পরীক্ষা শেষ করে রায়া যথারীতি সাজিদ আর অনিকের অপেক্ষায় লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পনেরো মিনিট হলো সে এসেছে। এতক্ষণে ওদের চলে আসার কথা। কিন্তু এখনও ওরা আসেনি। পরীক্ষা শেষ হতে আরও ২০ মিনিট মতো বাকি আছে। তার পরে তো নিশ্চয়ই আসবে। সাজিদ ভাই কে নিয়ে রায়ার চিন্তা নাই। কিন্তু অনিক আসবে তো?
রায়ার অনেক ভয় করছে। সে জানে না সে ঠিক করছে না ভুল করছে। কারণ সে এখন ঠিক-বেঠিকের উর্ধ্বে। তার এখন এগুলো নিয়ে ভাববার সময় নেই। শুধু সে একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তা করছে। সেটা হলো অনিকের প্রতিক্রিয়া। রায়া অনিক কে বলতে পারবে কি না সেটা নিয়েও রায়া সন্দিহান। তার হাত পা কাঁপছে অথচ অনিক তার সামনে নেই। অনিক তার সামনে এসে দাঁড়ালে কি হবে তাহলে?
রায়া এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সাজিদ আর অনিক তার পাশে এসে দাড়িঁয়েছে সে খেয়ালও করে নি।
সাজিদ- রায়া!
রায়া শুনতে পায় নাই। সাজিদ আবারও ডাকলো, "রায়া?"। রায়া ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের দিকে তাকাল কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে। সাজিদের পাশেই অনিক দাঁড়িয়ে ছিল। অনিককে দেখে রায়া আরও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লো। বুঝতে পারছে না কি বলবে, কোথা থেকে শুরু করবে।
সাজিদ- অনিক কে নিয়ে এসেছি। তুমি কি যেন বলবে আমাকে বলেছিলে তাই....অনিকের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কিছুই জানে না। হতভম্বের মতো সে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ অন্য দিকে। রায়ার দিকে সে তাকায়নি। সে বুঝতেও পারছে না কেন তাকে এই মেয়েটা ডেকেছে। অনেকটা সাজিদের কথাতেই সে এসেছে।
অনিক- সাজিদ, আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। কি কাজে আমাকে এখানে আনলি আমি বুঝতে পারছি না।
সাজিদ- দাঁড়া একটু। পরীক্ষা শেষ কিসের এত্ত তাড়া তোর?
অনিক- মা তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলেছে তাই........
সাজিদ- বলিস যে পরীক্ষা শেষ তাই আজকে একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছিস।
অনিক- ভাই পরীক্ষা শেষ হয় নাই, এটা তো নির্বাচনি। আসল পরীক্ষা তো এখনও বাকি। সেটার প্রস্তুতি আরও ভালোভাবে নিতে হবে।
সাজিদ- তুই কি পড়াশোনার বাইরে আর কিছু নিয়ে কথা বলতে পারিস না?
YOU ARE READING
পরিণতি
Teen Fictionভালোবাসার পরিণতি নিয়েই এই গল্প। যেখানে নিজের ভালোবাসার জন্য বারবার কাঁদতে হয়েছে রায়াকে। যাকে সে মন থেকে ভালোবেসেছিল সে তাকে ভালোবাসেনি। যার সাথে বিয়ে হয়েছিল তার সাথে সে সুখি থাকতে পারে নি। আর যে ভালো এক বন্ধুর মতো সারাজীবন তার পাশে ছিল সেও শেষ পর্যন...