পর্ব-৬

117 3 0
                                    

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★ পর্ব-৬ [পথ রহস্য সিরিজ]🎬

¡Ay! Esta imagen no sigue nuestras pautas de contenido. Para continuar la publicación, intente quitarla o subir otra.

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★ পর্ব-৬
[পথ রহস্য সিরিজ]🎬

(প্রত্যাবর্তন প্রহেলিকা অবলম্বনে ফ্যান্টাসির সংমিশ্রণে একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)।

লেখকঃ MD Mazharul Islam (পথ)।
এডিটরঃ
বিদ্বেষিনী লিলিথ

পর্ব-৬

কিছুকথাঃ
এই পর্বটি পুরোপুরিভাবে বুঝতে হলে আপনাকে ★ত্রিমাত্রা★ ★সমর্পণ★ ও ★প্রত্যাবর্তন প্রহেলিকা★ পড়তে হবে।
না পড়লেও অতটা সমস্যা হবে না আশা করি।👌

হঠাৎ একদলা ধোঁয়াময় ঘন সবুজ তরল যানের ১টি জেট ইঞ্জিনে প্রবেশ করলো।
প্রচণ্ড বিষ্ফোড়নে ফেটে গেলো ইঞ্জিনটা, তাল হারালো আমাদের মহাকাশযান।
প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে থাকলো শুন্যে যানটা, অবশিষ্ট জাল গুলো ছিঁড়ে আগুনের গোলার মত প্রচন্ড বেগে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের যানটা অনেকটা দূরে ছিটকে চলে এলো।
যেকোনো মুহুর্তে এটা ভূমিতে ধ্বসে পড়বে।
বের হতে হবে আমাদের এক্ষুনি না হয় ক্রাশল্যান্ডে প্রাণহানি হবে নিশ্চিত।
আমি শুধু ট্রিপ্রিয়াকে নিয়ে ভাবছি।
কোনমতে ট্রিপ্রিয়াকে ছোট্ট জেটপ্যাকসুট পড়িয়ে বাহিরে ছুড়ে মারলাম ওকে।
নিচে পড়তে পড়তে ও শুধু অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইল আমার দিকে।
আমরাও জেটপ্যাকসুট পড়তে যাবো তখনই আবার বিপত্তি ঘটল।
আরেকটা ইঞ্জিন সহ গ্যালাকটিক সুইসাইডের বাম পাশের একটি ডানা ভেঙে পরল।
আমরা সেই মারাত্মক ধাক্কায় তাল হারালাম।
ঘন্টায় ১৬০ মাইল বেগে যানটি পাক খেতে খেতে নিচে পড়তে লাগল।
প্রচণ্ড শব্দে ওটা বনের গাছগাছালি ভেঙে কোমড়জল বিশাল জলাভূমিতে আছড়ে পড়লো।
চারিদিক অন্ধকার হয়ে এলো আমার, বিধ্বস্ত দেহে, মৃদু হাসি ফুটলো আমার ঠোঁটের কোনে,  যাইহোক আমার ভালোবাসা ভিনগ্রহী ট্রিপ্রিয়া তো বেঁচে আছে।

আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরল আমার।
তার মানে মারা যাইনি আমি, হাত পা নাড়ানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু ব্যর্থ হলাম।
কিছুটা বকের মত কিন্তু পালকহীন চতুষ্পদ কোনো বিশালাকার জন্তুর গলায় স্বচ্ছ একটি থলের ভেতর নিজেকে ও অচেতন কর্নেল ট্রাইগ্রাসকে আবিষ্কার করলাম।
বিশাল থলেটি এতটাই ঘন আঠালো তরল দিয়ে ভরা যার জন্য আমি নড়তে অক্ষম।
কিন্তু সেই তরলে অক্সিজেনের পরিমাপ নিদৃষ্ট মাত্রায় তাই শ্বাস প্রশ্বাসে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।
তারমানে আমরা বন্দি,
কিন্তু কি অদ্ভুত এই বন্দিদশা!?
জ্ঞান ফিরল ট্রাইগ্রাসের, ও ছটফট করতেই আমি ওকে শান্ত হবার ইঙ্গিত দিলাম।
আমার আশ্বাসে ও কিছুটা শান্ত হয়ে আশেপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি আঁচ করতে লাগল।
আমাদের বহনকারী বিশালাকার জন্তুটির চারিদিকে আরো কয়েকশ বিভিন্ন প্রকার হিংস্র জুরাইসিক্স প্রজাতি চলছে।
মনে হচ্ছে আমাদের পাহারা দিয়ে বিশেষ কোথাও নিয়ে যাচ্ছে এরা।
কিন্তু খান কোথায়, ট্রিপ্রিয়ার কি হল!!!??

যাইহোক আপাতত এই নতুন গ্রহে নতুন প্রজাকুলের বন্দিদশায় নিজেকে দর্শকের ভূমিকায় রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম,
পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা আগে দেখা যাক।

পাহাড় পর্বত ও বনজঙ্গলে ঘেরা বিশাল সব জলাভূমি পেরিয়ে পাহাড়ে ঘেরা বিশাল এক জুরাইসিক্স শহরে কাছে নিয়ে আসা হল আমাদের।
কালো কালো কিম্ভুত কিমাকার ও বিশালাকার সব স্থাপনা,
ভেতরের দিকে একেবারে পাহাড় ঘেঁষে বিশালাকার একটি কালো প্রাসাদ দেখলাম,
পেছনেই জায়গা জায়গায় পুরো পাহাড় ফুঁড়ে বিশাল বিশাল অদ্ভুত আমাবস্যার আগেত চাঁদের মত গোল গোল কিছু কাঠামোর হাল্কা ভাঙা মাথা বেড়িয়ে আছে যা প্রসাদটির মাথায়ও আংশিকভাবে সংযুক্ত।
সবমিলিয়ে এ যে এক নতুন উন্নয়নশীল জুরাইসিক সভ্যতা যা আমার কল্পনাতীত।
জুরাইসিক্সরা সভ্য হতে শুরু করেছে,
নিশ্চয়ই এর পেছনে কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর হাত রয়েছে।
না হয় বর্বর হিংস্র প্রাণী গুলো এত শিগ্রই এতটা উন্নত ও সংঘবদ্ধ হতে পারত না।
কালের বিবর্তনে এরা নিজেদের স্বার্থে তাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে অনেকটা বিবর্তিত করেছে।
যেমন ওই মাকড়শার মত জাল ও দানবীয় কাকড়া বিছের মত প্রজাতির বিষ্ফোরক এসিড ছোড়া ইত্যাদি।
আরো অনেক কিছুই এদের প্রতিরক্ষা বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে যা আপাতত আমার জ্ঞানের উর্ধ্বে।
শহরতলীটি সাময়িক পর্যবেক্ষণে যা বুঝলাম মহাকাশযান ও অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে এরা তেমন উন্নতি ঘটাতে পারেনি এখনো।
এই দুই প্রযুক্তির সাথে যদি পুরো জুরাইসিক গ্রহের প্রজাতি একত্রিত হতে পারে তাহলে এরাই হবে মহাবিশ্বে সর্বেসর্বা।
কিন্তু কে সে? যে এখানে এই কয়েক লাখ হিংস্র প্রজাতিদের শৃংখলায় একত্রিত করেছে!!??

বড় বড় স্থাপনার পাশাপাশি চারিদিকে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বড় বড় শতসহস্র গর্তেও বিশালাকার সরিসৃপ সাপের মত আরো কয়েক প্রজাতি নজরে পরল আমার।
শহরের ভেতরে পর্বত ঘেঁষে ১,৩০০ ফুট উচ্চতার আকাশচুম্বী সেই বিশাল কালো প্রাসাদের অদ্ভুত স্থাপনার সামনে আমাদের বন্দিকারী দলটা থেমে গেলো।
ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম প্রসাদের মাথায় বেশকিছু কারুকার্য করা বড় বড় বিশাল গোলার্ধ চাক্তির মত কাঠামো যেগুলো অদ্ভুত ভাবে পর্বত ও প্রাসাদের কাঠামোয় কিছুটা সংযোযিত বা স্থাপিত।
অর্ধেক চাঁদের মত চাক্তি গুলোর মাথা পাহাড়ের কয়েকটি পাশদিয়ে বেড়িয়ে এসেছে, তারমানে মূল কাঠামোটি পর্বতের ভেতরে চাপাপড়া অবস্থায় আছে।
আর চাক্তির গুলোর ভাঙা মাথার অংশ দিয়ে দিয়ে মোটামোটা অনেকগুল ধাতব জাতীয় তার বেরিয়ে ঝুলে আছে।
আসলেই ব্যাপারটি অদ্ভূতুড়ে।
তাছাড়া দেখে মনে হচ্ছে ওটা বিশেষ কোনো প্রযুক্তিগত কাঠামো, যা ভেজা সবুজাভ শেওলা জাতীয় উদ্ভিজ্জ দিয়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে।
পুরো কাঠামোটি আড়াআড়ি ভাবে কম করে হলেও ৩,৩০০ ফুট ব্যাসার্ধের।
কিন্তু ৭,০০০ ফিটের পর্বতের ভেতরে আরো কতটা দেবে আছে তা ধারণাতীত।

ঠিক তখনই বকের মত চতুষ্পদী জন্তুটা হড়হড়িয়ে বমির মত আমাদের তার তরল থলি হতে উগড়ে দিলো।
বিদঘুটে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে, যা এতক্ষণ ওই আঁঠালো তরলে থাকা অবস্থায় পাইনি।

গড়গড় করে কালো প্রাসাদের সদর ফটকটা খুলে অপরূপ সুন্দরী একটি তরুণী বেরিয়ে এলো।
যেনো একটা হার্টবীট মিস করলাম আমি।
এমন অপ্সরীর মত মেয়ে এর আগে দেখিনি।
কিন্তু মেয়েটার গায়ের রঙ একটু ফ্যাকাসে যেনো রক্তশূন্যতায় ভুগছে সে।
মেয়েটির হাটায় দম্ভ ও প্রভাব বিস্তার করছে।
তরুণীর পেছনে কাঁধ হতে হাটু পর্যন্ত স্বচ্ছ কালো পাতলা আলখাল্লা ও গলায় আমার গলার এমুলেটটার মত আরেকটি এমুলেট শোভা পাচ্ছে।
আশেপাশে সকল জুরাইসিক্স প্রজাতি মেয়েটির উপস্থিতিতে কিছুটা নত হয়ে এলো।
এই মেয়েটি কে তা আমি বুঝতে পেরেছি, এর কাছেই পিরামিড মন্দিরের সৃষ্টি হওয়া কিছু রহস্যভেদ হতে পারে।
নির্ভয়ে মেয়েটি এগিয়ে এলো আমার দিকে, ভালো করে দেখতে লাগলো আমাকে।
তার আগেই আমি উঠে শরীর ঝাঁকিয়ে ডান হাত বাড়িয়ে বললাম,

★গ্যালাকটিক সুইসাইড★Donde viven las historias. Descúbrelo ahora