রাত ১১ টা ০৫ মিনিট,,
অর্নিসা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছে।পড়াশুনার খরচ চালাতে একটা অফিসে পার্টটাইম জব করে।
তবে আজ কাজের চাপ বেশি ছিলো তাই বাড়ি ফিরতে দেরী হচ্ছে।
ঠিক তখনি অর্নিসার মনে হলো কেউ তাকে ফলো করছে,,,,
অর্নিসা হঠাৎ দাঁড়িয়ে পেছন ফিরলো ,,
না কাউকে দেখতে পেলো নাঅর্নিসা মনের ভুল ভেবে হাঁটতে লাগলো😌
কীসব ভুলভাল ভাবছে সে ।কিন্তু আবার যখন মনে হলো কেউ আসছে তার পেছন পেছন ,,,
এবার অর্নিসা ভয় পেয়ে গেলো😰তাই দ্রুত পা চালাতে লাগলো,,
এবার দেখে কতগুলো লোক তাকে পেছন থেকে ফলো করছে এবং ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ধরেছে ,,,
অর্নিসা বুঝে গেছে মারাত্মক বড় বিপদে পড়তে চলেছে সে ,,,পরিচয়টা দিয়ে নেই🤗। অর্নিসা ,, পুরো নাম অর্নিসা তাহসিন তামান্না । মা কে নিয়ে যার পুরো ভুবন🥰
মা ও মেয়ে একজন আরেকজনের দুনিয়া।
বাবা নেই । জন্মের কিছুদিন পর একটা এক্সিডেন্টে মারা গেছে ।
কলেজে পড়ে । আর তার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করে😌আরো জানতে পারবেন পড়ে।গল্পে ফিরা যাক🥰
অর্নিসা ভয়ে ঘামতে লাগলো । কী করবে তা ভাবতে লাগলো🤔🤔
হঠাৎ করে তাদের ধাক্কা দিয়ে দৌড় লাগায় অর্নিসা ।
লোকগুলোও তার পিছন ছুটতে লাগে ,,কিন্তু এতগুলো লোকের সাথে কী পারা যায়?
যার ফলস্বরূপ লোকগুলোর হাতে ধরা পড়ে যায় অর্নিসা ।লোক-১: এবার পালাবে কোথায় ?
অর্নিসা : প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন ,, আমি আপনাদের
ছোট বোনের মতো ,,লোক-২: পালিয়ে লাভ কী হলো ,, সেই তো ধরা পড়লে,
অর্নিসা এবার ছোটা ছুটি শুরু করলো ,,
যার ফলে লোকগুলো তাকে চড় মারল,,,অর্নিসা আরো জোরে ছোটো ছুটি ,চিৎকার শুরু করলে লোকগুলো ওকে আরো জোরে চড় মারে ।
যার ফলে ঠোঁটের অনেকটাই কেটে যায় ,,
কালো দাগ হয়ে যায় ,,প্রচন্ড ভয় + চিৎকার + চড় এসবের ফলে অর্নিসা ক্লান্ত হয়ে জ্ঞান হারানোর উপক্রম,,
তখনি সে ঝাপসা চোখেই উপরে তাকিয়ে মনে প্রাণে প্রার্থনা করতে লাগলো,, যেন স্রষ্টা তাকে বাঁচায় ,,,
অর্নিসা জ্ঞান হারায় ,,,আর তখনি চারপাশে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে থাকে ,,
তুফান শুরু হলো বোধ হয়,,
অর্নিসার হাতের আংটির পাথরটা জ্বলে উঠে,,আর একটা গায়েবী ধোঁয়ার মতো কেউ এসে লোকগুলোকে মারতে থাকে ,,,
লোকগুলো প্রাণের ভয়ে পালাতে থাকে ,,,
কোনোরকমে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয় ।ঐ অদৃশ্য ধোঁয়ার লক্ষ্য এখন ঐ লোকগুলো নয় তার লক্ষ্য হলো অর্নিসা ,,
অর্নিসার কাছে যায়,, তার গালে হাত বুলাতেই চড়ের দাগ আর কাঁটা ঠোঁট ঠিক হয়ে যায় ।
খুব যত্ন করে অর্নিসাকে তার বাড়ির সামনে রেখে যায়।একটু একটু করে চোখ খুলে অর্নিসা ।
অর্নিসা দেখে সে শুয়ে আছে তার বিছানায় । তার ঘরে,,
কিন্তু সে এখানে কীভাবে🤔
ধীরে ধীরে অর্নিসার সব মনে পড়তে থাকে ।
কিন্তু এটা বুঝলো না ওখান থেকে এখানে এলো কিভাবে,,তখনি অর্নিসার মা দেখলো অর্নিসার জ্ঞান ফিরেছে ।
অর্নিসার মা বিচলিত হয়ে গেলে অর্নিসা বলে সে ঠিক আছে ,,
এবং জানতে চায় তার কী হয়েছিলো,,মা বলে অর্নিসা নাকি তার বাড়ির সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো🤔🤔
অর্নিসা এবার ভাবে এটা কী করে সম্ভব তাকে তো ঐ লোকগুলো,,,
তার মানে কী সে এতক্ষণ হ্যালুসিয়েশন করছিলো🤔গালে হাত দিয়ে দেখে যে চড়ের দাগটাও নেই😕অর্নিসা কিছু বুঝতে পারলোনা ।
অর্নিসার মা এবার তাকে ইচ্ছেমতো বকলো ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না দেখে😔,, খাইয়ে দিলো অর্নিসাকে ,,, অর্নিসা ও বাধ্য মেয়ের মতোন খেয়ে নিলো ,,
কারণ বড্ড খিদে পেয়েছিলো তার ।এত ক্ষণ ধরে দৌড়ঝাপের কারণে খিদেটা বেশ ভালোই পেয়েছিলো😌
পাশাপাশি মা খাইয়ে দিচ্ছে নিজ হাতে🥰যাক এবার মাকে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়,, কারণ এতক্ষণ মেয়ের জন্য অনেক চিন্তা করছিলেন তিনি😌
আর অর্নিসা নিজেও ঘুমাতে যায় । ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁই ছুঁই। এখন না ঘুমালে সকালে কলেজের জন্য উঠতে পারবেনা😌
যাই হোক অর্নিসা ঘুমিয়ে পড়লো।😴😴
রাত ৩ টা ১০ মিনিট । অর্নিসা তখন গভীর ঘুম। তখনি অর্নিসার হাতে থাকা আংটিটা জ্বলে উঠল 💍
আর ধোঁয়ার মতো কেউ একটা অর্নিসার ঘরে প্রবেশ করলো ।
অর্নিসার চুলে হাত বুলাতে লাগলো। অর্নিসা খানিকটা ব্রু কুচকালো ঘুমের ঘোরেই । কিন্তু ঘুম ভাঙলো না ।☆এভাবেই তোকে বিপদ থেকে বাঁচিয়ে যাবো....
বলেই অদৃশ্য সেই ধোয়া ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।অর্নিসা ঘুমিয়েই আছে😴😴 । এতকিছু হলো তাও বেচারী কিছুই টের পেলো না😕😕
চলবে,,,
©️Written by Ashlar Anu
YOU ARE READING
"অদৃশ্য আত্মা"
Paranormalআপনারা যারা ভয়ংকর ভূতের গল্প কিংবা রহস্যের গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা গল্পটি পড়ে দেখতে পারেন। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন কিছু লিখার চেষ্টা করেছি আমি।