#নেশা
লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা
পর্ব - ১৫
বলেই জারা ফাওয়াদের বাসা থেকে চলে আসে। দেখতে দেখতে প্রায় দুই বছর পেরিয়ে যায়। এই দুইবছরে ফাওয়াদ নিজেকে যথেষ্ট গুছিয়ে নিয়েছে আর জারাও ফাওয়াদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বিকেলে,,,,,,
ফাওয়াদ অফিস থেকে বাসায় এসেই অবাক হয়ে যায়। কারন আজ ফাওয়াদের বাসায় ফাওয়াদের খালা আর খালাতো ভাই শাহরিয়ার এসেছে। এদিকে ফাওয়াদকে আসতে দেখে ফাওয়াদের খালাতো ভাই শাহরিয়ার এগিয়ে এসে ফাওয়াদকে জরিয়ে ধরে বলে,
শাহরিয়ার - কেমন আছিস?
ফাওয়াদ - অল গুড। তোর কি খবর? তোর তো কোন খোজ খবরই নাই।
ফাওয়াদের কথায় শাহরিয়ার ফাওয়াদকে ছেড়ে বলে,
শাহরিয়ার - এইতো চলে আমার কোন রকম।
এদিকে ফাওয়াদ শাহরিয়ারকে রেখে তার খালার কাছে যায়।
ফাওয়াদ - আসসালামু আলাইকুম খালামনি। কেমন আছেন?
খালামনি - ওয়ালাইকুম আসসালাম এইতো ভালো বাবা। তোর কি অবস্থা?
ফাওয়াদ - এইতো ভালোই৷
এদিকে ফাওয়াদকে তার খালামনির সাথে কথা বলতে দেখে শাহরিয়ার বলে,
শাহরিয়ার - এখন আমার মা আমাকেই ভুলে যাবে।
শাহরিয়ারের কথা শুনে ফাওয়াদের মা বলে,
ফাওয়াদের মা - আমি আছি না!
শাহরিয়ার - এইতো আমি জানতাম আমার পেয়ারি খালমনি ছাড়া আর কেউই এখন আমাকে চিনবে না।
বলেই ফাওয়াদের মায়ের কাছে এসে বসে। এদিকে অনেকদিন পর শাহরিয়ারের সাথে দেখা হওয়ায় ফাওয়াদ সেদিন শাহরিয়ারের সাথে কথা বলে কাটায়। এদিকে জারার বাসায় জারা অফিসের কাজ করতে থাকে তখনি জারার বাসায় কলিংবেল বেজে উঠলে জারা নিজেই দরজা খুলতে যায়। জারা দরজা খুলেই অবাক হয়ে যায়। কারন দরজায় আর অন্য কেউ না মেহেরুন ছিলো৷ এদিকে মেহেরুন জারাকে দেখেই বলে,