পরেরদিন অর্নিশাকে আবারো একা কলেজে আসতে হয় ।
তর্ণাটা বেড়াতে গেছে নানুরবাড়ি তে তাই
এখন একা একাই যেতে আসতে হবে।কলেজ থেকে অফিসে যেতে হবে । আজকে কলেজ অফিস দুটোই আছে । ভেবেছিলো অফিস থেকে ছুটি নেবে । পরে ভাবল শুধু শুধু ছুটি নিয়ে কাজ নেই । পরে মাসশেষে বেতন কম হলে চলতে আরো কষ্ট হবে।
কলেজ থেকে অফিস যাবার রাস্তাটা একটু নিরব । বেশি কেউ আসা-যাওয়া করেনা ওখানে ।
এমনিও এসময় মানুষ অনেকেই ঘুমোয় বা বিশ্রাম নেয় । তাই আরো নিরব ।
অর্নিশা হেঁটে চলেছে ঐ নিরব রাস্তা ধরেই । অন্যদিনের তুলনায় আজ রাস্তাটা বেশি নিরব।
অর্নিশা ভয়ে ঢুক গিলে । একবার ভাবে যে ফিরে যাবে ।
পরে ভাবে এতটুকু পথ যখন এসেছি এখান থেকে ফিরে যাওয়া বোকামী হবে।এখানে কোনো রিকশাও নেই যে রিকশায় করে যাবো।
সাহস করে যখন এতটুকু এসেছি বাকীটা রাস্তাও চলেই যাই । অফিস তো আর খানিক দূরেই।
এই বলে নিজেই নিজেকে সাহস দিয়ে সামনের অর্থাৎ অফিসের দিকে হাঁটতে থাকে।
হঠাৎ কেউ এসে অর্নিশার মুখে রুমাল চেপে ধরে । অর্নিশা বুঝতে পারছেনা এরা কারা ।
কারণ তারা অর্নিশার চোখ ও বেঁধে ফেলেছে । অর্নিশার নাকে একটা মিষ্টি গন্ধ আসতেই অর্নিশার কেমন বোধ শক্তি হারিয়ে যেতে থাকে ।
অর্নিশার প্রচুর ঘুম পেতে থাকে ।চাইলেও চোখ খুলে রাখতে পারছিলো না ।
ধীরে ধীরে এভাবেই অনামিকা অজ্ঞান হয়ে যায় ।হ্যাঁ , ওরা ঐদিনের ঐ লোক গুলোই,,
আবার অর্নিশাকে ওরা ধরতে এসেছে ।তবে সবুজ পাথর বিশিষ্ট আংটিটি এখন আর তার শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি । কারণ এখন দিন । আর দিনে ঐ অদৃশ্য শক্তি নিস্তেজ থাকে ।
অর্নিশাকে এনে ওরা একটা গোডাউনে রেখে দেয় । ওদিনে সূর্য ডুবতে আরো অনেক্ষণ বাকি । আর অদৃশ্যের শক্তি পেতে ।
অল্প অল্প করে চোখ খুলে অর্নিশা।
চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখে সে একটা অন্ধকার ঘরে বন্ধী,,ধীরে ধীরে অর্নিশার জ্ঞান ফিরতেই সব বুঝতে পারে অর্নিশা,,
তাকে আবারো কিডন্যাপ করা হয়েছে ।কিন্তু এখন সে বাঁচবে কীভাবে ,,
কে তাকে বাঁচাবে এবার?তখনি অর্নিশা শুনতে পায় যে লোকগুলো বলছে যে তাকে নাকি তারা পাচার করে দেবে ।
আর সেটা আর মাত্র কিছুক্ষণ পর যখন রাত বাড়বে।অর্নিশার মাথায় কিছু আসছেনা ,, সে বুঝতে পারছেনা কী করবে এবার কারণ বিপদে পড়লে মাথা তে কিছু আসে না । মাথা কাজ করে না আমাদের।
অর্নিশা কিছু বুঝতে পারছেনা । সে তার বাঁধা হাতটা কাছে এনে দেখে যে আংটি টি কেমন নিস্তেজ হয়ে আছে । আজ এখনো জ্বলছে না ।
তবে কী এবার সে বাঁচবে না,,
বাঁচার কী আর কোনো উপায় নেই এদের কাছ থেকে ?
এবার অর্নিশার কাঁদার বেগ আরো বৃদ্ধি পায় । ঐ বারের মতোই এক ফোঁটা পানি আবারো তার আংটিতে পরে ।অর্নিশা বলে ওঠে ,,
হে অদৃশ্য শক্তি আমাকে বাঁচাও তুমি ।প্রথমবারের মতো অনামিকা শুনতে পায় ,,, " অর্নু বোন আমার ,, আর একটু অপেক্ষা করো । "
তখনি মিষ্টি একটা মেয়েলি কন্ঠ শুনে অনামিকা ।
সে এবার একটু শান্তি পায় ।
ভরসা হয় এ কন্ঠের উপর ।
মনে হচ্ছে যে একটা আশার ছোট আলোর খোঁজ পেলো সে ।
এবারো সে বাঁচতে পারবে এদের কাছ থেকে ।
(পরবর্তি পর্বের লিংক কমেন্টে দেয়া হবে)
চলবে,,,,,
©️Written by Ashlar Anu
YOU ARE READING
"অদৃশ্য আত্মা"
Paranormalআপনারা যারা ভয়ংকর ভূতের গল্প কিংবা রহস্যের গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা গল্পটি পড়ে দেখতে পারেন। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন কিছু লিখার চেষ্টা করেছি আমি।