বুদ্ধিটা আমাকে নীলুই দিল । প্রথমে আমি নীলুর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম যে নীলুর মনে কোন কুবুদ্ধি আছে কিনা । কিন্তু যখন সত্যি সত্যিই ব্যাপারটা নিয়ে ভেবে দেখলাম তখন মনে হল বুদ্ধিটা একেবারে খারাপ সে দেয় নি । নীলু আমার দিকে তাকিয়ে বলল, কই টাকা দাও ।
আমি বললাম, টাকা কিসের?
-বারে এতো চমৎকার বুদ্ধি দিলাম, তোমাকে মায়ের হাত থেকে বাঁচার একটা চমৎকার বুদ্ধি দিলাম আর তুমি আমাকে টাকা দিবা না ?
কেন জানি পকেট থেকে একটা ৫০ টাকার নোট বের করে দিলাম । মনে হল বুদ্ধিটা কাজে দিলেও দিতে পারে ।
নীলু নোটটার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো । তারপর এক ছোঁ মেরে সেটা নিয়ে দ্রুত গতিতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল আমি টাকা টা আবারও আমার পকেটে চালান করে দেওয়ার আগেই ।
আমি বুদ্ধিটা নিয়ে আরও একটু ভাবতে লাগলাম । কাজ হতে পারে । আর যদি নাও হয় তাহলেও কোন সমস্যা দেখি না । মাকে বলার মত আমার হাতে আসলে তেমন কিছুই নেই । এটা দিয়ে অন্তত কিছু একটা অযুহাত তো বের করা যাবে ।
ঘটনা আসলে তেমন কিছু না । ছেলে বড় হলে সব বাবা মায়ের মাথায় যে ভুত চাঁপে আমার বাবা মায়ের মাথাতেও ঠিক তেমন ভুত চেপে বসে আছে । বিশেষ করে আমার মায়ের মাথায় । ছেলেকে যে কোন ভাবেই বিয়ে তাদের দিতেই হবে । দুনিয়ার সবাই বিয়ে করে ফেলছে আমি কেন বিয়ে করছি না, এই চিন্তাতে তাদের কারো ঘুম আসছে না ।
সত্যি বলতে আমার বিয়ে ভীতি আছে । ভীতিটা আমার এমনি এমনি হয় নি । আমার বন্ধুদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে কেবল আমি ছাড়া । এর ভেতরে কয়েক জনের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক । তাদের বিবাহিত জীবনের আমি খুব কাছ থেকে । তাছাড়া বিয়ের আগে তাদের জীবন আর বিয়ের পরে তাদের সেই জীবন আমি মিলিয়ে যতবারই দেখি ততবারই মনে হয় আমার বিয়ে হলেও আমার অবস্থা ঠিক এই রকম হবে । আমি এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না । কোন ভাবেই না । তাই যে কোন ভাবেই আমি বিয়েটা ঠেকাতে চাই । বিয়ে করতে চাই না । কিন্তু কে শোনা কার কথা । আমার মা ঠিক পণ করে বসে আছেন, আমাকে তিনি বিয়ে এবার দিয়েই ছাড়বেন । কোন ক্ষমা নেই, কোন নিস্তার নেই । আমি এতোদিন কোন যুতসই কারণ খুজে পাই নি ।
CZYTASZ
অপুর গল্প (ভলিউম ০৪)
Krótkie Opowiadaniaজীবনে অনেক ছোট গল্প লিখেছি । সেগুলো হিসাব মত আটশ ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই । গল্প গুল্প আগে ব্লগে প্রকাশিত হয় তারপর সেগুলো এখানে পোস্ট করা হয় ।