290 18 4
                                    

#শুভ_বিবাহ
লেখা #AbiarMaria

পর্ব ৮

আজকে মেজাজ চরম রকম গরম। সকাল সকাল শায়লার সাথে ঝগড়া লেগে গেল, তারপর আব্বুর ঝাড়ি। বাসা থেকে বের হয়ে দেখলাম একটুর জন্য ভার্সিটির বাস মিস হয়ে গেল। পরের বাসের জন্য বসে থাকলে ক্লাসে দেরী হবে। মেজাজ গরম করে অন্য বাসে উঠে বসলাম। ক্লাসে শান্তি মত সময় কাটলেও ক্লাস শেষে কণার সাথে ধাক্কা খেয়ে কণা পড়ে গেল। বুঝলাম না, আমি এত বড় একটা মানুষ, আমাকে কি ও দেখবে না? তবুও ওকে তুলতে গিয়ে ওর সাথে ঝগড়া লেগে গেল। আমিই সরি বললাম, তবুও যা মুখে আসলো তাই বলল। এজন্য আমি ধরে হাতে চিমটি দিয়ে দৌড় দিয়েছি! আমার সাথে অকারণে ঝগড়া করবি কেন? চিমটি খেয়ে ওর হাত লাল হয়ে গেছে। ভালো হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে।

হাকিম চত্বরে বসে যখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন কোত্থেকে যেন এক বালতি পানি আমার মাথায় পড়ল! আমি হাঁ করে কয়েক সেকেন্ড থমকে থেকে পেছনে ফিরে দেখলাম কণা দাঁতে দাঁত পিষে আমার দিকে চেয়ে আছে। ওর হাতে একটা বালতি, আর সেটা হলো পাশের ফুচকাওয়ালা মামার ময়লা পানির বালতি। রাগে মন চাচ্ছিল কণার ঐ ছোট ছোট চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলি। আশেপাশের সবাই তাকিয়ে ছিল। কারো চোখে ভয়, কারো চোখে আমার পরবর্তী কার্যক্রম দেখার কৌতুহল, কারো চোখে ভয়। তবে কণার চেহারায় স্পষ্টত প্রতিশোধের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে যার খানিকটা নিভে এসেছে আমাকে ময়লা পানিতে ভিজিয়ে।

আমার যেন কি হয়ে গেল। এতগুলো মানুষের মাঝে আমি কণাকে জড়িয়ে ধরলাম! আশেপাশের সবাই চমকে উঠল, চমকে উঠলাম আমি নিজেও! এটা কি করলাম? পরমুহূর্তে ওকে ভালো ভাবে জড়িয়ে ধরলাম যেন আমার গায়ের ময়লা পানি ওর গায়েও লেগে যায়। মাত্র দুই তিন সেকেন্ড, এর মাঝে আমার ভেতরের মিচকা শয়তান জেগে উঠল। আমি কণাকে আলিঙ্গন মুক্ত করে বললাম,
❝এখন আর আমি একা ময়লা পানিতে ভিজিনি, তুমিও ভিজেছ! কি? আরেক বালতি পানি আনি?❞
কণা বিস্ফোরিত চোখে আমাকেই  দেখে আশেপাশের সবাইকে দেখলো। সবাই আমাদেরকে দেখছে। কণা আমার কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালালো। আমার বন্ধুরা সব হাঁ করে আছে। ওরা জিজ্ঞেস করল,
❝এটা কি করলি তুই?❞
❝আমার সাথে এমন করল কেন? এখন জ্বলে পুড়ে মরুক। সবার সামনে আমাকে ময়লা পানিতে ভিজিয়েছে, আমিও দিলাম সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা করে, যাহ শালা!❞

শুভ বিবাহDonde viven las historias. Descúbrelo ahora