পর্ব -- ১১

242 4 1
                                    

তিশাঃ

নিভে যাওয়া চুলা আবার ধরাতে হল।

এইসব
নানান চিন্তাভাবনা করতে করতে আর বারবার নিভে
যাওয়া চুলা জ্বালাতে জ্বালাতে ভাত রান্না করতেই
লেগে গেল প্রায় এক ঘণ্টা।

তারপর চুলায় তরকারি
তুলে দিয়ে আন্দাজ করে মশলাপাতি দিয়ে দিলাম।
যা হয় হবে,
আল্লাহ ভরসা।

অনভ্যস্ত হাতে অবশেষে যখন রান্না শেষ করে উঠে
দাঁড়ালাম,
কালিঝুলি মেখে, ঘেমে ভিজে একাকার
অবস্থা।

বেলাও গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে।
গোসল
করতে হবে, এটাই প্রথম মাথায় আসল।

মেয়েটার
দিকে তাকাতেই দেখি, মেয়েটা কেমন একটা চোখে
তাকিয়ে আছে।

তারপর মেয়েটা যা বলল, তাতে
আরো একবার মন খারাপ হয়ে গেল।

*

একটা বালতি হাতে জঙ্গলের মাঝে দিয়ে একটা
সরু রাস্তা ধরে হাঁটছি।
পেছনে ওই মেয়েটা।

বাথরুমের বালতি আর রান্নাঘরের ড্রাম, দুই জায়গার
পানিই শেষ হয়ে গেছে।

এখন থেকে পানি তোকেই
আনতে হবে বলে মেয়েটা আমাকে বালতি হাতে কোথায়
নিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না।

তবে ওইদিন যেদিকে
গিয়েছিলাে, সেদিকে না।

রাস্তাটা এতই অস্পষ্ট যে বুঝা
যাচ্ছে, তেমন মানুষ চলাচল নেই এ রাস্তা দিয়ে।

মাঝে
মাঝে মেয়েটা ডান বাম শুধরে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করত
গিয়েও চুপ করে গিয়েছি, আসলে আর নিতে পারছি না আমি।

মেয়েটার কথা আমাকে আরো দুর্বল
করে দিয়েছে।

"এটাই তোর উপযুক্ত লুক"
মেয়েটা সন্তুষ্টির সাথে
বলেছিল আমার কালিঝুলি মাখা চেহারার দিকে তাকিয়ে।

প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি।
তখন মেয়েটা আমাকে ধরে
ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে
দেয়।

সারা মুখে কালি আর ঘামে আমাকে বিচ্ছিরি
দেখাচ্ছে।

বারবার চুলার কালিমাখা হাত দিয়ে
মুখের ঘাম মুছতে গিয়ে এই দশা হয়েছে।

অপহরণ । (সমকামী প্রেমের গল্প / Lesbian story)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora