রেগে থাকলে অর্নিশার মাথা কাজ করে না ,,
আর অর্নিশা এখন মাথা গরম(রেগে থাকা) অবস্থায় অফিসের ডেক্সটপে কাজ করছে ,,
টাইপিং তো না যেন কোনোকিছু কে কুচি কুচি করছে😥😥আর একটা ফাইল রেডি করতে গিয়ে অনেকগুলো ভুল করে বসলো বেচারী😥😥
এদিকে অফিসের চেয়ারে বসে আছে অফিসের বস,,
মিস্টার রায়হান চোধুরী,,
এই কোম্পানীর বস এবং young buisnessman..
একটা ইম্পর্টেন্ট ফাইল চেক করছিলো সে,,,What!! রাগে চিৎকার করে উঠে রায়হান,,
এত ইম্পর্টেন্ট ফাইল আর এটাতেই এত ভুল😤অর্নিশা তার ডেক্সটপেই ছিলো,,
এখন রাগ অনেকটাই কমেছে,,তখনি ডাক পড়ল অর্নিশার,,,
তাকে নাকি অফিসের বস ডেকেছে😕অফিসের বসকে এখনো দেখেনি অর্নিশা,,
শুধু নামটাই শুনেছে,,,আজকের দিনটাই ভালো না😤। সব খারাপ হচ্ছে আমার সাথে😤-রেগে গিয়ে বলল অর্নিশা,,
অর্নিশা গেলো বসের কেবিনে ,,
দরজায় এসে বলল,
অর্নিশা-May I come in sir...
বস: yes,,come in..
অর্নিশা দেখল একজন স্যুট পড়া লোক পেছন ফিরে চেয়ারে বসে আছে,,
অর্নিশা:আমায় কী ডেকেছিলেন স্যার?
রায়হান: মিস. অর্নিশা তাহসিন তামান্না কী আপনির নাম নয়?
অর্নিশা: yes sir😔😔
রায়হান: তাহলে নিশ্চয় আপনাকে ডাকা হয়েছে,,,
অর্নিশা: yes sir,, and sorry..
রায়হান:কাজ ঠিকমতো করছেন তো?
অর্নিশা:ইয়েস স্যার🙄
রায়হান : তাহলে এই ফাইলটাতে এত ভুল কেন মিস. তামান্না?(বলতে বলতে সামনে ঘোরল আর ফাইল টা ছুড়ে দিলো)তখনি পেছন থেকে সামনে ঘোরল রায়হান আর রায়হান অর্নিশাকে আর আর্নিশা রায়হানকে দেখে দুজন ই অবাকের চরম পর্যায়ে,,
অর্নিশা ও রায়হান একসাথে,,: 😲😲আপনি এখানে!!
আবারো একসাথে: সেটা তো আমারো প্রশ্ন??রায়হান: ওয়েট ওয়েট আপনিই তো কালকে কলেজে মাথা ঘোরে পড়ে গিয়েছিলেন তাইনা🤔
অর্নিশা: জ্বী
( এতক্ষণ কন্ট্রোল করলেও অর্নিশার ইচ্ছে করছে রায়হানের উপর সব রাগ ঝেরে ফেলতে,,)রায়হান লক্ষ্য করলো অর্নিশা কোনো কিছু নিয়ে টেন্সড আর অন্যমনস্ক ,,
রায়হান: আচ্ছা যান,, পরের বার থেকে যেনো আর এমন ভুল না হয় আজকের জন্য আপাতত আপনার ছুটি পরের বার থেকে মন দিয়ে কাজ করবেন😒
অর্নিশা: Thanks...
বলেই অর্নিশা চলে গেলো,,রাতে,,,
অর্নিশা নিজ বাসার বারান্দায় বসে আছে ,,
বেচারীর ঐ সকালের ব্যাপারটা নিয়ে মন খারাপ এখনো,,
আর অর্নিশার যখন মন খারাপ থাকে তখন এই বারান্দাতে একা সময় কাটায় ,,
তার গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে,,অর্নিশার মা কয়েকবার মন খারাপের কারণ জানতে চাইলেও অর্নিশা বলেনি ,,
কারণ না বলার পণ করলে অর্নিশা আর কিছুই বলে না,,
অর্নিশার মা ও আর কিছু জানতে চায় নি ,,
অর্নিশা ইচ্ছে করেই বলেনি কারণ তার মা যদি জানতো তার কী কারণে মন খারাপ তিনিও কষ্ট পেতেন,,সারা রাত জেগে অনেক খাটা-খাটুনি করে অর্নিশা এসাইনমেন্ট টা রেডি করেছিলো,,
শুধু তাই নয় বেচারীর জ্বর ও ছিলো,,
আর অন্যদের মতো অর্নিশাদের তেমন সামর্থ্য নেই যে টিউটর এর কাছে পড়বে,,
নিজের থেকে সব লিখতে হয়েছে ,,এগুলো ভাবতে ভাবতেই অর্নিশার চোখের কোটরে পানি জমে এলো এবং ভাগ্য বসত সেখান থেকে একফোঁটা পানি অর্নিশার আংটির পাথরটাতে পড়ল ।
আর পাথরটা কেমন ফোস করে জ্বলে উঠল,,অর্নিশা সেটা লক্ষ্য করলো এবং ভাবতে লাগলো অর্নিশা আবার হ্যালোসিনেশন করছে কিনা ,,
আবার নানা কথা ভাবতে ভাবতে অর্নিশার আবারো সকালের ঘটনা মনে পড়লো আর আবারো মন খারাপ হয়ে গেলো,,
এমন যদি হতো যে সে এসাইনমেন্ট করেনি তাই স্যার বকা দিয়েছে তাহলেও এতটা কষ্ট হতো না,,
কিন্তু সে তো করেছে ,,, অর্নিশার তো কোনো দোষ নেই ,,
অর্নিশার আবারো চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো,,ঠিক তখনি অর্নিশার গায়ে একটা লাল বিন্দু এসে পড়লো ,,
অর্নিশা সেটাকে দেখে ধরতে নিলো আর তখনি বিন্দুটা অন্য জায়গায় চলে এলো,,
অর্নিশা আবার সেটাকে ধরতে নিলো ,,
এবার সেটা আরো দূরে গিয়ে একটা নকশাতে রূপ নিলো,,বার বার এদিক ওদিক জায়গা বদল করছিলো এবং একেক বার জায়গা বদলের সময় একেক নকশা তৈরী করছিলো,,
অর্নিশা এবার আর ঐ আলো টাকে ধরার জন্য ছোটোছোটি না করে ঐ আলোটার বিভিন্ন নকশায় পরিবর্তন দেখতে লাগলো,,এবার শুধু নকশা নয়,, নানা রকম লেখাও আসছে,,
যেমন,,
Don't be sad
Be happy Always
Be confidentএগুলো দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো অর্নিশা এবং নতুন করে উৎসাহিত হলো,,
আর নিজের ঘরে চলে গেলো অর্নিশা ,,
আর ওদিকে একজন কাজ হয়ে গেছে বলে আস্তে করে ইয়েস বলে লাফিয়ে উঠল আর নিজ গন্তব্যে চলে গেলো,,
চলবে,,
©️Written by Ashlar Anu
YOU ARE READING
"অদৃশ্য আত্মা"
Paranormalআপনারা যারা ভয়ংকর ভূতের গল্প কিংবা রহস্যের গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা গল্পটি পড়ে দেখতে পারেন। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন কিছু লিখার চেষ্টা করেছি আমি।