“We should think over the words before saying,
And say the words which are thought before"স্টেটাসের জন্য এইটুকু লিখে আমি থামলাম। কণার সাথে একটু আগে কথা বলে ফোন কেটেছি। আমার খুশি হওয়ার কথা ছিল, ভালো লাগার কথা ছিল, কিন্তু লাগছে না। কত বন্ধু এসে তাদের প্রেমিকার সাথে কাটানো রগরগে গোপন অভিসারের কথা বলেছে! তখন চোখের সামনে লোভনীয় সেই অদমনীয় অনুভূতি জেগে উঠেছে। মনে মনে কত শতবার কণাকে নিয়ে এমন আপত্তিকর ভাবনা ভেবেছি তার ইয়ত্তা নেই! অথচ আজ কেন আমার ভালো লাগছে না? কণা রাজী হওয়ার পরও?
একটা সিগারেট নিয়ে ছাদে গেলাম। চুপচাপ এক কোণায় বসে বসে ধোঁয়া টানছি। ঐ ছাদে আজকে কেউ নেই। মাঝে মাঝে দু একটা ছেলে ছাদে ওঠে, তবে তুতুনকে ছাদে দেখি না। মেয়েটা কলেজে পড়ে এখন। আকাশী কামিজ, সাদা সেলোয়ার, ক্রস বেল্ট আর দুই বেণী। বেশিরভাগ সে দুই বেণী করে নাকের উপর চশমা ঠেলতে ঠেলতে রিকশা করে কলেজ যায়। দুই শিং ওয়ালী ডাকার পরও তার দুই বেণী ছাড়া আর কোনো স্টাইল পায় না? আমি মাঝে মাঝে ডাক দেই। আমার ডাক শুনে ও পালিয়ে যায়, একেবারে দৌড় দেয় পারলে। কয়েকদিন আগে দেখলাম আরেকজনের সাথে বিকালের দিকে দরজা থেকে বের হচ্ছে। আমিও তখন একটা কাজে বাহিরে যাচ্ছিলাম। তুতুনের সাথের মেয়েটা ভালোই সুন্দরী, চুলে সোনালী রঙ করা। আমি শিষ দিয়ে ডাকলাম,
❝এই যে তেঁতুল ফুল! কি খবর কোথায় যাওয়া হচ্ছে?❞তুতুন অন্য সময় হলে পালাতো। কিন্তু সাথের মেয়েটার কারণে পালাতে পারে নি। মেয়েটা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়েছে আমার দিকে। আমি এগিয়ে এসে মেয়েটা জিজ্ঞাসা করলাম,
❝পরিচয়টা জানতে পারি?❞
মেয়েটা আমার দিক থেকে তুতুনের দিকে ফিরল। তুতুন গম্ভীরমুখে আমার পরিচয় দিল,
❝আমাদের পাশের বাসায় থাকে❞
মেয়েটা এবার মিষ্টি করে হেসে বলল,
❝আমার নাম ইসাবেলা, তুতুনের চাচাতো বোন❞
❝হাই, আমি শুভ। তোমার নামটা সুন্দর, বেলা!❞
❝বেলা নয়, ইসাবেলা❞
❝ঐ তো, শর্ট ফর্মে বললাম আর কি। তোমার কাছের মানুষরাও অনেকেই তোমাকে বেলা ডাকে, আমি নিশ্চিত❞
ইসাবেলা হাসলো। তুতুন ওর হাত টেনে বলল,
❝আপু, চলো তো। দেরী হচ্ছে❞
YOU ARE READING
শুভ বিবাহ
Humorশুভ একটু বুঝ হওয়ার পর থেকেই বিয়ে বিয়ে করতে থাকে। যেন বিয়ের জন্য সে মারা যাচ্ছে। যতগুলো মেয়েকে দেখে, ততজনকেই বলে, "বিয়ে করবা?" শুভর এমন অশুভ কাজ দেখে সবাই ওকে শুভ না ডেকে অশুভ ডাকতে শুরু করে। সেই অশুভর বিবাহিত জীবন কেমন হবে? শুভ নাকি অশুভ?