গেট পেরিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতেই যেন নির্জনতা চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকবার নক করেও প্রথমে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। একটু জোরে কয়েকবার আঘাত করতেই ভেতর থেকে একরাশ বিরক্তি কন্ঠে একটা কর্কশ স্বর শোনা গেলো, “ক্যাডা রে? দরোজা ভাইঙ্গা ফালাবি তো হালারপুত!”
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দরজা থেকে সামান্য পিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ভেতর থেকে দরজা খুললো।
পেটের ওপরে লুঙ্গির গিট দেয়া খালি গায়ের একজন মধ্যবয়স্ক মোটকা লোক বামহাতের তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুল মুখের ভেতরে দিয়ে দাঁত থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিষ্কাশন করতে করতে বলল, “কারে চাই?”আমি ইকবাল চৌধুরীর কথা জিজ্ঞেস করতেই লোকটা গাল থেকে আঙ্গুল জোড়া বের করে আমার দিকে ভালো করে তাকালো। লোকটার আঙ্গুল দুটো লালায় আষ্টেপৃষ্ঠে আছে। ওদিকে না তাকানোই উচিত আমার। কিন্তু এমন বিশ্রী জিনিসের শেষ না দেখে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করছে না।
লোকটা আমার দিকে তাকিয়েই লুঙ্গির গিট খুলে আবার পেটের একই স্থানে বাঁধলো এবং এর মাঝেই জাদুর মতো হাতের লালাগুলোও গায়েব হয়ে গেল!
লোকটা একটু সামনে ঝুঁকে জিজ্ঞেস করলো, “মাল আনছস নি?”
কোন মালের কথা বলছে এ লোক? আমি মাথা নেড়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, “কীসের মাল?”
“তোরে সাদিক্কায় ফাঠাইছে না?”
“না তো? কোন সাদিক?”
“তাইলে কেডা তুই? ভাগ এইখান থেইকা...”
কথা শেষ হওয়ার আগেই দরজা বন্ধ করতে উদ্যত হলো সে। নিরুপায় হয়ে আমি বাইরে থেকে একটা ধাক্কা দিতেই দরজার আঘাতে চিৎ হয়ে সজোরে পড়ে গেল লোকটা। শব্দ শুনে যে কেউ ভাববে কোথাও দু মন সাইজের চালের বস্তা পড়েছে। আমি বুঝতেও পারিনি এমন হয়ে যাবে। ঘরে ঢুকে তাকে ধরতে ধরতে বললাম, “চাচা স্যরি, আসলে ইচ্ছে করে করিনি। চাচা? চাচা?”
লোকটা কোনো সাড়া শব্দ করছে না। ঘরে আর কেউ আছে কিনা তাও জানা নেই। কয়েকবার জোরে চিৎকার করলাম, “কেউ আছেন? কেউ শুনতে পাচ্ছেন?”
YOU ARE READING
প্রতিবিম্ব
Horrorপড়তে চাইলে অবশ্যই সময় নিয়ে পড়ুন, আজকে অল্প কালকে অল্প এভাবে পড়লে কাহিনী একটু গুলিয়ে যেতে পারে। বাকিটা আপনাদের ওপরে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। ^^