#নেশা#২০

31 2 0
                                    

#নেশা

লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা

পর্ব - ২০

মেহেরুনের এই কথাটি শুনে জারা মেহেরুনকে জরিয়ে ধরে৷ এদিকে রাতে জারার বাসায় সবাই ডিনার করে যে যার রুমে চলে আসে। জারা রুমে এসে তার অফিসের কিছু বাকি কাজ শেষ করে রুম দিয়ে বের হতে নিলেই দেখে যে মেহেরুন জারার রুমের দিকেই আসছিলো। এদিকে জারা মেহেরুনকে দেখে বলে,

জারা - কিরে এখনও ঘুমাস নি?

মেহেরুন - আরে না আসলে ঘুম আসছিলো না তাই ভাবলাম দেখি তুই কি করিস তাই আসলাম। কিন্তু তুই এখনো ঘুমাস নি কেন?

জারা - আরে অফিসের কিছু কাজ ছিলো। তা শেষ করলাম৷ আর অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। তাই ঘুমও চলে গিয়েছে। এতোক্ষন কাজ করার সময় মনে হচ্ছিলো ঘুমিয়ে পড়ে যাচ্ছি অথচ এখন কাজ শেষ ঘুমও শেষ। তাই কিচেনে যাচ্ছিলাম কফি বানাতে। কারন ঘুম আবার কখন আসবে তার ঠিক ঠিকানা নেই৷ তাই ভাবলাম এক মগ কফি বানিয়ে খাই৷ আর বারান্দায় গিয়ে রাতের পরিবেশ ইনজয় করি৷

মেহেরুন - রাতে না ঘুমিয়ে এলাকা পাহাড়া দাওয়ার নতুন চাকরি নিয়েছিস নাকি?

জারা - লেম জোকস। বাই দা ওয়ে আমি কফি বানাতে গেলাম৷ খেতে চাইলে বলতে পারিস।

মেহেরুন - ওকে আমার জন্যও বানিয়ে নে। আজ  আমিও তোর সাথে বসে বসে এলাকা পাহাড়া দেই৷ ভাই আমি এতোটাও নির্দয় না যে আমার ফ্রেন্ডটা একা একা এলাকাটা পাহাড়া দিবে আর আমি বসে বসে দেখবো।

জারা - তুই এসব লেম জোকস কোথায় পাস বলতে পারিস! 

মেহেরুন - যেটাকে তুই লেম জোকস বলতেসিস এটা আমার প্রতিভা।

জারা - ওহ রিয়্যালি! জোকস বলা কি প্রতিভা?

মেহেরুন - তা নয়তো কি। সবাই কি আমার মতো জোকস বলতে পারে নাকি? তোর নিজের কি এমন কোন স্পেশাল প্রতিভা আছে নাকি কাজ ছাড়া?

জারা - ভাই আমার এতো প্রতিভার রাখার জায়গা নাই। তাই রাখি না।

জারা আর মেহেরুন কথা বলতে বলতে রুম দিয়ে নিচে আসে। নিচে এসে জারা কিচেনে গিয়ে কফি বানাতে থাকে আর মেহেরুন কিচেনের দরজার কাছে হ্যান্ডক্রস করে দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাড়ায় আর জারাকে বলে,

নেশা Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang