রোয়েনের ঘুম ভাঙ্গতেই মায়াবতীর মায়াবী মুখটা চোখে পড়েনা।হুড়মুড় করে উঠে বসে রোয়েন।কই গেল এই মেয়ে?রুহী!!!!রুহী!!!!!!চিৎকার করে ডাকতে থাকে রোয়েন।
নাস্তা বানাচ্ছিলো রুহী রোয়েনের জন্য।আজ হঠাৎ ইচ্ছে হলো ওনাকে নিজ হাতে নাস্তা বানিয়ে খাওয়াতে।তাই সকাল উঠে গেছে রুহী।রোয়েনের ডাক শুনতে পেয়ে উপরে উঠে আসে রুহী।রোয়েনের রুমে যেতেই আলমারির সাথে জাপটে ধরে ওকে।রুহী চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।
দাঁতে দাঁত চেপে রোয়েন বলল চোখ নিচে।রুহী মাথা নোয়ালো।কই ছিলা? রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।আ আ আমি তো ন নি.......থামিয়ে দিলো রোয়েন। রুহীর দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে রোয়েন বলল সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে যেন তোমায় দেখি।ধাক্কা দিয়ে সরে এলো রুহী থেকে দেখি জামা বের করো আমার রোয়েন রাগী গলায় বলতে লাগলো।রুহী পিছনে ফিরে আলমারি খুলে রোয়েনের দিকে তাকায় অসহায় চোখে।রোয়েন কি পরবে বুঝতে পারছেনা রুহী কারন আলমারিতে কালো চকোলেট কালার ছাড়া কোন শার্ট নেই রোয়েনের।রুহীকে সরিয়ে দিয়ে আলমারি থেকে কালো একটি শার্ট বের করে নেয় রোয়েন।রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে বলতে শুরু করে রোয়েন যখন ঘরে ফিরবো তোমাকে যেন সামনে দেখতে পাই।ঘরে ঢুকতেই জড়িয়ে ধরবা আমাকে রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রোয়েন।।
(এসব কি বলছেন ওনি?ঘরে ঢুকতেই ওনাকে জড়িয়ে ধরতে হবে???এমন অদ্ভুত কথা কেন বলছেন?)মাথা নিচু করে ভাবতে থাকে রুহী।আরেকটা কথা আসার পর কফি চাই আমার। সেটা কাজের লোক দিলে খবর আছে তোমার। আগেই বলেছি এটা তোমার........(রোয়েন কে থামিয়ে দিলো রুহী)
মাথা নিচু করেই বলতে লাগলো আমার সংসার তাইতো?আমি সব করবো।।
আর শুনো গোসল করে বের হলে চুল মুছে দিবে আমার গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
(ওনার কি নিজের হাত নেই?আজ এমন অদ্ভুত আচরন করছেন কেন?)ভাবতে থাকে রুহী।
অবশ্যই আছে তবে আমার খেয়াল রাখার দায়িত্ব তোমার কাজের লোকদের না।
(মনের কথা শুনে ফেললেন)
স্কুলের জন্য রেডি হয়ে নাও রুহীকে কিছুটা ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
YOU ARE READING
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...