অনিকের একটা সমস্যা আছে। সে সহজে কাউকে না করতে পারে না। এর আগে সে যতগুলো প্রস্তাব পেয়েছিল সবই নাকচ করেছিল, তাও আবার সাজিদের মাধ্যমে। এইবারও সে রাজি না। রায়ার প্রস্তাবে। কেন রাজি না তা সে বলেই দিয়েছে। তার এসব ভালো লাগে না। সে নিজেকে অযোগ্য মনে করে ভালোবাসার। সে ভাবে যে তার কাউকে ভালোবাসার বা কারো ভালোবাসা রক্ষা করার যোগ্যতা নেই। তাই এতোদিন যাবৎ সে সব প্রস্তাবই নাকচ করে এসেছে। এইবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে এইবারের সমস্যা হলো, সাজিদ এইবার তার হয়ে রায়াকে না বলবে না বলে জানিয়েছে। অনিক অনেকবার অনুরোধ করার পরও সাজিদ নিজস্ব স্থানে অটল। সাজিদের একটাই কথা, "আমি যা করার করেছি, আমি আর কিছু জানি না। তোর যদি রায়াকে পছন্দ না হয় তা তুই নিজে বলবি। আমি বলতে পারবো না।"
এদিকে রায়া অনিককে নিয়ে কল্পনার রাজ্যে বাস করছে। প্রতিরাতে অনিককে নিয়ে স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে। ঘুম থেকে উঠেই অনিকের কথা মনে পরে তার। স্কুলে গেলেও সার্বক্ষণিক তার চোখ শুধু অনিককেই খোঁজে। কোনো দিন অনিকের দেখা না পেলে সেইদিন তার মন খুব খারাপ থাকে। কথাও বলে না ঠিক মতো। যদিও স্কুলে অনিকের সাথে তার দেখা হলেও কথা হয় না। আর ফোনেও সেদিনের পর কথা হয় নাই। কারণ সে চাইছে অনিক যাতে একটু নিজের মতো করে ভাবতে পারে। রায়াকে নিয়ে। অনিক এখনও রায়াকে তার সিদ্ধান্ত জানায় নাই। কি বলবে তা সে বুঝতে পারছে না। তবুও অপেক্ষায় আছে। সাজিদের সাথেও রায়ার কথা হয় নাই। সাজিদ ইচ্ছা করেই রায়ার সামনে আসছে না। কি জবাব দিবে সাজিদ? সাজিদ বলতে পারবে না রায়াকে যে অনিক এই বিষয়ে আগ্রহী নয়। তাই সে রায়া এর চোখের আড়ালে থাকছে। রায়ার সরল মন এতো কিছু বুঝছে না। সে ভাবছে হয়তো সাজিদ ভাই আর অনিক দুজনেই পরীক্ষা নিয়ে ব্যাস্ত। তাই সেও তাদের বিরক্ত করতে চাইছে না।
একদিন প্রাইভেটের পর সাজিদ আবার জিজ্ঞেস করলো, "কিছু ঠিক করলি? কি করবি?
অনিক- না।
সাজিদ- এখনও তুই ঠিক করতে পারলি না।
অনিক- না, বুঝছি না আমি কি করবো। তোকে তো বললাম ওকে না করে দিতে।
YOU ARE READING
পরিণতি
Teen Fictionভালোবাসার পরিণতি নিয়েই এই গল্প। যেখানে নিজের ভালোবাসার জন্য বারবার কাঁদতে হয়েছে রায়াকে। যাকে সে মন থেকে ভালোবেসেছিল সে তাকে ভালোবাসেনি। যার সাথে বিয়ে হয়েছিল তার সাথে সে সুখি থাকতে পারে নি। আর যে ভালো এক বন্ধুর মতো সারাজীবন তার পাশে ছিল সেও শেষ পর্যন...