পর্ব ৩

27 4 0
                                    

আয়নায় আমার প্রতিবিম্ব দূরে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে সামনে এলো। এসে ঠিক সমদূরত্বে আমার সামনে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে গেল।

আমি যেন একটা ধাক্কা খেলাম!

এক মুহূর্ত চোখ বন্ধ করে আবার তাকালাম।
সব স্বাভাবিক লাগছে।
আয়নাটায় একবার হাত রাখলাম। স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রতিবিম্বেও ঘটলো। আমি হাত সরিয়ে নিয়ে একটু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিয়ে সরে এলাম।

এক মুহূর্ত থমকে দাঁড়িয়ে আবার পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি, আমি সরেছি ঠিকই, কিন্তু আমার প্রতিবিম্ব ওভাবেই দাঁড়িয়ে আছে!

আমি আবার আয়নার সামনে এলাম। প্রতিবিম্ব আয়না থেকে হাত সরিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে হাসলো। আমি অপলক চোখে তাকিয়ে আছি। প্রতিবিম্ব এক মুহূর্ত সময়েই দু'হাতে নিজের মুখের চোয়াল বিপরীত দিকে টেনে উপর-নিচে চিড়ে ফেলল!

চোখ বন্ধ হওয়ার আগে আমি লক্ষ্য করলাম, আমার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে সারা আয়না আর মেঝে রক্তিম হয়ে গেছে। আমার চোয়াল ঝুলে পড়েছে। আমি মেঝেতে পড়ে যাবার আগেই সব আঁধার হয়ে গেলো।

গলায় অদ্ভুত ছোঁয়া অনুভব করে আতংকে জেগে উঠলাম। ঘুম ঘুম অবস্থাতেই গলায় হাত রেখে একবার চোখ মেলে তাকালাম।

তবে কি সব স্বপ্ন ছিল?

ক্লান্তি জড়িয়ে আবার চোখ বন্ধ হয়ে এলো। চোখ বুজতেই কিছু সময় আগের মতো একই অনুভূতি হলো। ঠোঁটে কেউ চুমু খেয়েছে। আমি এক ঝটকায় উঠে বসে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে চারপাশে তাকালাম।

কোথাও কেউ নেই!

একটু আগে ঘটে যাওয়া অবাস্তব ঘটনাগুলো থেকে মুক্তি মনকে শান্তি দিচ্ছে। রুমের দরজা জানালা বন্ধ। বেলকনি দরজায়ও ছিটকিনি টানানো। বাইরে নারিকেল গাছটার পাতা ঝড়ের বাতাসে জানালার কাঠে ঠকঠক করে শব্দ করছে। দেয়ালে ঝোলানো ঘড়িটা ১০টা ৫ এ আটকে আছে কাঁটাগুলো একই স্থানে খচখচ করছে নড়ছে।

আমি মোবাইলে সময় দেখলাম।
আশ্চর্য!
স্বপ্নের মতো বাস্তবেও এখন সময় রাত ২ টা ৪৪!

প্রতিবিম্বOù les histoires vivent. Découvrez maintenant