মিস জেনিফার ধড়ফড়িয়ে রুহীর রুমে ঢুকলেন।এখন ও দাঁড়িয়ে আছিস? স্যার তোর জন্য অপেক্ষা করছে।কোন স্যার অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো রুহী। ওমা এ মেয়ের কি মনে নাই?কাল আসলেন, সেলাই মেশিন পাঠালেন ওনি।ওহ এইতো হয়ে গেছে।উড়না গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে যেতেই মিস জেনিফার রুহীর হাত টেনে ধরলেন শোন।থেমে গেল রুহী জি ম্যাম!!!!ব্যাটা মানুষের সাথে বেশি ঘেঁষাঘেঁষি করিসনা। মাথা নিচে নামিয়ে নিলো রুহী জি। এখন আসি?হুম জলদি চলে আসিস রুহীর হাত ছেড়ে দিয়ে বললেন মিস জেনিফার।রুহী বের হতেই রোয়েনকে দেখতে পেল।সানগ্লাস পরে আছে।শার্টের হাতা দুটোকে ফোল্ড করে রেখেছে।রুহী কাছে এগোতেই জিপের দরজা লাথি মেরে খুলে দিলো রোয়েন। একটু কেঁপে উঠলো রুহী ভাবছিলো এভাবে খোলার মানে কি?ভিতরে বসে পড়লো রুহী।রোয়েন সামনে তাকিয়ে বলল দরজা আটকাও।রুহী দরজা আস্তে টেনে আটকালো।রোয়েন রুহীর উপর দিয়ে দরজাটাকে খুলে জোরে আটকিয়ে দিলো।রুহী মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে। খুব ভয় করছে ওর।রোয়েনকে দেখলে খুন করার দৃশ্যটি মনে পড়ে যায় ওর।গাড়ি ড্রাইভ করছে রোয়েন একটা কথা ও বলেনি রুহীর সাথে।রুহী আড় চোখে রোয়েন কে দেখছে।কেমন জানি মানুষটা?ঐদিন লোক দুটোকে মারলো আর এখন ওদের সাহায্য করছে।হিসাব মিলাতে পারছেনা রুহী।একটা কথা বলতে পারি ইতস্তত করে প্রশ্ন করলো রুহী।রোয়েন চুপচাপ বসে গাড়ি ড্রাইভ করছে।একটু দরকার ছিলো প্রশ্নটা করা আবারো বলল রুহী।না করেছে কে রোয়েন ওর দিকে না তাকিয়ে বলল।না ম মানে ঐদিন লোক গুলো কে মারছিলেন আর আজ আমাদের সাহায্য করছেন কেন?গাড়ি খুব জোরে থামালো রোয়েন। রুহী সামনের দিকে পরে যেতে নিলো খুব ভয় লাগছে ওর।প্রশ্নটা করে ভুল করেনি তো?তারা বিশ্বাস ঘাতক তাই শাস্তিটা তাদের পাওনা ছিলো।তোমাদের সাহায্যের ব্যাপারটা একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার।রুহী আর কিছু বলল না।গাড়ি আপন মনেই চলছে।রুহী জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে।কিছুক্ষণ পর গাড়িটি একটি স্কুলের সামনে এসে থামলো।রোয়েন বেরিয়ে রুহীর পাশের দরজা টি খুলে দিলো। রুহী বেরিয়ে এলো।এখানে কি করবো?রোয়েন সামনে হাঁটতে হাঁটতে বলল ফলো মি।রুহি রোয়েনের পিছু পিছু প্রিন্সিপাল এর রুমে চলে এলো।ক্লাশ এইট পর্যন্ত পড়েছিলো রুহী।নাইনে ভর্তি করে দিলো রোয়েন।কাজ শেষে দুজন প্রিন্সিপালের রুম থেকে বেরিয়ে এলো।রুহী ভাবতেই পারেনি পড়ার সুযোগ পাবে ও। পড়ার শখ থাকলে ও মামীর জন্য হয়ে উঠে নি।তাই খুব ভালো লাগছে আজ।পুরো পৃথিবীটা যেন হাতের মুঠোয়
এসে গেছে।রোয়েনের পায়ের কাছে বসে পড়লো রুহী।কি বলবো আপনাকে জানিনা ধন্যবাদ দিলে ও কম হয়ে যাবে।শুধু বলতে চাই আপনি এ্যঞ্জেল আমার জন্য আমাদের সব অনাথ দের জন্য।এই প্রথম কারোর মুখ থেকে নিজের জন্য এমন কথা হজম করতে পারছিলো না রেহান।সরে দাঁড়ালো উঠো।তামাশা করো না এখানে(ধমক দিয়ে বলল)।রুহী উঠে দাঁড়ালো তামাশা করছিনা সত্যি বলছি।
YOU ARE READING
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...