পর্ব-০৮

36 4 4
                                    

বাস চলছে আস্তে আস্তে। একটু পর থামছে আর ছাত্র ছাত্রীরা নেমে যাচ্ছে তাদের বাসার কাছে। রায়া আর শ্রীমার বাসা এই বাসের রুট অনুযায়ী একদম শেষে। তাই তারা একটু বেশি সময় পেল গল্প করার। স্কুলেও সারাদিন তারা গল্পে মেতে থাকে। যদিও রায়া ততো কথা বলে না, বেশিরভাগ কথাই শ্রীমা বলে। আর রায়া শুনে। আবার মাঝে মাঝে রায়াও অনেক কথা বলে। কিন্তু সেটা খুব কম  সময়ই ঘটে।

শ্রীমা- রায়া!

রায়া- হুম বল।

শ্রীমা- কি করছিলি তোরা ওখানে?

রায়া- কিছু নাহ।

শ্রীমা- তুই আমাকে বলবি না?

রায়া- আরেহ তেমন কিছুই হয়নি। তুই আসার কিছুক্ষণ আগেই ওরা এসেছিল।

শ্রীমা- তুই ওদেরকে ডেকেছিলি নাকি ওরা তোকে??

রায়া- আমিই.............

শ্রীমা- কিন্তু কেন? আমাকে তো বলতেই পারিস? নাকি আমি তোর ভালো বান্ধবীই হয়ে উঠতে পারিনি এখনও?

রায়া- না আসলে..... আমার একজনকে ভালো লাগে।

শ্রীমা- কাকে?

রায়া- অনিক কে।

শ্রীমা- ওহ আচ্ছা।  তো তুই আমাকে জানালি না কেন?

রায়া- আসলে তোকে বলা হয় নাই। সরি রে। আজকে তো ঠিকই বললাম।

শ্রীমা- হুম তাও অনেক জিজ্ঞেস করার পর। তা সাজিদ ভাই ওখানে কি করছিল?

রায়া- সাজিদ ভাই ওর বেস্টফ্রেন্ড। আমি ওকে বলতে পারবো না তাই সাজিদ ভাই কে আগে বলেছিলাম। সাজিদ ভাইই বলেছিল যে আজকে তিনি অনিককে নিয়ে আসবে। তখন আমি যা বলার যেন বলি।

শ্রীমা- তারপর? বলতে পারলি?

রায়া- নাহ। পারিনি।

শ্রীমা- কেন?

রায়া- জানি না। ও আমার সামনে আসার পরই আমার হাত-পা কাঁপতে শুরু করেছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কোথা থেকে বলা শুরু করবো, কি বলবো ওকে।

শ্রীমা- হুম সবই বুঝলাম। কিন্তু তুই মেয়ে হয়ে প্রপোজ করবি কেন? ও ছেলে ও তোকে বলবে।

পরিণতি Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang