রোবট বউ

671 25 2
                                    

  -গুড মর্নিং

আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি নিনেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখ । প্রতিদিন সকালে ওর হাস্যজ্জ্বোল চেহারা দেখে ঘুম ভাঙ্গে আমার । দিনটা শুরু হয় ভাল ভাবে ।
আমি বললাম
-গুড মর্নিং ! আজকের ব্রেক ফার্স্ট কি ?
-চা রেডি । কি খাবে বল ?
-আজকে হলিডে স্পেশাল ! ঘি এ ভাজা পরোটা আর গরুর মাংস চাই !
-ঘি তোমার শরীর জন্য মোটেই ভাল না । এটা হবে না ।
-দেখো, এতো ডাক্তারী ফলাবা না । বলেছি ঘিয়ে ভাজা পরোটা । ব্যস ! আর কোন কথা শুনতে চাই না !
নিনেন আমার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে বলল
-এটা আমি পারবো না খুব ভালভাবেই জানো । আমাকে এই ভাবেই তৈরি করা হয়েছে । তোমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই আমার দ্বারা করা সম্ভব না । আমি চাইলেও হবে না ।

আমি জানি এটা হবে না । মানুষ নিয়ম ভাঙ্গতে পারে রোবট পারে না । আমি মুখ গোমরা করে বললাম
-তাহলে যা আমার পছন্দ তাই বানাও ।
নিনেন হাসলো । তারপর বলল
-পছন্দ এবং স্বাস্থ্যকর !
-হ্যা বাবা স্বাস্থ্যকর !


নিনেন চলে গেল । আমি আরও কিছু সময় গড়াগড়ি খেলাম । তারপর যোগাযোগ মডিউলটা বের করে মাকে ফোন দিলাম । মায়ের ত্রিমাত্রিক চেহরা ভেসে উঠলো ।
-এখনও ঘুমাচ্ছিস ?
-মা । আজকে ছুটির দিন আজকে তো একটু ঘুমাতে দাও ।
-ছুটির দিন হয়েছে তো কি হয়েছে ! জীবনে কি কোন নিয়ম কানুন থাকবে না ? টাইম টেবিল থাকবে না ? এখন বাজে নয়টা এখনও নবাব সাহেব ঘুমাচ্ছে । এই জন্য বলেছিলাম একটা বিয়ে কর !

আমার মায়ের সেই ঘুরে ফিরে একই কথা । বিয়ে বিয়ে আর বিয়ে । তার মতে আমার জীবনের সব সমস্যার সমাধানই হচ্ছে বিয়ে । একবার ঠিক ঠাক মত বিয়ে করলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । মায়ের বুঝি এমনই হয় । ছেলেদের বিয়ে না দিয়ে তাদের মনে শান্তি থাকতে না । এখন তেইশ শতক চলে এসেছে এখন তারা ছেলের বিয়ের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না । সেদিন মানব সভ্যাতার ইতিহাস পরছিলাম । আজ থেকে দুই তিনশ বছর আগেও মায়েরা তাদের ছেলেদের বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতো ।

আমি মোটেই বিয়ে করতে চাই না । আজ থেকে হাজার বছর আগে যেমন মেয়েদের বোঝা মুসকিল ছিল, এখন এতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়েও মেয়েদের মন ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় নি । শতাব্দীর দুটি বড় বড় বিজ্ঞান প্রজেক্ট ছিল এই মেয়েদের মন ব্যাখ্যা করার পেছনে । সেগুলো সব মাঠে মারা গেছে । তারপর থেকে এর পেছনে সরকার অর্থ ব্যয় করা বন্ধ করে দিয়েছে । এই ব্যাপারে সব কিছুর উপরে লেখা থাকে অসংজ্ঞায়িত ।

এর থেকে আমার নিনেনই কত ভাল । অনেক টা আমার ঘরের বউয়ের মতই । আমার ঘর কে চমৎকার ভাবে সামলায় । একটাই সমস্যা ও মানুষ নয় রোবট । ওকে আমি কিনে এনেছি । তবে রোবট হলেও ও যে রোবট এটা কোন ভাবেই বোঝার উপায় নেই । একেবারে মানুষের মত আচরন । এটাই নাকি ওদের নতুন সংস্করন । আর আমি নাকি ওদের প্রথম কাস্টিমার । ৬ মাত্রার এই রোবট গুলো নিজে নিজে সব কিছু শিখে নিতে পারে । একেবারে মানুষের মত অনুভুতি সম্পন্ন তারা ! খুব বেশি জটিল কিছু না হলে জীবন সব কাজই তারা করে ফেলতে পারে । আমার প্রতিদিনকার আচরন থেকে আমি কি পছন্দ করি কিংবা না করি কোনটা আমার জন্য ভাল এই সবই সে দিন দিন শিখতে থাকে !

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার নিনেনের মত একটা বউ থাকলে ভাল হত । হ্যা মাঝে মাঝে ও নিজেও আমাকে প্যারা দেয় । বিশেষ করে আমার জন্য যেটা খারাপ সেটা ও কোন সময়ই করবে না । যেমন ঘিয়ে ভাজা পরোটা খেলে আমার প্রেসার একটু বেড়ে যায় । খুব যে বড় কিছু না তা কিন্তু নিনেন সেটা করবে না কিছুতেই । এখানেই সম্ভবত মানুষ আর রোবটের ভেতরে পার্থক্য । আমরা নিয়মের থেকেও মনকে প্রধান্য দেই বেশি । ওরা নিয়মের বাইরে কিছু করে না ।

রাতে খাওয়ার সময় নিনেনের সাথেই বসে গল্প করি । ও অনেক কিছু জানে । এমন না ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে আমাকে বলে । আসলে ওকে কেনার সময় ওর কোম্পানী আমাকে বলেছি এই ৬ মাত্রার আর সি রোবট গুলো মুল নেটওয়ার্কের থেকে স্বাধীন । অর্থাৎ একটা মানুষ যেমন আস্তে আস্তে সব কিছু খেয়ে ঠিক তেমনি ভাবে নিনেনও আস্তে আস্তে সব কিছু শিখবে । নিত্য দিনের কাজ থেকে, বই পড়ে কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে । অন্য রোবটের মত নয় যে তার দিয়ে প্লাগ ইন করলো নেটওয়ার্কের, তারপর সব ডাটা ডাউনলোড করে নিল ।

মায়ের অনেক আপত্তি ছিল রোবট কেনার ব্যাপারে । মা বলেছিলো ঘর সামলানোর জন্য মানুষ বিয়ে করে আর আমি রোবট কিনে আনছি । মাকে কে বোঝাবে এই যুগে কোন মেয়ে ঘর সামলায় তারা । তারা বাইরে কাজ করে ঠিক পুরুষের মতই । এমন কি মা নিজেও সারা জীবন বাইরে কাজ করেছে বাবার মত । তবুও তার ধারনা হয়েছে যে মেয়েরা সংসারকে সামলে রাখে ।
কিভাবে রাখে কে জানে ? সে সকাল সন্ধ্যা বাইরে কাজ করবে আমিও বাইরেই কাজ করি । সে যদি সামলাতে পারে আমি কেন পারবো না শুনি ! মা এই প্রশ্নের উত্তরে বলল, কারন তুই ছেলে । তুই পারবি না ।

যাক আমি তর্ক করি নি । নিজের ব্যবস্থা নিজে নিজে করে নিয়েছি ।

খাওয়ার টেবিলে নিনেন বলল
-তোমার বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে । এখন সবাই বিয়ে করে ফেলো !
আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বললাম
-আহ ! মায়ের মত কথা বলবা না তো !
-তিনি তো ঠিকই বলেছেন । তাই না ?
-আমার দেখো ঝামেলা ভাল লাগে না । আমারই ঘরে অন্য একটা মেয়ে এসে আমার উপর খবরদারি করবে এটা আমার পছন্দ না ।

নিনেন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুটা সময় । মাঝে মাঝে আমি কনফিউজ হয়ে যাই । নিনেন যে রোবট আমি ভুলে যাই । এতো নিখুত হতে পারে রোবটের কাজ । আমি একদিন ওর গায়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলাম । একেবারে মানুষের মাংশের মত মনে হয়েছে । ওর কোম্পানী আমাকে বলেছিলো ওর দেহ সেলুলয়েডের নরম তন্তু দিয়ে তৈরি । একেবারে সত্যিকারের মাংসের মত ।

নিনেন বলল
-সব মেয়ে তো আর তোমার উপর খবরদারি করবে না ।
-করবে । বউ মানে বস ! অফিসে বসের ঝাড়ি শুনবো আবার বাসায় এসে বউয়ের ঝাড়ি শুনবো !

নিনেন হেসে ফেলল । তারপর বলল
-তাই বলে বিয়ে করবে না এটা তো হতে পারে না । তাই না ?
-আমি আসলে বিয়ে করতাম, যদি তোমার মত কাউকে পাওয়া যেত । তুমি যেমন আমার চমৎকার দেখা শুনা কর । আমার ভাল মন্দটা সবার আগে বোঝো ।
নিনেন বলল
-তুমিও তো আমার দেখা শুনা কর তাই না ? এই যে প্রতিমাসে আমার পেছনে এতো গুলো টাকা খরচ কর, আমার সাথে গল্প কর । আমি যে তোমার কেউ এটা ফিল করাতে সদা সতেষ্ট থাকো । এমনই তো হয় । তোমার বউ যে হবে সেও এমনই হবে । তুমি তার জন্য কিছু করবে সেও তোমার জন্য কিছু করবে । কিছু ছাড় তুমি দিবে সেও দিবে ছাড় । এভাবেই বেঁচে থাকা !

আমি নিনেনের দিকে তাকিয়ে বলল
-মায়ের সাথে দেখা হয়েছে তোমার, তাই না ? মা এসব শিখিয়েছে ! শুনো আমি জানি তুমি বলতে চাও । তবে সত্যি এই কদিনে আমি বুঝেছি যে তোমার মত কোন মানুষ যদি থাকে তাহলে আমি সেই মেয়েকে বিয়ে করবো । সত্যি বলছি !

নিনেন বলল
-সত্যি তো ?
-হ্যা সত্যি !
-কথা দিচ্ছো কিন্তু ! আর এখন কথা দিয়ে কথা না রাখা কিন্তু অপরাধের পর্যায়ে পড়ে ।
-হ্যা বাবা কথা দিলাম । যদি তোমার মত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে আমি তাকে বিয়ে করবো !

নিনের দিকে তাকিয়ে মনে হল ও যেন একটু একটু মুচকি হাসলো !


পরদিন অফিস থেকে বাসায় নিনেন কে কোথাও খুজে পেলাম না । এমন তো হওয়ার কথা না । ওরা ঘরের বাইরে যায় না কোন সময় । তারপরই মনে হল কেউ হয়তো ওকে চুরি করে নিয়ে গেছে । কিন্তু এই যুগে সেটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার । এমন তো হওয়ার কথা না । ওদের অফিসে ফোন দিলাম । ওরা কিছু বলতে পারলো না । তবে ওরা কথা দিলো যে ওরা খোজ লাগাচ্ছে কিন্তু মুল নেটওয়ার্ক থেকে স্বাধীন হওয়ার কারনে ওদের খুজে পাওয়া একটু মুসকিল হয়ে উঠলো ।

পরদিন পুলিশে খোজ দিলাম । ওর বলল যে ও দেখবে । পুরো সপ্তাহ আমি নিনেনকে ছাড়া কাটালাম । বলতে গেলে আমার সব কিছু কেমন বদলে গেল । সব কিছু উল্টে পাল্টে গেল । মাত্র এই কদিনে নিনেন আমার কাছে এতো জরুরী হয়ে উঠেছে সে আমি নিজেই বুঝতে পারি নি ।


পরের ছুটির দিনে সকালের ঘুম ভাঙ্গলো কলিং বেলের শব্দ শুনে । উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি সেখানে নিনেন দাড়িয়ে হাসি মুখে । আমার প্রথমে মনে আমি হয়তো স্বপ্ন দেখছি । নিনেন হাসি মুখে বলল
-আমাকে মিস করেছো এতো দিন ?
আমি চিৎকার করে উঠে বললাম
-করি নি মানে ? তুমি কোথায় ছিলে কেন গিয়েছিলে কে নিয়ে গেছে তোমাকে ?
-আরে বাবা আস্তে আস্তে । এতো প্রশ্নের জবাব একবারে কিভাবে দিবো । আগে বলল আমাকে ছাড়া চলছে না তোমার ?
-না । সব কিছু ওপটপালট হয়ে গেছে ।
-আমাকে বিয়ে করবে ?
আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না । বললাম
-মানে ?
-ঐদিন বলেছিলে না যে আমার মত কাউকে পেলে বিয়ে করবে, তাই তোমার জন্য মেয়ে খুজতে গিয়েছিলাম । তারপর বুঝলাম যে আমার মত সব থেকে বেস্ট মেয়ে হচ্ছে আমি নিজে । তাই চলে এলাম !
-কি বলছো এসব ?
-হ্যা । তুমি কিন্তু কথা দিয়েছো । আমার কাছে প্রমান আছে ।
-কিন্তু তুমি তো .....
আমি নিনেনের দিকে তাকিয়ে দেখি ও হাসছে । তারপর বলল
-আমি রোবট ? এই তো ? কিন্ত যদি আমি মানুষ হই ?
-মানুষ হই মানে ?
-বিশ্বাস হচ্ছে না ?

এই বলে খাবার টেবিলের উপর থেকে ফল কাটা ছুরিটা হাতে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের উপর পোচ দিল । আমি তাকিয়ে দেখলাম ওর হাত কেঁটে রক্ত বের হল । আমি অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে রইলাম । তখনই দেখলাম দরজা দিয়ে মা আর বাবা ঢুকছে । তাদের পেছনে একজন নারী আরেকজন পুরুষ । পুরুষটা আর কেউ নয়, আমি যে কোম্পানী থেকে নিনেন কে কিনে এনেছিলাম সেই কোম্পানীর ম্যানেজার ! এই লোক এখানে কি করছে ?

মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আরে গাধা, তুই সারা জীবন গাধাই রয়ে গেছি । এরকম নিখুত রোবট তুই দেখেছিস কোন দিন ?

আমার যে সন্দেহ হয় নি তা না । মানুষের মত দেখতে রোবট আমাদের আসে পাশে আছে কিন্তু তারা কোন ভাবেই নিনেনে রমত এতো নিখুত ছিল না । কিন্তু ঐ রোবট কোম্পানীর ম্যানেজার আমাকে এমন ভাবে বুঝালো যে আমি সত্যি সত্যি বুঝি এমন নিখুঁত রোবট আছে !

বাবা বলল
-এ হচ্ছে আমার বন্ধু ! বুঝেছিস । আর নিনেন হচ্ছে ওর মেয়ে । নিনেনই তোকে পছন্দ করেছে । তিন মাস আগে যে তুই একটা বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলি সেখানে তোমাকে দেখেছে । ওরাও মেয়ের জন্য ছেলে খুজছিলো । তুই যখন একটা বোরট কিনতে চাইলি তখনই আমাদের মাথায় এই বুদ্ধি এল । বুঝলি ?

আমি বললাম
-তাই বলে তোমরা সবাই মিলে আমার সাথে এমন করবে ? এমন ভাবে ধোকা দিবে ?
নিনেন আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল
-শুনো বেশি বাড়াবাড়ি করবা না । তুমি যে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছো সেটার প্রমান আমার কাছে আছে । আর আমি যে রোবট এটার কোন প্রমান দেখাতে পারবে না । সো চুপচাপ রাজি হয়ে যাও । নয়তো ....

কথাটা আসলেই সত্যি । নিনেনের বাবা যেহেতু ঐ কোম্পানীর ম্যানেজার সেহেতু উনি রোবট ক্রয়ের সব তথ্য গায়েব করে দিতে পারবেন কিংবা ইতি মধ্যে দিয়েছেনও আমার প্রমান করার কিছু থাকবেও না যে নিনেন আসলেই একটা রোবট । আর এই দিকে আমি নিজ মুখ স্বীকার করেছি । সেটা নিশ্বচয় ও রেকর্ড করে রেখেছে ।

আমি অন্য ঘরে চলে গেলাম । নিজেকে এতো বোকা বোকা লাগছে যে বুঝাতে পারবো না । একটু পরে দেখি নিনেন আমার পাশে এসে বসলো । তারপর আমার হাতটা ধরে বলল, ভালবাসা আর যুদ্ধ জয়ের জন্য সব কিছু করা যায় !
আমি কোন কথা বললাম না ।
নিনেন আবার বলল
-আর আমি কিন্তু সেই আগের মতই আছি । আমি কেবল আমার নিজের ভেতরেরটাই তোমাকে দেখাতে চেয়েছি । বলতে চেয়েছি সবাই এক নয় । তুমি কিন্তু সেটাই পছন্দ করেছো ! তাহলে ?

আমি তবুও চুপ করেই রইলাম । নিনেন বলল
-তারপরেও যদি তুমি আমাকে বিয়ে করতে না চাও তাহলে আমি জোর করবো না । এই দেখো সেই ভিডিও আমি মুছে দিচ্ছি !

আমার চোখের সামনেই ভিডিওটা ডিলিট করে দিল । আমি খানিকটা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম । নিনেন বলল
-আমি ভালবাসি বলেই কাজটা করেছি । অন্যায় হয়তো করেছি, তবুও ভাল বেসেই করেছি !

আমি কিছু বলছি না দেখে নিনেন বলল
-আচ্ছা ঠিক আছে । আমি চলে যাচ্ছি !

এই বলে ও উঠতে যাবে তখনই আমি ওর হাত ধরলাম । বললাম
-এই একটা সপ্তাহ আমি বুঝে গেছি তুমি আসলে আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ন ! রোবট হও আর মানুষই হও তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না কিছুতেই !

বিয়ে শেষ পর্যন্ত করতেই হল !!  

সায়েন্স ফিকশন সমগ্রWhere stories live. Discover now