#আজ_তার_বিয়ে #লেখিকা-নাইমা জাহান রিতু #পর্ব-৪

1K 36 2
                                    

#আজ_তার_বিয়ে
#লেখিকা-নাইমা জাহান রিতু
#পর্ব-৪

বেশ খানিকটা সময় নিয়ে অদ্রির ঠোঁটের স্বাদ নিল ইমতি। এরপর মুখটা উঠিয়ে অদ্রির নাকের সাথে নিজের নাক টা লাগিয়ে ঘষতে ঘষতে ইমতি বললো
-"হ্যাপি?"
অদ্রি তখনো চোখ টা বন্ধ করে ইমতির আদর উপভোগ করছিল। তার মাঝে ইমতির এক একটা স্পর্শে এক অদ্ভুত অনুভূতির জন্ম দিতে শুরু করেছে। ইমতির কোন কথার জবাব তার আপাতত দিতে ইচ্ছা করছে না।
অদ্রির নিশ্বাস ধীরেধীরে ভারী হতে শুরু করেছে বুঝতে পেরে ইমতি অদ্রির বুকে নিজের মাথা টা রেখে অদ্রিকে খুব জোরে দুই হাতে জড়িয়ে নিল। তারপর খুব ধীরে অদ্রি কে ডাকলো
-"অদ্রি?"
অদ্রির এখন প্রায় জান যায় যায় অবস্থা এমনিতেই। তারউপর ইমতিকে নিজের বুকে মাথা রাখতে দেখে সে নিশ্বাস আরো জোরে জোরে নিতে শুরু করলো। হার্টবিট যে কতোতে উঠে এসেছে সেটা অজানা। বুকের ভেতর থেকে শুধু ধরাম ধরাম আওয়াজ ভেসে আসছে তার কানে। মনে হচ্ছে ইমতি তার বুকের ভেতর থেকে হৃদয় টাকে বের করে এনে কিছু দিয়ে আচ্ছা মত পিটাচ্ছে। আর সেই শব্দই তার কানে ভেসে আসছে। ইমতির কাছে আসায় তার মাঝে যে এতো টা ভালোলাগা কাজ করবে এটা মোটেও ভাবে নি অদ্রি। এর আগেও ইমতি তার কাছে আসলেও তা শুধু হাত ধরাতেই বা পাশে বসে কোমর টা চেপে ধরা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। এতো রাতে এভাবে জড়িয়ে ধরা বা চুমু খাওয়ার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম তার। ভালোবাসার মানুষ কাছে আসায় যে এতোটা ভালোলাগা কাজ করে সেটা জানলে কখনওই এতোদিন ইমতির থেকে দূরে দূরে থাকতো না অদ্রি। এদিকে ইমতির এক একটা নিশ্বাস বুকে এসে লাগায় বুকের ভেতর টায় একেবারে ভুমিকম্প শুরু হয়ে গেছে। ইমতির ডাকে সারা দেওয়ার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অদ্রি ইমতির মাথা টা দুহাতে চেপে ধরে বললো
-"হু।"
-"তোমার হার্টবিট এতোটাই বেড়েছে যে সেগুলোর আওয়াজ আমার কানে এসে লাগছে।"
-"হু।"
-"ভালোবাসি।"
-"হু।"
এবারে ইমতি অদ্রির বুক থেকে মাথা টা উঠিয়ে অদ্রির দিকে তাকিয়ে বললো
-"কী হু?"
ইমতি কিছুক্ষণ বুকের উপর মাথা রাখায় অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে অদ্রি। ইমতির মাথা উঠানো টা টের পেয়ে অদ্রি তার চোখ দুটি খুলে তাকালো ইমতির দিকে। তারপর ফিসফিসিয়ে বললো
-"কিছু না, তুমি এতো রাতে এই ঘরে কেন এলে?"
-"তোমার রাগ ভাঙাতে। আমার ভাষায় তোমার ঠোঁটের স্বাদ নিতে।"
অদ্রি লাজুক ভঙ্গিতে হাসি দিয়ে বললো
-"ধুর, একদম খারাপ খারাপ কথা আমার সাথে বলবে না।"
-"এটা কোন দিক থেকে খারাপ কথা হলো?"
-"সব দিক থেকেই।"
-"আভি তো বাছ শুরু হুয়ি হেয়।আগে আগে দেখো অর কেয়া কেয়া হোতা হেয়!"
-"এমন অসভ্যতা করলে মোটেও তোমাকে বিয়ে করবো না আমি।"
ইমতি দুষ্ট একিটা হাসি দিয়ে বললো
-"এখানে অসভ্যতার কি দেখলা? দেখি একটা বালিশ দাও তো। এভাবে বালিশ ছাড়া শুয়ে থাকা যায় না।"
অদ্রি ভ্রু কুঁচকে বললো
-"বালিশ দিয়ে কি করবা? তুমি কি এখানে থাকবে নাকি?"
-"আজ্ঞে হ্যাঁ।"
-"মোটেও না, বের হও বলছি।"
বলতে বলতেই ইমতি কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল অদ্রি নিজের শরীরের উপর থেকে। তারপর নিজে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজার দিকে এগুলো দরজা খোলার জন্য। তার আগেই খপ করে পিছন থেকে জোরে চেপে ধরলো ইমতি অদ্রিকে। তারপর পাজকোলে নিয়ে এগুলো বিছানার দিকে। অদ্রি নিজেকে ইমতির হাত থেকে ছাড়ানোর জন্য বলতে লাগলো
-"এই, ছাড়ো।"
-"কিছুক্ষণ আগেই তো বলছিলে তোমার মাঝে নিজেকে হারাতে আমি রাজি! আর এখন এমনে বাদরের মতো লাফাচ্ছো কেন?"
-"তখন কি সব বলেছি খেয়াল নেই। আর তুমি এখানে থাকবেই বা কিভাবে! সকালে আমার ঘর থেকে তোমাকে বের হতে দেখলে ফুপুর চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।"
ইমতি অদ্রিকে বিছানায় শুয়িয়ে দিতে দিতে বললো
-"হলে হবে।"
-"ভয় পাও না ফুপু কে দেখে?"
-"না।"
-"ইহ!! এতো মিথ্যুক!! ভয় না পেলে ফুপুর সামনে আমার সাথে কথা বলো না কেন?"
-"শশশ, আর কোনো কথা না।"

  #আজ_তার_বিয়ে Où les histoires vivent. Découvrez maintenant