~" হ্যাঁ,অর্নিশা,, আমিই সেদিন বাঁচিয়েছিলাম তোমাকে ঐ লোকগুলোর থেকে,,"
অর্নিশা~"তার মানে ওটা আমার হ্যালুসিনেশন
ছিলোনা,,
ওটা আমার সাথে বাস্তবেই ঘটেছিলো?"~"হ্যাঁ"
অর্নিশা~" আর ঐদিন যে রিয়া...."
~"আমার কাছে বেশী সময় নেই কথা বলার,,যা করতে হবে তাড়াতাড়ি,নয়তো একটুপর তোমায় তারা প্রাচার করে দিবে,,"
অর্নিশা~" আমি জানিনা তুমি কে,,
তবে অনুরোধ করছি তোমায় ,ঐদিনের মতো আমায় বাঁচিয়ে দাও,,"~"আমি চাইলে তোমাকে আমার সাথে অদৃশ্য করে নিয়ে যেতে পারতাম ,, কিন্তু,,"
অর্নিশা~" নিয়ে যাও এখান থেকে,, এদের কাছ থেকে আমাকে বাঁচাও,,"
~" কিন্তু আমার এখন কোনোশক্তিই নেই,,"
অর্নিশা~"তাহলে কী এবার আর আমি বাঁচতে পারব না?"
অর্নিশা অনুভব করল কেউ তার হাতের উপর হাত রাখল ,,
~" ভরসা রাখ ,,"অর্নিশার এখানে আর কিছুই করার নেই বাঁচার আশায় অপেক্ষা করা ছাড়া,,
ওদিকে অর্নিশার হাতের বাঁধন খুলে দেয় অদৃশ্য,,,
~" আমি কিছুক্ষণ ওদের আটকে রাখবো মায়ার সাহায্যে ততক্ষণের মধ্যেই তোমাকে পালাতে হবে,,
পালাও,,"মায়ার সাহায্যে একটা দরজা তৈরী করে দেয় অদৃশ্য ,,
অর্নিশা পালাতে শুরু করে ,,কিন্তু অর্নিশাকে তখনি কেউ মুখ চেপে ধরে,,
অর্নিশা বুঝলো আবারো ধরা পড়েছে অর্নিশা,,তার মুখ চেপে ধরে তাকে একটা অন্যজায়গায় নিয়ে আসে,,
অর্নিশা এরপর যাকে দেখে তাকে দেখে অবাক হয়ে যায়,,অর্নিশা- মি. রায়হান আপনি!!
রায়হান-কিন্তু আপনি এখানে এলেন কীভাবে? মানে ওরা আপনাকে পেলো কোথায়?
তারপর অর্নিশা বলে কীভাবে ঐ লোকগুলো তাকে ধরে নিয়ে যায়,,,
ওদিকে একটা ইম্পর্টেন্ট মিটিং সেড়ে ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরছিলো রায়হান ,,
আজকে বেশি দেড়ি হয়ে গেছে তাই জঙ্গলের পাশে একটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো শর্টকাট,,
আর তখনি রায়হানের গাড়ি ব্রেকফেল করে আর জঙ্গলের ভিতর চলে যায়,,রায়হান: আরে গাড়ি নিজে নিজে চলছে কীভাবে😯😯
আর গাড়িটা একটা গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এক্সিডেন্ট করে,,ভাগ্যবসত তার আগেই রায়হান গাড়ি থেকে ঝাপ দেয়,,
রায়হান- সিট!! এখন কী করি,, সন্ধ্যাও ঘনিয়ে
আসছে ,,
নেটওয়ার্ক ও নেই এখানে,,
এখন তো বাড়িও ফিরতে পারব না,,
কী করি🤔
সামনে দেখি কোথাও কোনো বাড়ি আছে কিনা,,
আরে ওটাতো একটা গোডাউনের মতো কিছু একটা
দেখিতো কেউ আছে কিনা,,কিছু দূর যাবার পর রায়হান ওখানে একটা কানের দুল দেখতে পায়,,
রায়হান- এটা তো কানের দূল,, কিন্তু এরকম একটা জঙ্গলে দুল আসবে কোথা থেকে,,
কোথাও দেখেছি দেখেছি মনে হচ্ছে🤔
আরে এটা তো মিস. অর্নিশার ,,,নিরাপদে সড়ে দাঁড়ায় রায়হান,
তারপর ঐ ঘরটার জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে যে অর্নিশাকে কেউ ওখানে বেঁধে ফেলে রেখেছে,,
লোকদের কথা বার্তা শুনে বুঝলো কত বড় বিপদে পড়েছে অর্নিশা,,তারপর একটু চারপাশ ঘুরে দেখে কী করা যায় এখন,,
রায়হান যখন উপায় পেয়ে ফিরছিল ও গোডাউনের দিকে দেখে অর্নিশা এদিকেই ছুটে আসছে আরেকটু হলেই গোন্ডাগুলোর নজরে পড়ে যেতো,,
তাই মুখ চেপে ওদের থেকে দূরে নিয়ে আসে,,অর্নিশা স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানালো এভাবে সব বিপদে বাঁচিয়ে দিলো তাই,,
অদৃশ্যের কথা মতো ই জঙ্গল পেড়িয়ে কোনোরকমে বাড়ি ফিরে অর্নিশা,,
সাথে রায়হান ও ছিলো,,অর্নিশা রায়হানকে তাদের বাড়িতে আসতে আমন্ত্রণ জানায় ,,
এতটা পথ আসতে সাহায্য করেছেন ,,
রায়হানকে ভিতরে এনে মাকে সবকিছু বলে শুধু অদৃশের কথা বাদ দিয়ে ,,মাও রায়হানকে অনেক ধন্যবাদ জানায়,,
রায়হান তার অফিস থেকে গাড়ি এনে বাড়ি চলে যায়,
অর্নিশা খুব ক্লান্ত তাই বিশ্রাম নিতে যায়,,ওদিকে লোকগুলো ঘরে এসে দেখে অর্নিশা ওখানে নেই,,
লোকগুলো তাদের বসকে ফোন দিয়ে বলে ,,
লোক-বস,আপনি ঐ মেয়েটাকে পাচ্ছিনা,
বস-একটা মেয়েকে দেখে রাখতে পারলি না,,😤
লোক-সরি বস
ফোন কেটে দেয়,,
আর তখনি ওখানে ঝড় শুরু হয়,,🌅🌅🌄🌄
পরদিন অর্নিশা নিউজে দেখতে পায়,,
ঐ লোকগুলোকে কেউ অনেক হিংস্রভাবে মেরে ফেলেছে,চলবে,,,
©️Written by Ashlar Anu
YOU ARE READING
"অদৃশ্য আত্মা"
Paranormalআপনারা যারা ভয়ংকর ভূতের গল্প কিংবা রহস্যের গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা গল্পটি পড়ে দেখতে পারেন। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন কিছু লিখার চেষ্টা করেছি আমি।