সুপ্তি মেসেঞ্জারের আসা মেসেজটার দিকে তাকিয়ে খানিকটা হাসলো । এতোদিন ধরে সে অনলাইনে আছে, মানুষ জনের কাজ কর্মের ধরণ সম্পর্কে সে বেশ ভাল রকমেই অবগত আছে । ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলার জন্য, একটা নতুন কোন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কত কিছুই না করে।
আয়ান নামের এই ছেলেটার কথাই ধরা যাক । ছেলেটা ওকে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়েছিল । আগের আইডি তার নষ্ট হয়ে গেছে । এটা নতুন আইডি। দুদিন পরে আবার ছেলেটা আবার মেসেজ পাঠালো যে সে সরি, সানজিদা নামে ওর এক পরিচিত কে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে ওকে পাঠিয়ে ফেলেছে । ওর প্রোফাইলে ছবি দেওয়া নেই দেখে এই ভুল করেছে । এই জন্য সে সরি। সানজিদা ওর ফরমাল নাম । ফেসবুক সহ সব স্থানেই এই নাম দেওয়া । সবাই আসলে ওকে এই নামেই চেনে ।
সুপ্তি জানে এরপর ছেলেটা ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করবে । নানান রকম প্যাঁচাল দিয়ে শুরু করবে । কিন্তু ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হল যখন ছেলেটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা ক্যান্সেল করে দিল । মেসেজ পাঠানোর সাথে সাথে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও পাঠিয়েছিল । একটু খটকা লাগলো সুপ্তির, যা ভেবে তা হল না দেখে ! আবার মনে করলো যে হয়তো এটা নতুন কোন চাল । কিন্তু যখন ছেলেটা ওকে আর কোন মেসেজই করলো না, কোন প্রকার যোগাযোগই করলো না তখন সুপ্তির সত্যিই অবাক লাগলো। সত্যি বলতে কি ওর সাথে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো । এমন তো হওয়ার কথা না ।
শেষে আর থাকতে না পেরে সুপ্তি মাস ছয়েক পরে নিজেই নক দিল ছেলেটাকে । ছেলেটার নাম আয়ান আহমেদ । প্রোফাইল দেখে ডিসেন্টই মনে হল । অল্প কিছু ছবি পাব্লিক করে দেওয়া । দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরার ছবি । বেশির ভাগই পাহাড়ের ছবি । এই ছাড়া ছেলেটার ব্যাপারে আর কোন তথ্য দেওয়া নেই।
-হ্যালো ।
ভেবেছিল সাথে সাথেই বুঝি উত্তর আসবে । এল না । উত্তর এল প্রায় আট ঘন্টা পরে । রাত তখন এগারোটা বাজে । ম্যাসেজের টুং করে আওয়াজে সুপ্তি মোবাইল টা হাতে নিল । আয়ানই ফিরতি ম্যাসেজ দিয়েছে ।
-হ্যালো ।
সুপ্তি লিখলো, আপনার সেই সানজিদাকে খুজে পেয়েছেন ?
ESTÁS LEYENDO
অপুর গল্প (ভলিউম ০৪)
Historia Cortaজীবনে অনেক ছোট গল্প লিখেছি । সেগুলো হিসাব মত আটশ ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই । গল্প গুল্প আগে ব্লগে প্রকাশিত হয় তারপর সেগুলো এখানে পোস্ট করা হয় ।