খুব সকালে রুহীর ঘুম ভাঙ্গে একজন কাজের লোকের ডাকে।রুহী চোখ ডলতে ডলতে শুনতে পায় কাজের লোকটি ওকে উঠে রেডি হয়ে নিচে যেতে বলছে।রোয়েন অপেক্ষা করছে নিচে।রুহী ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো।রোয়েন খবরের কাগজ থেকে মুখ উঠিয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল যাও স্কুলের ইউনিফর্ম পরে এসো। আপনি না বলেছিলেন ঐদিনই স্কুলে শেষ দিন ছিলো আমার মাথা নিচু করে বলল রুহী। এক্সট্রা কথা বলা ছাড়া চলে না তোমার?যা বলছি করো ধমক দিয়ে বলে আবার ও পত্রিকায় মনযোগ দিলো রোয়েন।
রুহী চুপচাপ রুমে এসে ইউনিফর্ম পরে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।রোয়েন ডাইনিংটেবিলে নাস্তা নিয়ে রুহীর অপেক্ষা করছিলো।দুজনে নাস্তা সেড়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
রুহী মিটিমিটি হাসছে।রোয়েন আসলে এতোটাও খারাপ না।একটু রাগ বেশি কিন্তু মনের দিক থেকে খুব ভালো সে।রোয়েন রুহীর দিকে একনজর দেখে আবার ফোনে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।রুহীকে স্কুলে দিয়ে রোয়েন কাজে চলে যায়।রুহীকে দেখতেই স্নিগ্ধা ওর দিকে দৌড়ে আসে।তুই এসেছিস রুহী?
হুম এসেছি।
ঐদিনের পর থেকে ভেবেছিলাম তোকে আর আসতেই দিবেনা।
আমি ও তাই ভেবেছিলাম।কিন্তু আসতে দিয়েছে সে।
হুম। চল ক্লাশে যাই।রুহীর হাত ধরে ক্লাশের দিয়ে চলে গেলো স্নিগ্ধা।
রোয়েন ওর চেয়ারে বসে ওর লোকগুলোর দিকে ভ্রুকুঁচকে তাকিয়ে আছে।লোকগুলো যেন কিছু বলতে চায় ওকে।একজন লোক বলে উঠলো স্যার এখন যে আর মেয়ে পাঠাতে বলেননা বাসায়? লাগেনা আপনার?মেয়ে দিয়ে কি করবো আমি?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।
না মানে স্যার আগে তো লাগতো।সোনিয়া লিজা কল দিয়ে দিয়ে মাথা নষ্ট করে ফেলছে।
কল ধরেছো একবার ও?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
স্যার ধরছি তারা বলতেছে আপনার বাসায় যাইবো।
রোয়েন টেবিলের ওপর দুটি ব্রিফকেজ রেখে বলল এখানে কিছু টাকা আছে।সোনিয়া আর লিজা কে এগুলো পাঠিয়ে দিও।বলো আমার ঘরের আশেপাশে যেন না দেখি।একজন লোক রোয়েনের দিকে এগিয়ে এলো স্যার সোনিয়া কল করছে।আপনার সাথে কথা কইবার চায়।রোয়েন বিরক্তি নিয়ে ফোন কানে দিলো।
YOU ARE READING
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...