পর্ব-০১

95 6 0
                                    

স্কুলের ঘন্টা বাজছে। টফিন টাইম শুরু হলো এখন। রায়া এই স্কুলে এসেছে ৩ দিন হলো, সবার সাথে এখনও ভালো ভাবে তাই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। রায়া একটু চাপা মনের মেয়ে ছিল, যাকে ইংলিশে Introvert বলা হয়ে থাকে। সে সহজে নিজের মনের কথা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অনুভূতি প্রকাশ করতো না। তবে এই তিন দিনে একটা মেয়ে তার খুব ভালো বান্ধবী হয়ে যায়। তার নাম শ্রীমারায়া স্কুলে যেদিন প্রথম এসেছিল সে দিন সে শ্রীমার পাশেই বসেছিল। তখন থেকেই বন্ধুত্বর সূচনা। শ্রীমা খুব বন্ধুসূলভ তাই রায়া এর সাথে বন্ধুত্ব করতে তার সমস্যা হয় নাই। তার সাথে সে টিফিনের সময়ে ক্লাস থেকে বের হলো। ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখবে তারা। তাদের স্কুলটি ছিল কম্বাইনড। এক দিকের মাঠে ছেলেরা যে যার মতো খেলাধুলা করছিল, অপর দিকের মাঠটি ছিল মেয়েদের জন্য বরাদ্দ।
রায়া আর শ্রীমা মেয়েদের মাঠের আর ছেলেদের মাঠের মাঝখানের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। এমন সময়ে একটা ফুটবল তাদের সামনে দিয়ে খুব জোরে চলে যায় মেয়েদের মাঠে।
রায়া আর শ্রীমা থেমে যায় এবং ছেলেদের মাঠের দিকে যাদের ফুটবল ছিল তাদের দিকে তাকায়। দেখতে পায় গোলপোস্টে একটা ছেলে অপর মাঠের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটাকে দেখে রায়ার একটু অন্যরকম লাগলো। চেহারায় যথেষ্ট ভদ্রতা। এমনিতেই এই স্কুলের ছেলেরা খুব দুষ্টু নামে ঢাকা শহরে পরিচিত। কিন্তু ছেলেটাকে দেখে তার সেরকম কিছু মনে হলো না।
হঠাৎ ই মিডফিল্ড থেকে একটা ছেলে চিল্লিয়ে বললো, "কি রে অনিক! বলটা নিয়ে আনবি না?"
গোলপোস্টে দাঁড়ানো ছেলেটা অর্থাৎ অনিক বলে উঠলো, "হ্যা, আনছি।"
রাস্তা পার হয়ে সে মেয়েদের মাঠে যেয়ে বলটা আনল।
তখন আগের সেই ছেলে টা বলে উঠলো, "এই স্কুলের মেয়েগুলার ভাব অতিরিক্ত বেশি। একটা সামান্য বলটুকুও দিতে পারে না।"
অনিক বললো, "বাদ দে না, নিয়ে তো আনলামি।"
রায়া আর শ্রীমা দাঁড়িয়েই ছিল সেখানে। রায়া অনিকের দিকে তাকিয়ে ছিল, অথচ অনিকের খেয়াল ই নাই যে একটা মেয়ে সেই তখন থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ শ্রীমা বলে উঠলো, "এই রায়া! চল, সামনে এগোই।"
রায়া বললো, "হ্যা চল।"

রায়া আর শ্রীমা আবারও হাঁটতে লাগলো। কিন্তু রায়া যতক্ষণ পারা যায় অনিকের দিকেই তাকিয়ে ছিল। যদিও অনিকের এসব দিকে মন নাই। সে এখন খেলা নিয়ে ই ব্যাস্ত।

পরিণতি Where stories live. Discover now