তোমার নামে সন্ধ্যে নামে (কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) 🔞🔞 পর্ব ৪

302 1 0
                                    

ঢং ঢং করে দেওয়াল ঘড়িটা রাত ১টা বাজে জানান দিলো......


যশবন্তের চোখে ঘুম নেই....... ঘরের সোফার ওপর আধ শোয়া হয়ে এরপর ওর কি করণীয় সেটাই একমনে ভেবে যাচ্ছে ও। হটাৎ কি মনে হতে সোফা ছেড়ে উঠে খাটে এসে অফিসের ব্রিফকেসটা খুলে কিছু দরকারি কাগজপত্রে চোখ বোলাতে গিয়ে মধুরার রিজিউমটাতে নজর যায় ওর.......

কিছুক্ষন একদৃষ্টে কাগজের মধ্যে আটকানো মধুরার ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে ও.... হটাৎ করেই কিছু প্রশ্ন ওর মনে ভিড় করতে থাকে....... " দাদাজীর মধুরা শ্রীবাস্তব এই মেয়েটা নয়তো?...... দাদাজীর কথা অনুযায়ী মেয়েটির মা ক্যান্সারের রুগী, সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে এই মেয়েটিও তো আজ সকালে আমাকে সে কথাই বললো......"

কথাগুলো মাথায় উকি দিতেই কাগজের মধ্যে থাকা কন্টাক্ট ডিটেইলসের জায়গাটা ভালো করে দেখতে থাকে যশবন্ত..... নাহ, কফির দাগটা ফোন নম্বরের জায়গায় এতো গাঢ় হয়ে রয়েছে যে ওই জায়গাটায় কি লেখা আছে তা ঠিক করে বোঝা যাচ্ছে না..... আর ঠিকানাটা?....... হ্যাঁ, ওই তো কি যেন লেখা ২২/বি ত্রিকোণ পার্ক হীরানগর, মালাড.........

"আচ্ছা এই মেয়েটাই দাদাজীর সেই মেয়েটা কিনা তার কি প্রমাণ আছে?..... এমনটাও তো হতে পারে দুটি মেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা....... তার থেকে বরং আমি একবার দাদাজীকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি....... দাদাজী তো এতো তাড়াতাড়ি ঘুমোন না, আমাকে এখনই জানতে হবে, নাহলে দাদা একবার মেয়েটার খোঁজ পেয়ে গেলে আমি সম্পত্তির একটা কানাকড়িও পাবো না....."

কথাটা মাথায় আসতেই ধীর পায়ে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে অরবিন্দ বাবুর ঘরের কাছে এসে দরজায় নক করে যশবন্ত...... অরবিন্দ বাবুর বরাবরের অভ্যাস ডাইরি লেখা, তাই তিনি এতো রাতেও জেগে ছিলেন।

দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজে মাথা তুলে যশবন্তকে দেখে একটু অবাকই হন তিনি, তারপর কিছু একটা ভেবে নিয়ে যশবন্তকে ভেতরে আসার অনুমতি দেন......

"হটাৎ এই সময় আমার ঘরে, সকালেও তো আসতে পারতে?....." অরবিন্দ বাবু নিজের ডাইরি লেখা বন্ধ করতে করতে বলেন।

তোমার নামে সন্ধ্যে নামে (কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) 🔞🔞 পর্ব ১Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang