পর্ব-৫

61 2 2
                                    

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★ পর্ব-৫ [পথ রহস্য সিরিজ]🎬

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★ পর্ব-৫
[পথ রহস্য সিরিজ]🎬

(প্রত্যাবর্তন প্রহেলিকা অবলম্বনে ফ্যান্টাসির সংমিশ্রণে একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)।

লেখকঃ MD Mazharul Islam (পথ)।
এডিটরঃ
বিদ্বেষিনী লিলিথ

পর্ব-৫

৩ দিন পর।
অত্যাধুনিক মহাকাশযান ★গ্যালাকটিক সুইসাইড★ 0.01% কিছুক্ষণের মধ্যে জুরাইসিক্স গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
কর্নেল টাইগার (ট্রাইগ্রাস)
লিজেন্ডারি হ্যাকার সাইফ খান,
ভিনগ্রহী ট্রিপ্রিয়া।
ও আমি কমান্ডার ট্রেক।
প্রত্যেকের শরীরে টান টান উত্তেজনা বিস্তার করছে।
আমার শরীরের প্রত্যেকটি রক্ত কণিকায় BCR এর বিজ্ঞান বিভাগের তৈরি অত্যাধুনিক নেনো টেকনোলজির সচল উপস্থিতি টের পাচ্ছি।
যা কিনা শুধুমাত্র আমার শরীরেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে।
সেই সাথে BCR হতে প্রায় ২ ডজন সেন্ট্রি+ব্যাটল রোবট ও ২টি বিশাল WT ওয়ার বট এনেছি, অতিরিক্ত ব্যাকআপ হিসেবে।
এবং এগুলো বিশেষ ভাবে প্রোগ্রামিং করা যা শুধু আমার ভয়েস কমান্ডে সচল হবে বা নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে।

জুরাইসিক্স গ্রহটি যেমন বিশালাকৃতি, তেমনি তার সব কিছুই বিশালাকার।
প্রত্যেকটা বৃক্ষরাজি, পাহাড় পর্বত, দৈত্যাকার নিলাভ ঝর্ণা, নদীনালা ও সমুদ্র,
বিশাল সব বন জংগলের অভয়ারণ্য গ্রহটি।
অনেকটা পৃথিবীর আদিম জুরাইসিক যুগের মত।
এই নীল, সবুজের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যাবার মত অবস্থা।
কিন্তু কোনো অদ্ভুত কারনে এই গ্রহে ঢোকার পর থেকে আমাদের প্রত্যেকটা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কিছুনা কিছু সমস্যা করছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা যানের শিল্ড সিস্টেম, মানে প্রতিরক্ষা বলয় কাজ করছেনা।
এই মূহুর্তে আক্রান্ত হলে শিল্ড ব্যতীত  সরাসরি আমাদের যানটি আঘাত প্রাপ্ত হবে।
তাছাড়া গ্রহটির ভৌগলিক অতিপ্রাকৃতিক কিছু গুন বা শক্তি আছে যা আমাদের মহাকাশযানের সেন্সরবোর্ডে অনবরত সনাক্ত হচ্ছে যার কারনে হয়ত এখানে সকল প্রযুক্তিগত অপূর্ণতা পাচ্ছে।
কণিকা ও ট্রিপ্রিয়াদের রিসার্চ যানটা কেনো নষ্ট হয়েছিল তার কিছুটা আভাস পাচ্ছি আমি।

ট্রিপ্রিয়াদের যান যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার আশেপাশেই আমরা কাঙ্ক্ষিত ল্যান্ডিং যোন খুজছি।
নিচে চারিদিকে ঘনঘন বিশাল সব গাছপালা, একেকটা ৩০০-৪৫০ ফিটের কম না।
আবার কিছুকিছু তো হাজার ফিটের কাছাকাছি।
জঙ্গলের মাঝেমাঝে অনেক খালি জায়গা পেলেও ওখানে ল্যান্ড করতে মন সায় দিচ্ছেনা।
মনে হচ্ছে ঘন বৃক্ষরাজীর মধ্যে ভয়ঙ্কর কিছু লুকিয়ে আছে।
নিচে গাছগাছালির আড়ালে অনেক কিছুর নড়াচড়া লক্ষ করছি কিন্তু ঘন গাছপালার কারনে বোঝা যাচ্ছে না।

হাঠাৎ ২ মাইল দূরে সবুজাভ গাছপালা ভেদ করা বিশালাকার একটা অতীব প্রাচীন বিদঘুটে দুটি কাঠামো দেখতে পেলাম আমরা।
ও দুটাের উচ্চতা কম হলেও ৭৫০-৮০০ ফিটের মত হবে,
ভালো করে খেয়াল করতেই দেখলাম স্থাপনা দুটি নয় একটি, ভূমী থেকে ৪০০ পর্যন্ত জোড়া দেয়া বিশালাকার একটি স্থাপনা ওটা।
আর ওটার দুইপাশে সংযুক্ত উঁচু বায়ে ৩৫০ ও ডানে ৪০০ ফিটের মাথা দুটো দেখতে অনেক টা হাজার বছরের পুরানো মিসরীয় পিরামিডের সংমিশ্রণে প্রাচীন মায়া মন্দিরের বিশালকার মিনারের মত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে পুরো কাঠামোটি কিছুটা ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ভাঙাচোরা।
ওগুলোর চারিদিক সবুজ লতাপাতা দিয়ে জায়গায় জায়গায় আচ্ছাদিত।
আমি আমার অপ্টিক্যাল কৃত্রিম বা চোখটার কারনে মূল কাঠামোটির ওপরের এক ফোকর হতে কিছু ফ্যাকাসে লাল আলোর এনার্জি তরঙ্গ বের হতে দেখলাম,
ব্যাপার টা আমার কাছে অদ্ভুত লাগলো ও সাথে সাথে তীব্রতর একটা আকর্ষণ ও কৌতুহল অনুভব করলাম ওই এনার্জিটার প্রতি।

মন্দির পিরামিড আকৃতির কাঠামোটির ১ মাইল দূরে ১,৪০০ ফুটের সমতল চূড়া বিশিষ্ট একটা মাঝারী ঢালু পাহাড় দেখতে পেলাম।
হ্যাঁ কাঙ্ক্ষিত ল্যান্ডিং যোন ওটা, নিচে যদি কোনো ভয়ঙ্কর কিছু থেকেও থাকে তাহলে উচ্চতার কারণে কিছুটা সুরক্ষা ও প্রয়োজনে পালানোর সময় পাবো আমরা।

যানের মূল সিস্টেম Alora কে বিশেষ সংবিধান কোড দিয়ে, ও সাইফ খান কে  যানের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে রাখলাম।
সাইফ চাইলে যান টা নিয়ে পালিয়ে যেতে পারবে কিন্তু আমার সংবিধান কোড ছাড়া গ্রহের বায়ু মণ্ডলের বাইরে যেতে পারবেনা।
যদি ওটাকে হ্যাকও করতে পারে তার জন্য কমপক্ষে ২ঘন্টা সময় লাগবে।
ততক্ষণে আমি ওটার মূল সিস্টেম এলোরাকে কমান্ড দিয়ে ভূখণ্ডে নামিয়ে আনতে পারবো।
তার মানে আমাদের হাতে সময় আছে ১২০ মিনিট।

তারপর আমি ট্রিপ্রিয়া, কর্নেল টাইগার, ও ৪টা সেন্ট্রি+ব্যাটল রোবট, ও ১ টা WT ওয়ার রবোট সহ পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে এলাম।

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★Where stories live. Discover now