#নেশা
লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা
পর্ব - ১৪
বলেই ফাওয়াদ এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর সাথে চোখ দিয়ে ঝড়ে যায় একফোটা পানি। এদিকে আরো তিনদিন কেটে যায়। এই কয়দিনে জারার কোন খোজ খবর নেই। এইদিকে এই কয়দিনে জারার কোন খোজ খবর না পেয়ে ফাওয়াদ টেনশনে দিন কাটাতে থাকে৷ একদিন ফাওয়াদ অফিসে বসে ভাবতে থাকে যে,
ফাওয়াদ - আমি জানি জারা কি কারনে গিয়েছে। কিন্তু এতোদিন কেন লাগছে। তাছাড়া আমার সাথে কোন খোজ খবরও নেই। মেয়েটা কি বুঝে না আমি যে টেনশন করি। তারপরেও এমন খাম খেয়ালি।
ফাওয়াদ জারাকে নিয়ে এসব ভেবে ভেবেই দিন পার করছে। এদিকে পরেরদিন অফ ডে থাকায় ফাওয়াদ বাসায় বসেই অফিসের কিছু কাজ দেখতে থাকে৷ তখনই ফাওয়াদের বাসার কলিংবেল বেজে উঠলে কামাল গিয়ে দরজা খুলে দেখে যে জারা এসেছে। এদিকে জারাকে দেখে কামাল বলে,
কামাল - কেমন আছেন জারা আপু?
জারার ফেসে কিছুটা মলিনভাব তারপরেও মুখে হাল্কা হাসি এনে বলে,
জারা - ভালোই। ফাওয়াদ কোথায়?
কামাল - সে তার রুমে।
কামাল বলার পরপরেই জারা সোজা ফাওয়াদের রুমে চলে আসে। জারা রুমের বাহির থেকেই দেখে যে ফাওয়াদ রুমে বসে একমনে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে ফাওয়াদকে দেখে জারা মনে মনে ভাবে,
জারা - ফাওয়াদ কতোটা এক্সসাইটেড ছিলো এই কেইসটা নিয়ে। এখন আমি ফাওয়াদকে কি বলবো!
জারা ফাওয়াদের রুমের বাহিরে দাড়িয়ে ফাওয়াদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এসব মনে মনে ভাবতে থাকে। অন্যদিকে ফাওয়াদ কাজের ফাকে দড়জার দিকে চোখ গেলে দেখতে পায় যে জারা দাড়িয়ে আছে। এদিকে জারাকে দেখে ফাওয়াদ অবাক হয়ে বলে,
ফাওয়াদ - জারা!
এদিকে ফাওয়াদের ডাকে জারার ধ্যান ভাঙে। অন্যদিকে ফাওয়াদ তার কাজ রেখে উঠে এসে জারাকে নিজের রুমে নিয়ে আসে আর জারাকে সোফায় বসায় আর নিজেও বসে। দুইজনেই সোফায় বসার পরে ফাওয়াদ বলে,