#নেশা
লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা
পর্ব - ২৩
বলেই শাহরিয়ার চলে আসে। আর ফাওয়াদ জারার দিকে তাকিয়ে থাকে। এদিকে দেখতে দেখতে ফাওয়াদ আর জারার বিয়েও হয়ে যায়৷ ফাওয়াদ আর জারাকে বিদায় দিয়ে আসার পর বাসায় মেহেরুন ফ্রেশ হয়ে আসলেই মেহেরুনের ফোনে এক আননোন নাম্বার দিয়ে কল আসে৷ আর মেহেরুন কলটি রিসিভ করে ফোনের অপর পাশের কন্ঠস্বর শুনেই অবাক হয়ে যায়৷ কারন ফোনে আর অন্য কেউ না শাহরিয়ার ছিলো।
শাহরিয়ার - কি ব্যাপার মিস বকবক হটাৎ এমন চুপ হয়ে গেলেন কেন?
মেহেরুন - আপনি! আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?
শাহরিয়ার - আজকাল কারো নাম্বার পাওয়া কি খুব বেশি কঠিন নাকি? তাও আবার যখন আপনারই ফ্রেন্ড আমার ভাইয়ের ওয়াইফ৷
মেহেরুন - জারা আপনাকে নাম্বার দিয়েছে!
শাহরিয়ার - মাথা খারাপ তোমার?
মেহেরুন - তাহলে কোথায় পেলেন?
শাহরিয়ার - কোথায় আবার ফাওয়াদের ফোন থেকে৷
মেহেরুন - আপনি ফাওয়াদের কাছ থেকে আমার নাম্বার চেয়েছেন আর ফাওয়াদ আপনাকে দিয়ে দিলো!
শাহরিয়ার - আহারে মেয়েটা কত্তো প্রশ্ন করে। আচ্ছা শুনো। আমার ফোনে চার্জ ছিলো না বলে ফাওয়াদের ফোন নিয়েছিলাম এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলার জন্য। তো কল কেটে ভাবলাম আপনি যেখন ফাওয়াদেরও ফ্রেন্ড নিশ্চয়ই ফাওয়াদের কাছে আপনার নাম্বারও হবে। তাই ফাওয়াদের ফোনের কন্ট্রাক্ট লিস্ট চেক করি আর সেখান থেকে তোমার নাম্বার পেয়েও গিয়েছিলাম লাকিলি। তো সেখান থেকেই পেলাম।
মেহেরুন - রিয়্যালি!
ফাওয়াদের কথা শুনে কিছুটা মুচকি হেসে কথাটি বলে মেহেরুন আবার বলে,,,
মেহেরুন - তো আমার নাম্বার এইভাবে লুকিয়ে নাওয়ার কারন?
মেহেরুনের কথা শুনে শাহরিয়ার মুচকি হেসে বলে,,,
ফাওয়াদ - অনেক তো ঝগড়া করলাম। এখন নাহয় বন্ধুত্ব করি। বন্ধু হতে তো কোন প্রব্লেম নেই তাই না?