💙 দশম পর্ব 💙

8 1 0
                                    

-অর্নিশা, আমার কী মনে হয় জানিস?
-কী মা?
-আমার মনে হয় ....

টিং টং,,
হঠাৎ ই তাদের কলিং বেলটা বেজে উঠে,,

অর্নিশা দরজা খুলতে গেলো,,

অর্নিশা দরজা খুলতেই অবাক হয়ে গেলো।
কারণ বাইরে একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটি বাক্সবিশেষ। অর্নিশা খানিকটা ভয় ও অবাক হলেও মুখে তা প্রকাশ করলো না🙂

গলার স্বরে একটু গাম্ভীর্য ধরে রেখেই বললো,,
অর্নিশা: কে আপনি ? এবং কী চাই🤨
যুবক: আসলে একটি পার্সেল দিতে এসেছিলাম😊
অর্নিশা: কীসের পার্সেল? আমি তো কিছু অর্ডার করিনি🤨
যুবক: না একজন লোক এটা আপনাদের ঠিকানায় পাঠিয়েছে😊
অর্নিশা: নামটা কী জানতে পারি?
যুবক: না ম্যাম , নামটাতো উল্লেখ নেই ।
অর্নিশা: এমা! নাম লেখা নেই কেন? তাহলে বুঝবো কীভাবে কে পাঠালো🙂
যুবক: তাতো জানিনা ঠিক। আমার কাজ শুধু নির্দিষ্ট ঠিকানায় কাঙ্খিত উপহার গুলো পৌঁছে দেয়া☺️। এর বাইরে কোনো কিছু জানা সম্ভব নয়😊
অর্নিশা: ঠিক আছে😒আসতে পারেন😌

লোকটি চলে গেলো। অর্নিশা দরজাটি বন্ধ করে বাক্সটি নিয়ে এলো ।
অর্নিশার মা অর্নিশাকে ডেকে বলে কে এসেছিলো ?
অর্নিশা বলে একজন তাদের কে কিছু পাঠিয়েছে🙃

অর্নিশা বাক্সটা খুলে আরো অবাক হয় ।
কারণ বাক্সতে যা ছিলো তা অবাক করার মতোই🐸

একটি ফুলের তোরা💐💐আর সাথে একটা নকশা করা কাগজে ডিজাইন করে লিখা,
𝑭𝒐𝒓 𝒚𝒐𝒖 𝑴𝒚 𝑳𝒐𝒗𝒆,,
𝖆𝖗𝖓𝖎𝖘𝖍𝖆

অর্নিশা রেগে বাক্সটাকে বাইরে ফেলে দিলো ,,
এইসব তার একটুও পছন্দ নয়🙃
মা কিছু জিজ্ঞেস করাতে অর্নিশা বলে হয়তো কেউ মশকরা করেছে তার সাথে।

আর এসবের চক্করে অর্নিশা ভুলেই যায় যে অর্নিশা তার মায়ের কাছ থেকে কিছু জানতে চেয়েছিলো😬

দিনশেষে আবারো অর্নিশা ঘুমিয়ে পড়ল।
আজো ঘরে এসেছিলো সে অদৃশ্য হয়ে ।
না এসে পারবে কীভাবে, লক্তের টান তো তাই ,,
ঘুমন্ত অর্নিশাকে এক পলক দেখেনিলো।

পরদিন সকালে অর্নিশা কলেজ যায়নি । কারণ তেমন কোনো ইম্পর্টেন্ট ক্লাস ছিলো না ।
তবে একটা ফ্রেন্ডের সাথে একটা ক্যাফেতে যায়।
আর সেখানে অর্নিশা দেখতে পায় একজন তার বাবার মতো দেখতে কেউ এসে ঠিক তার পেছনে বসলো।

ঐ লোকটাকে দেখে অর্নিশার তার বাবার কথা মনে পড়ে ।
হ্যাঁ, তার বাবা বেচেঁ থাকলে হয়তোবা আজ এরকমি দেখতে হতো ।
একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে । যাতে মিশে ছিলো তার কষ্ট তার এতদিনের যন্ত্রণাগুলো, যা একমাত্র সেই জানে !!

হঠাৎ অর্নিশার চোখ যায় হাতের আংটিটির দিকে । আজকে আংটির পাথরটিও কেমন রক্তিম হয়ে আছে ।
মনে হচ্ছে কোনো বুকফাটা কষ্ট আর কোনো নতুন বিপদের আভাস !!
অর্নিশা এখন মনে মনে অদৃশ্য মেয়েটির সাথে কথা বলতে পারে । মনে মনে জানতে চায় এমন রক্তবর্ণ ধারণ করার কারণ ।
অর্নিশাকে মেয়েটি জানায় যে খুব বড় বিপদ আসতে চলেছে তার জন্য !!
আর অর্নিশাকে পালানোর নির্দেশ দেয় মেয়েটি। অর্নিশা তখনি তার বন্ধুকে একটা কাজের ফাহানায় বাইরে বের করে দেয় । আর যখনি সে ক্যাফে থেকে বের হবার জন্য দরজার কাছে যায় তখনি একটা বিকট শব্দ হয় !!
হ্যাঁ সেই বিকট শব্দটা আর অন্যকিছুর নয় বন্দুকের।
ভাগ্য ভালো গুলিটা অর্নিশার জন্য ছোড়া হলেও অর্নিশার গায়ে লাগেনি।

অর্নিশা অতিদ্রুত সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে এবং অনেকদূরে একটা অন্ধকার ঝোঁপের কাছে চলে আসে ।
আর সেখানে অদৃশ্য-র সাহায্যে বাড়ি চলে আসে।

অর্নিশা তার নিজের রুমে আসে ।
অর্নিশা-না আর পারছি না । আমি জানতে চাই সব । অদৃশ্য তুমি যেই হও আমাকে সবটা খুলে বলো ।
আমি যে আর অপেক্ষা করতে পারছিনা ।আমাকে বলো না প্লিজ কেন বার বার আমাকে মারার জন্য ওরা পিছনে পড়ে থাকে ?কেন আমার বাবার মৃত্যুটা এরকম রহস্যময় ?
কেন সব রহস্যের কাছে এসেও কিছু একটা অজানা থেকে যায়?

~ "তুমি জানতে চাও সবকিছু? শুনবে সব? চাও শুনতে ?

অর্নিশা: হ্যাঁ,হ্যাঁ,হ্যাঁ, আমা শুনতে চাই সব , জানতে চাই সবকিছু । দয়া করে সবকিছু আমায় বলো!!

~ " তাহলে শুনো আমি আর কেউ নই তোমার বোন অন্বসা,যাকে তুমি স্বপ্নে দেখ প্রতিদিন!! যার সাথে তুমি জন্ম থেকেই ছিলে । তোমার বোন আমি!!"

অর্নিশা: ককী!!!!🥺🥺

চলবে,,
©️Written by Ashlar Anu

"অদৃশ্য আত্মা"Tahanan ng mga kuwento. Tumuklas ngayon