রোয়েন বেরিয়ে আসে আফজাল সাহেবের বাসা থেকে।মেজাজ প্রচন্ড রকমের বিগড়ে আছে।আনিলা বেগম কে একেবারেই পছন্দ না ওর।শুধু মাত্র রুহীর জন্য ওনার সাথে কথা বলতে হয়।আর ওনি যা বললেন রুহী কে সেটার পর তো আনিলা বেগমের প্রতি ওর মন বিষিয়ে উঠেছে।ইচ্ছে হচ্ছিলো মেরে ফেলতে আজ। নিজেকে খুব কষ্টে সামলে নিয়েছে রোয়েন।গাড়িতে চেপে বসে ল্যাপটপ অন করলো রোয়েন। রুহী বিছানা শুয়ে কাঁদছে।মেয়েটা এতো ইমোশনাল কেন?ওকে কঠিন হতে হবে রোয়েনের মতো।কারন এখন যদি রোয়েনের কিছু একটা হয়ে যায় তাহলে রুহী সহজেই ভেঙ্গে পড়বে।রোয়েন নিজে ও এখন সে অবস্থায় নেই যে নিজেকে আর রুহীকে রক্ষা করতে পারবে।গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।রুহী শুয়ে আছে।চোখের কোনায় অশ্রু জমে আছে।রোয়েন টা কেন এমন করে?ভালোভাবে বললেই তো পারে।সবসময় শুধু রাগ দেখানোর কি হলো?তিতা করলা বজ্জাত একটা হুহ আবার ও কাঁদতে শুরু করলো রুহী।হঠাৎ ওর খেয়াল হলো ও ধীরে ধীরে উপরে উঠে যাচ্ছে।চিৎকার করতে যাবে ঠিক তখনই ওর কোমড় জড়িয়ে ধরলো রোয়েন।রোয়েনের দিকে এক নজর তাকালো রুহী।রোয়েন ওর দিকে তাকিয়ে আছে তবে আজ ওর চোখে কোন রাগ নেই।রুহীকে কোলে নিয়ে রুমে এলো রোয়েন।রুহীকে খাটে বসিয়ে বাথরুম থেকে পানি এনে রুমাল দিয়ে ওর চোখ মুখ মুছে দিলো।রুহীর ঠোঁটের দিকে তাকাতেই মন খারাপ হয়ে গেল রোয়েনের।ঠোঁটের কোনে জমে যাওয়া রক্ত গুলো ভিজা রুমাল দিয়ে ঔষধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো রোয়েন।নিচে কল দিয়ে কাজের লোকগুলোকে খাবার পাঠাতে বলে রুহির পাশে এসে বসলো রোয়েন।
রুহী তোমাকে শক্ত হতে হবে।এই দুনিয়ায় ইমোশনাল হলে চলে না।মানুষ খুব সহজেই তোমার উপর চেপে বসবে।তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।তোমাকে আমার জীবনে আনা ঠিক হয়নি।কারন আমার জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই।যেকোন সময় কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।এখন এ মুহূর্তে আমার শারীরিক অবস্থা তোমায় রক্ষা করার মত নেই।তাই অস্ট্রিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।খুব দ্রুত ফিরে আসবো। তোমাকে শুট করা শিখতে হবে আমার জন্য না তোমার জন্য,তোমার সেফটির জন্য।রুহীর দুগালে হাত রেখে বলল রোয়েন।রুহী হা সূচক ভাবে মাথা নাড়লো।কাজের লোকটি খাবার নিয়ে আসতেই রোয়েন উঠে দাঁড়ালো।খাবারের ট্রে নিয়ে রুহীর কাছে এসে বসলো।রুহীকে নিজের হাতে খাইয়ে নিজে ও খেয়ে নিলো রোয়েন।দুজনে হাত মুখ ধুয়ে নিলো।রোয়েন খাটে বসে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।রুহী ওর পাশে এসে বসলো।রোয়েনের এক হাত খাটের ওপর রাখা।রুহী খুব ধীরে ধীরে রোয়েনের হাতের ওপর হাত রাখলো।একটি কোমল ঠান্ডা হাতের ছোঁয়া পেয়ে চোখ খুলে হাতের দিকে তাকালো রোয়েন।রুহীর হাত ওর হাতের ওপর। রুহীর দিকে এবার তাকালো রোয়েন।
YOU ARE READING
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...