💙 ষষ্ঠ পর্ব 💙

10 2 0
                                    

পরেরদিন  অর্নিশাকে আবারো  একা  কলেজে আসতে  হয় ।

তর্ণাটা  বেড়াতে  গেছে  নানুরবাড়ি  তে  তাই
এখন  একা  একাই  যেতে  আসতে  হবে।

কলেজ  থেকে  অফিসে  যেতে  হবে ।  আজকে কলেজ  অফিস  দুটোই আছে  । ভেবেছিলো  অফিস থেকে ছুটি নেবে  । পরে  ভাবল  শুধু  শুধু  ছুটি  নিয়ে কাজ  নেই  । পরে  মাসশেষে  বেতন  কম  হলে  চলতে আরো  কষ্ট  হবে।

কলেজ  থেকে  অফিস  যাবার  রাস্তাটা  একটু  নিরব । বেশি  কেউ  আসা-যাওয়া  করেনা  ওখানে ।

এমনিও  এসময়  মানুষ  অনেকেই  ঘুমোয়  বা  বিশ্রাম  নেয়  ।  তাই  আরো  নিরব  ।

অর্নিশা  হেঁটে  চলেছে  ঐ  নিরব  রাস্তা  ধরেই । অন্যদিনের  তুলনায়  আজ  রাস্তাটা  বেশি  নিরব।

অর্নিশা  ভয়ে  ঢুক  গিলে  ।  একবার  ভাবে  যে ফিরে  যাবে  ।
পরে  ভাবে  এতটুকু  পথ  যখন  এসেছি  এখান থেকে  ফিরে  যাওয়া  বোকামী  হবে।

এখানে  কোনো  রিকশাও  নেই  যে রিকশায়  করে যাবো।

সাহস  করে  যখন  এতটুকু  এসেছি  বাকীটা  রাস্তাও  চলেই  যাই  ।  অফিস  তো  আর  খানিক  দূরেই।

এই  বলে  নিজেই  নিজেকে  সাহস  দিয়ে  সামনের অর্থাৎ  অফিসের  দিকে  হাঁটতে  থাকে।

হঠাৎ  কেউ  এসে  অর্নিশার মুখে  রুমাল  চেপে ধরে  ।  অর্নিশা  বুঝতে  পারছেনা  এরা  কারা  ।

কারণ  তারা  অর্নিশার  চোখ  ও  বেঁধে ফেলেছে । অর্নিশার   নাকে   একটা   মিষ্টি  গন্ধ    আসতেই অর্নিশার  কেমন  বোধ   শক্তি   হারিয়ে  যেতে   থাকে  ।  

অর্নিশার  প্রচুর  ঘুম  পেতে  থাকে  ।চাইলেও   চোখ  খুলে  রাখতে  পারছিলো   না  ।
ধীরে  ধীরে  এভাবেই  অনামিকা  অজ্ঞান  হয়ে  যায় ।

হ্যাঁ   ,    ওরা  ঐদিনের  ঐ  লোক গুলোই,,
আবার   অর্নিশাকে  ওরা  ধরতে  এসেছে ।

তবে  সবুজ পাথর বিশিষ্ট আংটিটি  এখন  আর  তার  শক্তি প্রদর্শন  করতে  পারেনি  ।  কারণ  এখন  দিন  ।  আর  দিনে  ঐ  অদৃশ্য   শক্তি  নিস্তেজ  থাকে ।

অর্নিশাকে   এনে   ওরা  একটা  গোডাউনে  রেখে দেয়  ।  ওদিনে   সূর্য   ডুবতে   আরো  অনেক্ষণ   বাকি ।   আর   অদৃশ্যের   শক্তি   পেতে  ।

অল্প    অল্প   করে   চোখ   খুলে  অর্নিশা।
চারদিকে  চোখ   ঘুরিয়ে  দেখে  সে  একটা   অন্ধকার   ঘরে  বন্ধী,,

ধীরে   ধীরে  অর্নিশার  জ্ঞান   ফিরতেই   সব বুঝতে   পারে   অর্নিশা,,
তাকে   আবারো   কিডন্যাপ   করা   হয়েছে   ।

কিন্তু   এখন   সে   বাঁচবে   কীভাবে ,,
কে   তাকে   বাঁচাবে   এবার?

তখনি   অর্নিশা   শুনতে   পায়   যে   লোকগুলো বলছে  যে   তাকে   নাকি   তারা   পাচার   করে   দেবে ।
আর   সেটা   আর  মাত্র  কিছুক্ষণ  পর   যখন   রাত   বাড়বে।

অর্নিশার  মাথায়   কিছু   আসছেনা   ,, সে   বুঝতে   পারছেনা    কী   করবে   এবার   কারণ বিপদে   পড়লে   মাথা   তে   কিছু   আসে   না   । মাথা   কাজ   করে   না   আমাদের।

অর্নিশা   কিছু   বুঝতে   পারছেনা  ।  সে   তার  বাঁধা   হাতটা   কাছে   এনে   দেখে   যে   আংটি   টি   কেমন   নিস্তেজ   হয়ে    আছে ।   আজ   এখনো জ্বলছে   না ।

তবে   কী   এবার  সে   বাঁচবে   না,,
বাঁচার  কী  আর  কোনো  উপায়  নেই  এদের  কাছ  থেকে ?

এবার  অর্নিশার  কাঁদার  বেগ   আরো   বৃদ্ধি   পায়   ।   ঐ বারের   মতোই   এক   ফোঁটা   পানি  আবারো   তার   আংটিতে   পরে ।

অর্নিশা  বলে   ওঠে ,,
হে   অদৃশ্য   শক্তি   আমাকে   বাঁচাও   তুমি   ।

প্রথমবারের   মতো   অনামিকা   শুনতে   পায়   ,,,    "  অর্নু   বোন   আমার  ,,  আর   একটু   অপেক্ষা করো । "

তখনি   মিষ্টি   একটা   মেয়েলি   কন্ঠ   শুনে   অনামিকা ।

সে   এবার   একটু   শান্তি   পায়   ।
   

ভরসা   হয়   এ   কন্ঠের   উপর  ।

মনে হচ্ছে   যে   একটা   আশার   ছোট   আলোর খোঁজ   পেলো   সে   ।

এবারো   সে   বাঁচতে   পারবে   এদের   কাছ   থেকে  ।

(পরবর্তি পর্বের লিংক কমেন্টে দেয়া হবে)

চলবে,,,,,
©️Written by Ashlar Anu

"অদৃশ্য আত্মা"Where stories live. Discover now