চোখ মেলে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম । বোঝার চেষ্টা করছি এখন আমি কোথায় রয়েছি আর আর কেন ঘুম ভাঙ্গলো । কয়েক মুহুর্ত যাওয়ার পরেই আবারও ডাকটা কানে এল !
-তপন দা ! তপন দা !
বাহাদুরের কন্ঠ । আমি তখনও চালের দিকে তাকিয়ে রয়েছি । বাইরে তখনও অন্ধকার । তবে সকালের আলো ফুটবে ফুটবে করছে ! এমন সময় ঢাকাতে হলে আযানের আওয়াজ শোনা যেত । কিন্তু এই পাহাড়ে আযানের শব্দ শোনা যাবে না । আমি বাহাদুরের দিকে না তাকিয়েই বললাম, বল বাহাদুর !
-আমাদের কিন্তু খুব ভোরে রওয়ানা দিতে হবে । নয়তো চংলুত পাড়ায় পৌছাতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।
আমি আরও কিছু সময় শুয়েই রইলাম । গতকাল শরীরের ব্যাথাটা এখন একটু ভাল করে টের পাচ্ছি । অনেক দিন পরে এমন হাটাহাটি করার ফল টের পাচ্ছি । আজকে সারাদিন আমাদের হাটতে হবে । কোথাও থামাথামি নেই ।
হঠাৎ করেই আমার মনে হল আমি কেন এই কাজটা করতে যাচ্ছি ? কোন কি দরকার আছে?
কেন এসেছি এই পাহাড়ে ?
ট্রেকিংয়ের নেশা এক সময় আমার ছিল ঠিকই তবে এখন বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেসব কমে এসেছে । এই কয়েকটা দিন এখানে না থেকে যদি নিজের ব্যবসায়ে মন দিতাম কিংবা অন্তত পরিবারের সাথেও কোথাও বেড়াতে যেতাম সেটাও বুঝি বেশি ভাল ছিল । এখনও খুব বেশি দেরী হয়ে যায় নি । দালিয়ান পাড়া থেকে রেমাক্রি মাত্র তিন ঘন্টার পথ । তারপর ওখান থেকে থানচি পৌছাতে পৌছাতে আর ঘন্টা দুই । থানছি থেকে সোজা বান্দরবান শহর হয়ে ঢাকা চলে যাওয়া যায় । মনে হল সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সোজা রওয়ানা দিই ঢাকার দিকে । কিন্তু আমি জানি যে কৌতুহল নিয়ে আমি এসেছি এখানে সেটা কোন ভাবেই ঢাকাতে বসে নিবারন করা যাবে না । সুযোগ যেহেতু এসেছে একবার চেষ্টা করতে হবে !
প্রতিটি আদিবাসী ঘরের পেছনেই একটা ঝুল বারান্দার মত স্থান থাকে । এমন কোন কাজ নেই যে করা হয় না । তবে এটা সব সময়ই পরিস্কার পরিছন্ন থাকে । আর দালিয়ান পাড়াটা সব সময়ই পরিস্কার পরিছন্ন । আমি বিছানা থেকে উঠে এসে দাড়ালাম সেই বাঁশের বারান্দায় !
YOU ARE READING
সায়েন্স ফিকশন সমগ্র
Science Fictionবেশির ভাগ গল্পই আমার প্রেমের গল্প । তারপর আছে ভুতের গল্প ! হাতে গোনা অল্প কয়েকটা সায়েন্স ফিকশন লিখেছি আমি । তবে সেগুলো নিয়েও একটা আলাদা পোস্ট দেওয়া যেতে পারে । সেই জন্যই এখানে আলাদা আরেকটা ট্যাব খুললাম । এখানে কেবল সায়েন্স ফিকশন গুলো পোস্ট করা হবে !