠিকত্বের ক্ষেত্রে তার সমকক্ষ হবার যোগ্যতা রাখে না। এখানে দেয়া হয়েছে শুধু বিশেষ অপারগতার শেষ সম্বল হিসেবে।
ওয়াল্লাহু আ'লাম...
ESTÁS LEYENDO
নামাজে আমরা কি পড়ি?
Espiritualআপনি কি জানেন নামাজে (সলাতে) আল্লাহ সামনে দাঁড়িয়ে আপনি কি বলছেন? নাকি অর্থ না জেনেই তোতা পাখির বুলির মতো আউরে যাচ্ছেন? আল্লাহ কুরআনে বলেনঃ "এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর" (২০:১৪) . "নিশ্চিতভাবে সফল মু'মিনরা, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত"...