#দ্যা_রঙ_নাম্বার_কেবিন
লেখা #AbiarMaria#৬
আরহাম সারাদিন বিশ্রাম নিয়ে বিকালের দিকে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। উত্তরাতে নিজের একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আছে যেটার আরেকটা শাখা ছিল চট্টগ্রামে। জার্মানি থেকে গ্রেজুয়েশান শেষ করে বাংলাদেশের এসে নিজেই কিছু করতে চেয়েছিল। সে ওখানে হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ড কালিনারী কোর্সও করেছে। এজন্য বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট বিভাগ নিয়ে তার বিশেষ আকর্ষণ, বিশেষ স্বপ্ন আছে। শুরুতে কাজগুলো একা একা শুরু করলেও পরবর্তীতে কিছু ববন্ধুবান্ধব পেয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাকে দুইবার প্রতারিত হতে হয়েছে। উত্তরার শাখাটাই প্রধান, আর ধানমন্ডীতে একটা এবং চট্টগ্রামে আরেকটা ছিল। শুরুতে খুব সাড়া পাচ্ছিল। কিন্তু ও ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেনি যে ওর পিঠ পিছে কোনো বেআইনী কাজ হবে৷ পাশাপাশি একাউন্ট সেকশনের ঝামেলা তো আছেই। কিছুদিন পর পর রিপেয়ারের টাকা লাগে, কিন্তু তারা কি এত রিপেয়ার করেছে, সেটাই ও খুঁজে পায় না। এটা তো রেস্টুরেন্ট, কোনো বোক্সিং ক্লাব না যে ফাইটাররা সব ভাঙচুর করে ফেলেছে! তাহলে?
আরহাম তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজের কাজ এখন থেকে নিজেই সরাসরি তদারকি করবে। ধানমন্ডির শাখার মত চট্টগ্রামের শাখাটাও বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিয়ে এসেছে। এখন সব মনোযোগ এই একটাতেই খাটাবে৷ আর কখনো কারো উপর ভরসা করা যাবে না। এই দেশটায় মানুষ ভরসা রাখার চাইতে ভাঙায় বেশি পারদর্শী। এতশত বেঈমানী মাথায় নিয়ে বাঁচা যায় না। আরহাম তৈরি হয়ে তার রেস্টুরেন্টে চলে আসলো। ম্যানেজারের সাথে দেখা করে একাউন্টস নিয়ে বসতে বসতে বলল,
"এখন থেকে সব আমি নিজেই তদারকি করব। ফাঁকি যা দিয়েছ, আর সুযোগ পাবে না"
কর্মচারীরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। মালিক আসলে তো ওদের সমস্যা হয়ে যাবে, আগের মত বসে বসে থাকা যাবে না৷ আরহাম ম্যানেজারের দিকে ফিরতে সে বলল,
"স্যার, আমরা তো ফাঁকি দেই না, সব ঠিকঠাক করছি"
"ঠিক আছে, ফাঁকি না দিলে তো আপনাদের চিন্তারও কিছু নেই। বরং আমার তদারকিতে আরও উন্নয়ন হবে, আপনাদের প্রমোশন বাড়বে, টিপস বাড়বে, সুবিধা তো আপনাদেরই! নাকি আপনারা সুবিধা চান না?"
এবার সবার মুখে একটা হাসি ফুটে উঠল ম্যানেজার বাদে। সে কিছুটা চিন্তিত মুখ নিয়ে প্রশ্ন করল,
"কিন্তু স্যার, আমাদের চট্টগ্রামের ব্রাঞ্চটা?"
"ওটা নিয়ে ভাবতে হবে, বিক্রি করে দিয়েছি"
সবাই কিছুটা চমকে উঠে দৃষ্টি বিনিময় করল। আগেই বুঝতে পেরেছিল, বেশ বড় কোনো ঝামেলা হচ্ছে। তবে মালিক সরাসরি স্বীকার করবেন, এটা বুঝে নি তারা। আরহাম হেসে বলল,
"আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। এখন আমার ফোকাস এক দিকে থাকবে আর উন্নতি এক দিকেই হবে। এত দিকে হাত দিলে এক সাথে চলে না!"
YOU ARE READING
দ্যা রঙ নাম্বার কেবিন
Romanceরাইমা হবু বর ভেবে এক অপরিচিত পুরুষের কেবিনে ঢুকে পড়ল যার সাথে কাটিয়ে দিল ট্রেনে পুরো একটা রাত! কি হয়েছিল সে রাতে? তারপর? সেই ভুল কেবিনে বসে কাটানো রাতের প্রভাব কেমন ছিল? কি করেছিল রাইমা যখন জানতে পেলো তার স্বপ্নপুরুষ আসলে তার হবু বর নয়? আর সেই ভুল...