রাত একটা বাজে।
জানালা দিয়ে চাঁদের নরম আলো এসে ঘরটাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
হোস্টেলের রুমগুলো বেশ বড় বড়। প্রতি রুমে তিনজন করে থাকলেও এই রুমে উঠেছে দুজন। নাফিসা অবশ্য অনেক আগে থেকেই এখানে থাকে। নতুন যে এসেছে তার নাম দীপা। সবেমাত্র কলেজে উঠেছে, বাবা মাকে ছেড়ে এতদূর আসাটা এখনও ঠিক মেনে নিতে পারছে না ও।
প্রথম কয়েকদিন নাফিসা কোনো কথা বলেনি নতুন মেয়েটার সঙ্গে।
কথা হল তৃতীয় রাতে। নাফিসার ঘুম হঠাৎ করে ভেঙে গেল একটা চিৎকার শুনে। ও দেখতে পেল, পাশের বিছানায় শুয়ে নতুন মেয়েটা ঘুমের মধ্যেই চেঁচিয়ে উঠেছে। তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে ওকে ঝাঁকুনি দিয়ে বলল নাফিসা,"কি হয়েছে?"
মেয়েটা চোখ খুলে তাকালো এবং চুপ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে মনে করতে চেষ্টা করল সে কোথায় আছে। তারপর মনে হল ও খানিকটা লজ্জিত।
"কিছু হয়নি, তুমি ঘুমাও।"
"আচ্ছা।" বললেও সন্দেহ দূর হল না নাফিসার।......
আজ দেরী হয়ে গেছে। তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে যাবার জন্য কলেজের পেছনের গেট দিয়ে ঢুকল দীপা।
সিনিয়র কতগুলো ছেলে সিগারেট হাতে দাঁড়িয়ে আছে ওখানে।
একজন ইচ্ছে করেই ওর গায়ে ধোঁয়া ছাড়ল।
ও রাগী চোখে তাকায়, অন্য সময় হলে কিছু না কিছু বলত। কিন্তু ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে ভেবে ও চলে যেতে চাইল।
"দেখ দেখ, মামনি রাগ করছে।" বলে অভদ্রের মত হাসতে থাকে একজন।
ওদের মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন ছেলেটা ওর দিকে প্রথমবার তাকাল - সানগ্লাস নামিয়ে নিয়ে বলে উঠল,"কি ফিগার!"এবার আর চুপ করে থাকল না দীপা, সামনে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিল। তারপর দ্রুত হেঁটে চলে যায় ও। পেছন ফিরে তাকাল না আর।
প্রথম ক্লাসটা ভালোমত শেষ হল। দ্বিতীয় ক্লাস শুরু হবার আগে দুই তিনজন ছেলে মেয়ে এল স্পোর্টস ক্লাবের নোটিশ নিয়ে। দীপা সামনে তাকিয়ে শক্ত হয়ে রইল, নোটিশ দিতে সেই ছেলেটাও এসেছে। ওই তো সাদা শার্ট পরনে,একটা ভ্রূ কুঁচকে রেখেছে। ওর মনে আছে ছেলেটার বাম চোখের ওপরের ভ্রূ কাটা।
দীপা নিজের বইয়ের দিকে তাকাল। যাবার আগে কেউ ওর দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, বেচারী দীপা তা দেখল না।
YOU ARE READING
Love Maniac
Hayran KurguA young college girl Deepa suddenly started to face many strange incidents. On the other hand, Prithvi is a rich and arrogant boy, who always spends time with his friends. Someone got into a cold war with Dipa. Both want to get their love at any cos...