বিরিয়ানী চলে এলো।এর গন্ধে রুহীর খিদে যেন বেড়ে গেছে আরো।কিন্তু খেতে পারছেনা কারন সামনে রোয়েন বসে আছে।বিরিয়ানীর দিকে একবার তাকিয়ে রোয়েনের দিকে অসহায় চোখে তাকায় রুহী।বিরিয়ানীর প্লেট রুহীর দিকে এগিয়ে দিলো রোয়েন খাও।
মাথা নিচে নামিয়ে রুহী বলল খিদে নেই আমার।
রুহী আরেকটা কথা বললে এমন চড় দিবো তখন কিছু খাওয়ার শক্তি থাকবেনা।জলদি খেয়ে নাও নাহলে জানো কি করতে পারি আমি দাঁতে দাঁত চেপে রোয়েন বলল।
রুহী চারপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকে কেমন ভ্যাবলার মতো চেয়ে আছে।কেউ কেউ হাসছে ও।খুব কান্না পাচ্ছে রুহীর।এখন খেয়ে নেয়া টাই ভালো মনে হচ্ছে ওর।প্লেট কাছে নিয়ে খেতে শুরু করলো রুহী। রোয়েনের ভীষন রাগ হচ্ছে ওর।
রোয়েন কফিতে চুমুক দিচ্ছে আর পলক হীন ভাবে রুহীকে দেখছে।(এভাবে বলা ঠিক হয়নি।কিন্তু কি করবে রাগটাকে সামলানো বড় কঠিন।রুহী পর কথা প্রথমে শুনলে বকা শুনতে হয়না ওকে।)
রুহীর খাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে বেরিয়ে এলো ওরা।রোয়েন রুহীর হাত ধরে গাড়ির কাছে নিয়ে এসেছে।গাড়ি খুলুন রুহী আস্তে করে বলল।
হুম।রোয়েন দরজা খুলল।।
পিছনেরটা খুলুন নিচে তাকিয়ে বলল রুহী।
গাড়ির সাথে রুহীকে চেপে ধরলো রোয়েন আমার সহ্যের পরীক্ষা নিচ্ছো?কেন কথা শুনোনা আমার?বারবার রাগাতে বাধ্য করো কেন? চিৎকার করে বলল রোয়েন।
রুহী এবার চোখের পানি আটকাতে পারলোনা কেঁদেই দিলো।ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো।
উফ আবারো সেই ড্রামা।পিছনের দরজা খুলে দিলো রোয়েন বসো।
রুহী কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লো।
রোয়েন ড্রাইভিং সিটে বসে রুহীর দিকে টিস্যু ধরলো।চোখ মুছো (দাঁতে দাঁত চেপে)।
রুহী টিস্যু নিয়ে চোখ মুছলো সারা রাস্তায়।
সামনের লুকিং গ্লাসটা রুহীর দিকে ঘুরিয়ে দিলো রোয়েন।মায়াবতী কে দেখছে ও ড্রাইভিংএর ফাঁকে।
YOU ARE READING
The Mafia Boss
Romanceএতিম ষোড়শী কন্যা রুহী মামীর অত্যাচারে নির্যাতিত হতে থাকে দিনের পর দিন।মামা আফজাল রহমান রুহীকে দিয়ে আসে দীপাঞ্জলী এতিম খানায়।সেখানে অন্যান্য শিশুদের সাথে বড় হতে থাকে রুহী।অপর দিকে রোয়েন আহমেদ নামকরা মাফিয়া টাইগার টিমের লিডার সে।জীবনে প্রেম ভালোবাসা ক...