প্রিয়ন্ময়ী পাহাড়ি রাস্তা ধরে একা হাটছে। চাঁদের আলো এসে পরেছে ওর বিষণ্ন মুখটায়। বেশ কিছুক্ষণ হাটার পর একটা ব্রীজে এসে দাড়ালো। ব্রীজের নিচে পাহাড়ি খরস্রোতা নদী। প্রিয়ন্ময়ী ভাবছে এখান থেকেই লাফ দিবে। ব্রীজের পারে এসে দাড়িয়েছে। অনেক নীচে থেকে পানির কলকল ধ্বনি ভেসে আসছে। শেষবারের মতো মা বাবার কথা ভাবছে। লাফ দিতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে বলে উঠল কেউ--
---আর যাইহোক আপনার মতো ভীতুকে দিয়ে আত্মহত্যাটা হবে না। অনেকক্ষণ ধরে দেখছি এখানে দাড়িয়ে আছেন। সময়টা দীর্ঘ করার কি কোন দরকার আছে। লাফ দিন আর মরে যান। Simple
প্রিয়ন্ময়ী পেছন ফিরে তাকিয়ে দ্যাখে একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। চাঁদের আলোয় আবছা যতটুকু বুঝা গেল তাতে মনে হলো ছেলেটা ভদ্র ঘরেরই হবে। চেহারায় বখাটের কোন ছাপ নেই। বয়সে ওর থেকে তিন বা চার বছরের বড় হবে। তবে এমন সময় এই ছেলেটাকে প্রিয়ন্ময়ীর কেবলই উটকো ঝামেলা মনে হল।
মুখে বিরক্তির ছাপ নিয়ে--
---আমি যা ইচ্ছা তাই করব। আপনার কি তাতে?
---আমার কিছুই না। তবে মনে হলো আমাদের দুজনের ইচ্ছা এক। আসুন না একটু গল্প করি। তারপর দুইজনে একসাথে আত্মহত্যা করব।
প্রিয়ন্ময়ীর মনে ছেলেটাকে নিয়ে আগ্রহ জন্মালো। ও ব্রীজের রেলিং থেকে অনেকটায় দূরে সরে এসেছে। এখন একদম পাশাপাশি।
---আচ্ছা আপনার নাম টা কি জানতে পারি?
---প্রিয়ন্ময়ী...।
---বাহ..!! নামটা তো অনেক সুন্দর।
---ধন্যবাদ..!!
---আচ্ছা আপনার আত্মহত্যার কারন কি?
প্রিয়ন্ময়ী তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। সমস্তটা শোনার পর---
---আপনার সাথে যা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু এর জন্য আপনি আত্মহত্যা করবেন? ছেলেটার সাথে মাত্র একবছরের রিলেশন আপনার আর আপনাকে যে আপনার মা বাবা এতো বছর আপনাকে ভালোবাসল তাদের কি আপনার প্রতি কোন চাওয়া পাওয়া নেই? আপনিই তো তাদের একমাত্র মেয়ে। আপনাকে ঘিরেই তাদের পৃথিবী। কখনো ভেবে দেখেছেন আপনাকে ছাড়া তাদের পৃথিবীটা কতোটা রঙহীন হয়ে যাবে?
YOU ARE READING
প্রিয়ন্ময়ী [Completed]
Romanceআয়ানের সাথে প্রিয়ন্ময়ীর প্রথম পরিচয় হয় ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে। ওদের বন্ধুত্ব একটা সময় বন্ধুত্বের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রেমে রুপ ন্যায়। কিন্তু এর পরেই কিছু ঘটনা প্রবাহ প্রিয়ন্ময়ীর জীবনকে উলোট পালোট করে দিয়েছে। প্রিয়ন্ময়ী কি পারবে আবার তার স্বাভা...