সন্ধ্যা থেকে প্রিয়ন্তির মন মেজাজ ভাল নেই । নিজের ঘরে আলো বন্ধ করে শুয়ে আছে সে । বারবার কেবল তার সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটার কথা ফিরে ফিরে আসছে । লোকটা কী বাজে দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে হাসছিলো আর বাজে কথা বলছিলো ! সেটা মনে হতেই মনটা তিক্ততায় ভরে যাচ্ছে । সাদমানের উপরে গিয়ে রাগটা জমা হচ্ছে বারবার !
যদিও প্রিয়ন্তি জানে যে ঐ রকম পরিস্থিতিতে বেচারার আসলে কিছুই করার ছিল না । ঐ রকম পরিস্থিতে পড়লে ওদের মত সাধারণ মানুষ গুলো যা করে তাই করেছিলো সাদমান । ওকে নিয়ে সোজা চলে এসেছে বাসায় । ওকে বাসায় পৌছে দিয়ে বের হয়ে গেছে । অন্যান্য দিন হলে বাসায় একবার ঢুকতো । তবে আজকে আর ঢুকলো না । এমন কি ওর দিকে ঠিক মত তাকায়ও নি । সম্ভবত ঐ লোক দুটোর দ্বারা এমন ভাবে অপদস্ত হওয়ার কারণে লজ্জা পাচ্ছে । প্রিয়ন্তি আশা করেছিলো সাদমান কয়েকটা কথা ওদের বলবে । তবে সেটা করে নি । যখন একজন সাদমানের কলার চেপে ধরে বলল, মান সম্মান নিয়ে যাইতে চাইলে চুপচাপ কেটে পড়ে ।
সাদমান কোন কথা বলে নি । প্রিয়ন্তিকে নিয়ে সোজা গাড়ির দিকে হাটা দিয়েছে । পুরো রাস্তায় একটা কথাও বলে নি সে ! প্রিয়ন্তিও কোন কথা বলে নি ।
সাদমানের সাথে প্রিয়ন্তির বিয়ে কথা বার্তা পাঁকা । প্রিয়ন্তির মাস্টার্স ফাইনাল হয়ে গেলেই ওদের বিয়েটা হবে । বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে সাদমান মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে যায় । কখনও বা লং ড্রাইভে কখনও বা মুভি থিয়েটার অথবা কোন রেস্টুরেন্ট । সময়টা প্রিয়ন্তির ভাল কাটে । সত্যি বলতে প্রিয়ন্তিরও সাদমানকে বেশ পছন্দ । একটা ছেলেকে পছন্দ হওয়ার জন্য যা যা থাকা দরকার সাদমানের তা সব আছে । অপছন্দ হওয়ার কোন কারণ নেই । তবে আজকে বারবার প্রিয়ন্তি চাচ্ছিলো সাদমান কিছু করুক । অন্তত কয়েকটা কথা তো বলতো উচু গলায় । সেটা পর্যন্ত করলো না ও । এই কারণে প্রিয়ন্তির মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে ।
ফোনটা ভাইব্রেট হতেই প্রিয়ন্তি সেটা হাতে নিল । সাদমানের ফোন । একবার মনে হল ফোনটা ধরবে না সে । পরে আবার মনে হল না ধরেই ফেলে ।
YOU ARE READING
অপুর গল্প (ভলিউম ০৪)
Short Storyজীবনে অনেক ছোট গল্প লিখেছি । সেগুলো হিসাব মত আটশ ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই । গল্প গুল্প আগে ব্লগে প্রকাশিত হয় তারপর সেগুলো এখানে পোস্ট করা হয় ।