আজ আকাশে শুক্লপক্ষের চাঁদ উঠেছে। প্রিয়ন্ময়ী বারান্দায় বসে আছে।আকাশের চাঁদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে। আর ভাবছে পেছনের কথা গুলো। একটা সময় প্রিয়ন্ময়ী আয়ানকে সাথে নিয়ে অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ সবই অলীক কল্পনা। এসব ভাবতে ভাবতেই প্রিয়ন্ময়ীর চোখের কোণে জল চলে আসলো। প্রিয়ন্ময়ী তার ডায়েরীর শেষ কথাগুলো লিখছে---
প্রিয়
বাবা মা,জানি না এই ডায়েরীটা পাওয়ার পর তোমাদের অবস্থা কেমন হবে। আমি অনেক দূরে চলে যাচ্ছি মা। অনেক দূরে না ফেরার দেশে। মা তুমি যখন আমার উপর কোন কারনে রাগ করতে তখন আমি তোমার রাগ ভাঙানোর জন্য অনেক বাহানা খুঁজতাম। যখন তোমার রাগ ভাঙতো তখন আমার কি যে আনন্দ হতো...!! বলে বুঝাতে পারবো না। আর বাবা তুমি যখন আমাকে আদর করে মা ডাকতে তখন মনে হতো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষটা হলাম আমি। আর প্রিয়ন্তি আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি রে।মাঝে মাঝে মনে হতো ক্যান যে তুই আমার আপন বোন হয়ে জন্মালি না।
মা বাবা খুব ভালোবাসি তোমাদের। আমার কারো উপর কোন অভিযোগ নেই।
ইতি,
তোমাদের প্রিয়ন্ময়ীভাবছে মা বাবার সাথে কি দেখা করবে। কিন্তু কি যেন ভেবে ডায়েরীটা টেবিলের উপর রেখে রুম থেকে বেরিয়ে গেল প্রিয়ন্ময়ী।
![](https://img.wattpad.com/cover/146069642-288-k933284.jpg)
YOU ARE READING
প্রিয়ন্ময়ী [Completed]
Romanceআয়ানের সাথে প্রিয়ন্ময়ীর প্রথম পরিচয় হয় ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে। ওদের বন্ধুত্ব একটা সময় বন্ধুত্বের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রেমে রুপ ন্যায়। কিন্তু এর পরেই কিছু ঘটনা প্রবাহ প্রিয়ন্ময়ীর জীবনকে উলোট পালোট করে দিয়েছে। প্রিয়ন্ময়ী কি পারবে আবার তার স্বাভা...