বিতর্কে ভালোলাগা

264 24 4
                                    

শ্রাবণী পড়ছিলো মন দিয়ে। পড়ার সময় তাকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। তাই সে যখন পড়তে বসে, তার রুম থেকে সবাই চলে যায়। সে দরজায় খিল দিয়ে পড়ে।
পড়ালেখায় অসম্ভব ভালো ছাত্রী সে। এবার ক্লাস 9 এ উঠল। পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বিষয়েই পারদর্শী শ্রাবণী। ডিবেট ও করে চমৎকার। কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কার ও পেয়েছে।

হঠাৎ তার মোবাইল বেজে উঠল। বিরক্ত হলো শ্রাবণী। "আজকে মোবাইল সাইলেন্ট করতে ভুলে গেলাম। উহ!" মনে মনে এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা ধরল সে। সাথে সাথেই মনটা ভালো হয়ে গেল শ্রাবণীর। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ফাহিয়া ফোন দিয়েছে। আর যাই হোক, শ্রাবণী কখনো ফাহিয়ার উপর মেজাজ খারাপ করতে পারে না।

- হ্যালো ফাহিয়া! কি খবর?
- এইতো দোস্ত আছি ভালোই।
- হম তো কি জন্য ফোন দিলি?
- দোস্ত কালকে বয়েজ স্কুলের সাথে একটা ডিবেট আছে। তোকে থাকতে হবে।
- ওহ আচছা। বিষয় দিয়েছে?
- হ্যাঁ দিয়েছে। আমি তোকে টেক্সট করে দিচ্ছি।
- ওকে দোস্ত। আর কিছু?
- হম.. ভালো করে প্রিপারেশন নিস। তুই কিন্তু লিডার। আর বয়েজ স্কুল খুব ভালো নাকি ডিবেটে।
- ওকে। তুই টেনশন নিস না।
- ওকে। বাই।
- বাই।

ফোন রেখে শ্রাবণী একটু ভাবনায় পরে গেলো। সে ও শুনেছে বয়েজ স্কুল ডিবেটে অনেক ভালো। সে তখনই মোবাইল টা হাতে নিয়ে ইন্টারনেটে রিসার্চ শুরু করে দিল।

ডিবেট করতে শ্রাবণীর বরাবরই ভালো লাগে। আর ওর পরিবারও ওকে কোনো বাধা দেয় না, বরং উৎসাহ দেয়। শ্রাবণীর ব্যাপারটা ভালো লাগে বেশ।

পরেরদিন। ডিবেট বয়েজ স্কুলে হবে। শ্রাবণীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে গেল। প্রথমে একটি প্রোগ্রাম হবে। কয়েকজন বক্তৃতা দিবে। এরপর ডিবেটের আসল কার্যক্রম শুরু হবে। শ্রাবণী ও তার দল এবং টিচাররা সবাই চেয়ারে বসল। অনুস্ঠান শুরু হয়ে গেলো। শ্রাবণী লক্ষ্য করল অনেকক্ষণ ধরে একটি ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। শ্রাবণীর অস্বস্তি লাগে। ভাবল মিস কে বলবে নাকি। পরে না বলাই ভালো মনে করল। হয়ত ছেলেটি এমনেই কোনো কারণে তাকিয়ে আছে। শুধু শুধুই বেশি ভাবছে ও।

ছোট গল্পসমূহWhere stories live. Discover now