#নেশা
লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা
পর্ব - ১৬
বলেই জারা বারান্দা দিয়ে নিজের রুমে চলে আসে আর মেহেরুন জারার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। এদিকে পরেরদিন জারা আর ফাওয়াদ অফিসে কাজ করতে থাকে তখনই অফিসে মেহেরুন আসে। মেহেরুন এসেই জারার রুমে গিয়ে ডোর নক করলে জারা একটি ফাইল দেখতে দেখতে বলে,
জারা - কাম ইন।
তখন মেহেরুন রুমে ডুকে দরজার কাছেই দাড়িয়ে থাকে। এদিকে জারার ফাইল দেখতে দেখতে খেয়াল হয় যে, সে যাকে রুমে ডুকতে বলেছিলো সে এখনও দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে। তখনই জারা ফাইল থেকে চোখ সরিয়ে দরজার দিকে তাকালেই দেখে যে মেহেরুন। এদিকে মেহেরুনকে অফিসে দেখে জারা অবাক হয়ে যায়। আর ফাইলটি রেখেই চেয়ার থেকে দাড়িয়ে যায় আর বলে,
জারা - তুই! এইখানে?
মেহেরুন - জ্বি আমি। আর এটা তুই এতোক্ষন পর খেয়াল করলি?
জারা - হুম।
তখন মেহেরুন জারার ডেস্কের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলে,
মেহেরুন - হ্যাঁ তা তো করবিইই। কারন আমি আমার লাইফে তোর মতো এমন কাজ পাগল মানুষ দেখি নাই। মানে সিরিয়াসলি! এতো মনোযোগ দিয়ে কোন পাগলে কাজ করে?
জারা - আমি করি৷ কারন আমি তোর মতো আধা পাগল মানুষ না। কাজকাম বাদ দিয়ে টোইটোই করে ঘুরে বেড়াই না।
জারা চেয়ারে বসতে বসতে এই কথাটি বলে,
মেহেরুন - হুম তা বুঝলাম। কিন্তু টোইটোই কি?
জারা - তোর মাথা। তুই আগে এটা বল যে অফিসে কেন তুই?
মেহেরুন - আসলে আমার হসপিটালে কাজ নেক্সট উইক থেকে শুরু হবে অ্যাজ ইউ নো তো আজ বাসায় বসে বসে বোর হচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোর আর ফাওয়াদের সাথে দেখা করে আসি। তাই আসলাম।
মেহেরুনের কথা শুনে জারা হাল্কা হেসে হেসে বলে,
জারা - মেহেরুন এইটা অফিস। কোন পার্ক না যে যখন মন চাইলো চলে আসলাম।
মেহেরুন - ভাই তুই এতো প্রাকটিক্যাল কেন বুঝলাম না।
জারা - তাইলে কি তোর মতো এমন মেন্টাল থাকবো৷
![](https://img.wattpad.com/cover/214172927-288-k976101.jpg)