নিশান ভাই চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে আমাদের দিকে ফিরে তাকিয়ে বললন, ‘সামথিং ইজ নট ওকে!’ বলতে বলতে ফোনের ডিসপ্লে আমার দিকে ঘুরিয়ে সময় দেখালো, ঘড়িতে সময় ২ টা ৪৪!আমরা তিনজনই একে অপরের দিকে তাকালাম। নিশান ভাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। একগাল নকল হাসি হেসে ইমতিয়াজের পেটে খোঁচা মেরে বললেন, ‘কী ব্যাপার ব্যবসায়ী? ভয় পেয়ে গেলে নাকি?’
আমার চোখে তাকিয়ে ও চোখের ইশারায় শান্ত থাকতে বললেন।
তিনজনে সামনের দিকে হাঁটছি। নিশান ভাই বাইক গড়িয়ে নিয়ে চলছে আমাদের সাথেই। পাশের গলিতেই ডানপাশে একটা চায়ের দোকান ছিলো। ও পর্যন্ত গিয়ে নিজেদের কাছেই যেন প্রমাণ করতে চাইছি কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।
এর মধ্যে আমাদের কেউই সময় দেখলাম না। তিনজনে তিনটা সিগারেট হাতে হাঁটছি। নিশান ভাই একটা গান গুণগুণ করতে করতে থেমে গিয়ে আমায় ডাকলেন, ‘অভ্র একটা মজার ব্যাপার শুনবে?’
আমি সিগারেটে লম্বা এক টান দিয়ে উপরে তাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়লাম। আকাশ মেঘহীন। পরিচ্ছন্ন চাঁদহীন আকাশে স্পষ্ট লক্ষ কোটি তারা। এমন কোনো এক রাতে আমি আর মা ছাদে পাটি পেতে শুয়ে ছিলাম। খুব সম্ভবত তখন আমি প্রাইমারী স্কুলে পড়ি। মায়ের পেটে মাথা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছি আর মা আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আদরে চোখ বুজে আসছে আমার। এমন সময় মা আমায় বলল, ‘জারিফ, তুই কি জানিস তারাদেরও নাম থাকে?’
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এত তারার নাম কে দিলো মা?’
আমার মাথাটা আরেকটু টেনে নিয়ে মা বলল, ‘তা জানি না। ঐ ওখানে অনেকগুলো তারা একসাথে জটলা পাঁকিয়ে আছে। ওগুলোর নাম কি জানিস?’
মা আঙুল উঁচিয়ে দেখালো। আমিও মায়ের আঙুলের সাথে তাকালাম। মা বলতে থাকলো, ‘ওখানে মোট সাতটা তারা। গল্প আছে একটা ঐ সাত তারার...’আমি প্রচণ্ড আগ্রহে উঠে বসে প্রশ্ন করি, ‘কী গল্প?’
‘এক যুগে সাতজন বড় মহাপুরুষ ছিলেন। উনারা তপস্যা করতে বসলেই দেখে কেউ না কেউ এসে বিরক্ত করে। তাই তাঁরা ঠিক করলেন মহাকাশে গিয়ে ধ্যান করবেন...’
YOU ARE READING
প্রতিবিম্ব
Horrorপড়তে চাইলে অবশ্যই সময় নিয়ে পড়ুন, আজকে অল্প কালকে অল্প এভাবে পড়লে কাহিনী একটু গুলিয়ে যেতে পারে। বাকিটা আপনাদের ওপরে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। ^^