রোয়েনঃ রুহীকে ধাক্কা দিয়ে চলে এলাম।ভীষন রাগ হচ্ছিলো নিজের ওপর।যখনই দেখা হয় অকারনেই রাগ দেখাই ওর ওপর।ভালো লাগছেনা গাড়ির কাছে এসে জানালায় হাত খুব জোরে বাড়ি দিলাম।জানালার কাঁচ ভেঙ্গে হাতে ঢুকে রক্ত বের হচ্ছে।ব্যাথা অনূভব হচ্ছিলো না রুহীকে চোখের পানি গুলো খুব কষ্ট দিচ্ছিলো আমায়।দলের লোকেরা দৌড়ে এসে আমার হাত চেপে ধরলো।স্যার একি করলেন?চলেন ঔষধ লাগিয়ে দেই।
রোয়েনঃ না লাগবেনা ঠিক আছি আমি।
স্যার ব্লিডিং হচ্ছে অনেক।
রোয়েনঃ রাগ সামলাতে পারলাম না। বললাম না ঠিক আছি এতো কথা বলছিস কেন চিৎকার করে বলে গাড়িতে উঠে বসলাম।
রুহীঃ গাছের সাথেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেন এমন করেন ওনি?শুধু রাগ করেন ধমক দেন।থ্যাংক ইউ তো দিয়েছিলাম।চোখের পানি মুছে নিলাম স্নিগ্ধাকে দেখে।
স্নিগ্ধাঃ কিরে এখানে কি করছিলি?
রুহীঃ কই কিছু না তো।ভিতরে চল ম্যাম রাগ করবেন।
স্নিগ্ধাঃ হুম চল।দুজনে রুমে চলে এলাম।রুহীর মন ভালো মনে হচ্ছেনা।রুহী কিছু হয়েছে তোর?
রুহীঃ না কিছু হয়নি।কেন বল তো?
স্নিগ্ধাঃ না এমনিই মনে হলো।
রুহীঃ ওহ।চল ডাইনিং এ যাই।।
স্নিগ্ধাঃ হ্যা চল।
আনিলা বেগমঃ খাটে আধশোয়া হয়ে পান চিবোচ্ছি মনের সুখ মিটিয়ে।বর টা বড্ড ঘাড় তেড়া কোন কথাই শুনতে চায়না আজ কাল।রুহীর বিয়ে রোয়েনের সাথেই হবে।তাহলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়া যাবে এ ছেলে থেকে।টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করে শুয়ে পড়লাম।আফজাল রুমে এসে পাঞ্জাবী একটানে খুলে ফেলল।পেটে হাত বুলাতে বুলাতে খাটে এসে বসলো।
আফজাল সাহেবঃ আনিলা!!!রোয়েনের বিষয়টা ভেবে দেখলাম। ছেলেটার কথা বার্তা ভালো লেগেছে আমার।দেখতে ও বেশ সুন্দর আমার রুহী মামনির সাথে বেশ মানাবে।কাল যেয়ে ওর সাথে কথা বলে আসবো।
আনিলা বেগমঃ একেবারে নিয়ে এসো।বিয়েটা দিয়ে দিও এবার।
আফজাল সাহবেঃভীষন অবাক হলাম আনিলার মুখে রুহী কে বাসায় আনার কথা শুনে।ওকে সত্যিই আনতে বলছো?
ESTÁS LEYENDO
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...