পর্ব-০২

52 4 0
                                    

টিফিনের পর দুইটা ক্লাস হয়ে ছুটি হয় রায়াদের স্কুলের। ছুটির পর আবারও তারা দুই বান্ধবী একসাথে হাঁটছে। সেই রাস্তা ধরেই।

শ্রীমা- রায়া, আজকে স্যার যেই ম্যাথটা করালো ওটা তুই বুঝেছিস?
রায়া- হ্যা, একটু কঠিন তবে আমি আগে এই অংক টা করেছিলাম আমার বাসার এক স্যারের কাছে।
শ্রীমা- আজকে তো ছুটি হয়ে গেল, এখন বাসায় দেরি করে গেলে মা বকবে। তুই আমাকে কালকে একটু বুঝিয়ে দিস।
রায়া- আচ্ছা।

রায়া আর শ্রীমা হেঁটে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে অনিক ও তার বন্ধুরা চলে গেল। অনিকের বন্ধুদের দেখলেই বোঝা যায় যে তারা অনেক চঞ্চল। কিন্তু অনিক সম্পূর্ণ আলাদা। সে তাদের পাশে পাশে শান্তভাবে হেঁটে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে তাদের রসিকতার সাথে সাথে হাসছে। সেই হাসিতেও রয়েছে ভদ্রতা।

রায়া- শ্রীমা?
শ্রীমা- হ্যা বল?
রায়া- ওই ছেলেটা কি আমাদের ক্লাসে?
শ্রীমা- কোন ছেলে টা?
রায়া- ওই যে, যেই ছেলে টা গোলকিপার ছিল।
শ্রীমা- ও উনি? উনি তো আমাদের চেয়ে এক ক্লাস সিনিয়র। উনি VIII এ পড়েন। অনেক ভালো গোলকিপার। এই বছর স্কুল টিমের হয়ে আন্তঃ কলেজ ফুটবল লিগেও যাবেন।
রায়া- আগে কখনও যায়নি?
শ্রীমা- না। সাধারণত জুনিয়র অর্থাৎ VIII এর নিচের ছাত্ররা যেতে পারে না। উনি তো এখন VIII এ তাই চান্স পেয়েছেন। আবার কলেজে উঠলে হয়তো কয়েক বছর অপেক্ষা করা লাগবে। কারন সেখানেও সিনিয়রিটির ব্যাপার আছে। তবে ভালো খেলতে পারলে ঠিকই চান্স পাবেন, আর উনি তো অনেক ভালো খেলতে পারেন।
রায়া- হুম।
শ্রীমা- তোর কোনো কোনো স্পেশাল ট্যালেন্ট আছে?
রায়া- না, নাই।
শ্রীমা- কেনো? তোর গলা তো খুব সুন্দর। আমি তো ভেবেছিলাম তুই গান গাস।
রায়া- না, আমি গান গাই না।
শ্রীমা- ওহ আচ্ছা।
রায়া- হুম।

কথা বলতে বলতে তারা গেটের কাছে চলে এলো। রায়ার মা অপেক্ষা করছিলেন গেটের পাশেই। রায়া তার মায়ের কাছে চলে গেল আর শ্রীমা স্কুল বাসে উঠে পড়লো। রিক্সায় করে যাওয়ার পথে আবারও সে দেখতে পেল অনিককে। সে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। রায়ার মনের মধ্যে এক অদ্ভূত অনুভূতি কাজ করলো। যার ব্যাখ্যা সে নিজেও জানে না।

পরিণতি Où les histoires vivent. Découvrez maintenant