প্রিয়ন্ময়ী আর আয়ানের বন্ধুত্ব একটা সময় প্রেমে রুপ ন্যায়। তাদের physics chemistry র প্রেমের chemistry টা জমে ছিলো খুব। ফোনে দুজনের মধ্যে অনেক কথা হতো। এভাবেই কেটে যায় একটা বছর। তবে ইদানিং আয়ানের মধ্যে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করছে প্রিয়ন্ময়ী। মাঝে মাঝেই ফোন ওয়েটিং এ পায়। এতে প্রিয়ন্ময়ী কিছু মনে করে না।ভাবে ও হয়তো কোন কাজে ব্যস্ত আছে ।
আজকে প্রিয়ন্ময়ীদের ইউনিভার্সিটিতে বসন্ত উৎসব। প্রিয়ন্ময়ী ভাবছে আয়ানদের বাসায় গিয়ে আয়ানকে Surprise দিবে। এর আগেও কয়েকবার প্রিয়ন্ময়ী আয়ানদের বাসায় গিয়েছে। আয়ান ওর মা বাবার সাথে প্রিয়ন্ময়ীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।
প্রিয়ন্ময়ী সাজুগুজু করে বেরিয়ে পড়ল। আজকে প্রিয়ন্ময়ী নীল রঙের একটা শাড়ি পরেছে।নীল রঙ প্রিয়ন্ময়ীর খুব পছন্দের। তার সুন্দর চোখগুলো কাজলের স্পর্শে পাহাড়ি উপতক্যার শান্ত হ্রদের রুপ নিয়েছে। যার মধ্যে আছে প্রশান্তির গভীরতা। প্রিয়ন্ময়ীর খোপায় আজ বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে।মাথায় ফুলের বেড় পরেছে ও। বেশ লাগছে।
আয়ানদের বাসার নক করতেই আয়ানের আম্মু দরজা খুলে দিলেন।
---আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আন্টি।
---ভালো আছি মা..। তুমি কেমন আছো?
---এইতো আন্টি ভালো। আচ্ছা আন্টি আয়ান কি বাসায় বাসায় আছে?
---ওকে একটু দোকানে পাঠিয়েছি। এইতো একটু পরই ও চলে আসবে। তুমি ভেতরে আসো মা।
প্রিয়ন্ময়ী ভেতরে এসে ড্রইং রুমে বসেছে। আপন মনে ড্রইং রুমে রাখা পেইন্টিংগুলো দেখছে। এমন সময় ফোনে ম্যাসেজ আসার শব্দে ওর ভাবনার ছেদ ঘটল। পাশে ফিরে দ্যাখে সোফায় আয়নের ফোন রাখা। ফোনটা হাতে নিয়েই দেখতে পেল সেজুতি নামের কেউ আয়ানকে ম্যাসেজ দিয়েছে। একটু ভাবতেই সেজুতিকে চিন্তে পারল প্রিয়ন্ময়ী। কয়েকবার আয়ানের সাথে দেখেছে ওকে। ওরা একই ডিপার্টমেন্টে পড়ে। ও ম্যাসেজটা ওপেন করে একে একে পূর্বের ম্যাসেজগুলো পড়তে থাকে। প্রিয়ন্ময়ীর কাছে সবকিছুই ক্রমশো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। হঠাৎ আয়ানের আচরণের পরিবর্তনের কারনটাও বুঝতে পারে। মনের অজান্তেই প্রিয়ন্ময়ীর দুচোখ অশ্রুতে ভিজে যায়।
YOU ARE READING
প্রিয়ন্ময়ী [Completed]
Romanceআয়ানের সাথে প্রিয়ন্ময়ীর প্রথম পরিচয় হয় ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে। ওদের বন্ধুত্ব একটা সময় বন্ধুত্বের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রেমে রুপ ন্যায়। কিন্তু এর পরেই কিছু ঘটনা প্রবাহ প্রিয়ন্ময়ীর জীবনকে উলোট পালোট করে দিয়েছে। প্রিয়ন্ময়ী কি পারবে আবার তার স্বাভা...