#দ্যা_রঙ_নাম্বার_কেবিন
লেখা #AbiarMaria#৭
দুই দিন পরের কথা।
আরহাম রেস্টুরেন্টে বসে আছে। আজকে ওর এখানে ব্যস্ততা একটু বেশিই। সব কাজ সে নিজে তদারকি করছে। প্রধান শাখা হিসেবে অন্যান্য গুলো থেকে এটা ভালো অবস্থানেই ছিল বরাবরের মত। তাছাড়া বাসা কাছে হওয়ায় আরহাম এটায় বেশি খেয়াল রেখেছে। ইদানীং বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা খুব জমে উঠেছে, বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের মাঝে। তারা একেক সময় একেক রেস্টুরেন্টে গিয়ে নানান স্বাদের খাবার চাখতে খুব পছন্দ করে। আগে মানুষ টাকা জমিয়ে সম্পদ বানাতো, এখন মানুষ টাকা জমিয়ে খেতে আসে। এ যেন খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকা!
যদিও আপাত দৃষ্টিতে এটাকে বর্তমানের প্রজন্মের সমস্যা হিসেবেই ধরা যায় কারণ অর্থনীতির হিসাবে মানুষের নেট জমা না বেড়ে বাড়ছে জীবন ধারণের নেট খরচ যা সমাজের জন্য এক দিক থেকে ক্ষতিকর। কিন্তু উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কি? তারা সমস্যাকে খুব সুন্দরভাবেই সুযোগে রূপান্তরিত করছে, ফলে বাহারী খাবারের উপযোগিতা বাড়ছে। মানুষ দলে খরচ করলেও একটা দল তো এদিক থেকে নিঃসন্দেহে লাভবান হচ্ছে যেহেতু ক্রাইসিস ইজ বিকামিং এন অপুরচুনিটি!
আরহামও এই দিকটা মাথায় রেখে আগাচ্ছে। ওর রেস্টুরেন্টে গতানুগতিক তথাকথিত চাইনিজের পাশাপাশি কিছু বিদেশী মেন্যুও আছে যা আশেপাশে এখনো পাওয়া যায় না। এই ডিশগুলো আরহাম নিজে শেফকে শিখিয়ে দিয়েছে। অন্যান্য শাখাগুলো ঝামেলা করলেও এখানের শেফ সেটা বেশ দক্ষ হাতে সামলেছেন। আরহাম বর্তমানের এসব নিয়ে ব্যস্ত। যদিও আজকে দুটো ফাংশন আছে এখানে যেখানে এই ডিশগুলো কোনো কাজে লাগবে না আপাতত। আরহাম ফাংশন গুলো সুন্দরভাবে এরেঞ্জ করার দিকে মনোযোগ দিল।
দুপুরের বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে বিকেলে সে বাসার দিকে রওনা দিল। সন্ধ্যার দিকে ম্যানেজারকে ফোন করে সব ম্যানেজ করতে বলে একটা কড়া ঘুম দিল। ইদানীং কাজে ব্যস্ত থাকায় সময় ভালো কাটলেও তার বেশ ক্লান্ত লাগে। ফলে বিছানায় শুলেই ঘুম চলে আসে, আগের মত এপাশ ওপাশ করতে হয় না।
أنت تقرأ
দ্যা রঙ নাম্বার কেবিন
عاطفيةরাইমা হবু বর ভেবে এক অপরিচিত পুরুষের কেবিনে ঢুকে পড়ল যার সাথে কাটিয়ে দিল ট্রেনে পুরো একটা রাত! কি হয়েছিল সে রাতে? তারপর? সেই ভুল কেবিনে বসে কাটানো রাতের প্রভাব কেমন ছিল? কি করেছিল রাইমা যখন জানতে পেলো তার স্বপ্নপুরুষ আসলে তার হবু বর নয়? আর সেই ভুল...