আজকে স্কুলের শেষ দিন। মুনের ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে যে এই স্কুলে ও আর পড়বে না। যে স্কুল ওকে ছোটো বেলা থেকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে, আজ সেই মায়ের থেকেই দূরে চলে যাচ্ছে সে। স্কুলের প্রতিটা কোণায় যেন স্মৃতি উপচে উপচে পড়ছে।
মুনের ক্লাসের সবাই আজকে শেষবারের মতো স্কুলে এসেছে। সব টিচারদের থেকে দোয়া নিচ্ছে S.S.C পরীক্ষার জন্য, শেষবারের মতো উপদেশ নিচ্ছে। টিচাররা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
মুনরা টিচারদের সাথে দেখা করে শেষবারের মতো স্কুলটা দেখতে বের হলো। যে সকুলে মুন এতো বছর আসতেই চায়নি, আজ সেই স্কুল কে ছেড়ে যাওয়ার দুঃখে মনটা ডুকরে কেঁদে উঠছে। মন বড় ই অদ্ভুত। এইতো সেদিন মায়ের হাত ধরে এই স্কুলে এসেছিল। আজকে চলেও যাচ্ছে। সময় কি আর একটু ধীর গতিতে চলতে পারত না? যে টিচারদের বকা খাওয়ার ভয়ে হাজারো ক্লাস ফাঁকি দিয়েছে, আজ সেই টিচারদের বকা খাওয়ার জন্য হৃদয় আকুলিবিকুলি করছে।
আর মুনের বান্ধবীরা? যাদেরকে ছাড়া একটা দিনও মুন ঠিক করে কাটাতে পারে না। কিভাবে থাকবে ওদেরকে ছাড়া? এসব ভাবতে ভাবতেই চোখে পানি চলে আসল।
S.S.C পরীক্ষা শেষে একেকজন একেক কলেজে চান্স পাবে। যদি মুনের বান্ধবীরা ওকে ভুলে যায়? ওরা যদি নতুন বান্ধবীদের সাথে বেশী মেশে? মুন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল, আর যাই হোক, মুন কখনো ওর বান্ধবীদের ভুলবে না। কখনোই না।
স্মৃতিচারণা করতে করতে ওরা স্কুল গেটের কাছে চলে আসে। শেষবারের মতো স্কুলটার দিকে তাকাল। এক অন্যরকম বেদনা অনুভব করল ওরা।
এটাকেই তাহলে ভালোবাসা বলে। স্কুলের জন্য ভালোবাসা। মায়া। অশ্রু। সুখ। দু:খ। হাসি। ভালোবাসার সব উপাদান ই তো আছে।
এ এক অন্য ধরনের ভালোবাসা। যা ভাষায় প্রকাশিত করা যায় না। শুধু অনুভব করা যায়।
[কিছুদিন আগে স্কুলে বড় আপুদের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছিল। তাদের অশ্রুসিক্ত চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে স্কুলের জন্য ওদের ভালোবাসাটা সত্যি। গল্পটা ভালো লাগলে ভোট দিতে ভুলবেন না। ইনশাল্লাহ আরো লিখব]
YOU ARE READING
ছোট গল্পসমূহ
Short Storyমানুষের বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটা ঘটনা গুলো এখানে তুলে ধরতে চাই। কল্পনামূলক গল্পও হয়তো থাকবে। জানিনা সফল হতে পেরেছি কিনা। আপনাদের ভাল্লাগলেই আমি নিজেকে সার্থক মনে করব :) সম্পূর্ণ নিজের মন থেকে লিখেছি। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। [ Highest ran...